ইইউর সঙ্গে ব্রিটেনের সংঘর্ষ ‘অবশ্যম্ভাবী’

EUএবারের নির্বাচনে রক্ষণশীল পার্টির অপ্রত্যাশিত বিজয়ের মাধ্যমে মূলত অভিবাসীর সংখ্যা কমানোর পক্ষেই রায় দিয়েছেন ব্রিটেনের বেশিরভাগ নাগরিক। নির্বাচনের আগ থেকেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বেশ কঠিন সময় পার করছিল ক্যামেরন সরকার। এবার সেই নীরব সংঘাত সরব হয়ে উঠতে পারে এমনটা ভাবছেন অনেকেই। যেমন ক্যামেরন সরকার প্রথম যে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে তা হলো অভিবাসীদের জন্য সামাজিক সেবা পাওয়াটা কঠিন করে তোলা। নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, কোনো অভিবাসী অন্তত চার বছর টানা ব্রিটেনে অবস্থান করার আগে সামাজিক সেবাগুলো উপভোগ করতে পারবেন না। লেবার পার্টির ইশতেহারে এই সংখ্যা দুই বছরে নামিয়ে নিয়ে আসার কথা বলা হয়েছিল। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বর্তমান নীতি অনুযায়ী, একটি সদস্য রাষ্ট্র ইইউভুক্ত অন্য যে কোনো সদস্য রাষ্ট্রের নাগরিকদের সামাজিক সেবাগুলো দিতে বাধ্য থাকবে। তাই দেখা যাচ্ছে, ক্যামেরনের সম্ভাব্য প্রথম সংস্কারটিই ইইউর নীতিমালার বিরোধী। সংবাদমাধ্যম আইবি টাইমস বলছে, নতুন এই সংস্কারের ক্ষেত্রে হয় ব্রিটেনকে ইইউর সঙ্গে একটি নতুন চুক্তিতে আসতে হবে, অথবা ব্রিটেনের মতো করে ইইউকে নিজেদের নীতিমালা সাজাতে হবে। তবে ইইউ প্রত্যেক সদস্য রাষ্ট্রের সম্মতি ছাড়া নিজেদের নীতিমালায় কোনো পরিবর্তন আনতে পারে না। আইবি টাইমসের মতে, ইইউ সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে ভোট দিয়ে ব্রিটেনের সংস্কার মেনে নেবে এমন সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তাই নতুন এই সংস্কার ব্রিটেন-ইইউ সম্পর্কে অনিশ্চয়তা নিয়ে হাজির হচ্ছে।
এক নজরে বর্তমান পরিস্থিতি : বিদেশের মাটিতে জন্ম নিয়েছে এবং বর্তমানে ব্রিটেনে অবস্থান করছে, দেশটিতে এমন ব্যক্তির সংখ্যা এখন প্রায় ৮০ লাখ। এছাড়া গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর অভিবাসীর সংখ্যা ২ লাখ ৪৭ হাজারে দাঁড়িয়েছে। ১৯৯৩ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ব্রিটেনে অভিবাসীর সংখ্যা বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ক্যামেরন সরকার আপাতত অইউরোপীয় অভিবাসীর সংখ্যা বছরে ২০ হাজারে নামিয়ে নিয়ে আসার কথা ভাবছেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button