রূপা হককে হেনস্তা করায় সমালোচনার মুখে লন্ডন মেয়র

Rupaব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে লেবার পার্টির প্রার্থী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রূপা হককে হেনস্তা করায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন লন্ডনের মেয়র বরিস জনসন। জনসন রক্ষণশীল টোরি পার্টির নেতা।
রূপা হক ও বরিস জনসনের সঙ্গে সমস্যা তৈরি হয় রোববার। ইলিং সেন্ট্রাল অ্যান্ডন অ্যাকটন আসন থেকে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন টোরি পার্টির এনজি ব্রে। রোববার তার পক্ষে প্রচারে নেমেছিলেন জনসন। সে সময় রূপা হক তার কাছে এগিয়ে আসেন এবং তাকে প্রশ্ন করার চেষ্টা করেন।
ফুটপাতে জনসনের পাশাপাশি হেঁটে তাকে প্রশ্ন করার সময় তার পেছন থেকে এক টোরি কর্মী রূপা হককে বারবার টেনে ধরেন। ছবিতে দেখা যায়, রূপা হকের দুই হাত চেপে তাকে জনসনের পাশ থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ওই টোরি কর্মী এবং তিনি রূপা হকের মুখের সামনে এনজি ব্রের প্রচারের প্ল্যাকার্ড ও লিফলেট ছুড়ে মারেন। কিন্তু এতে বাধা দেননি মেয়র জনসন। একজন নির্বাচনী প্রার্থীকে প্রতিপক্ষের এক কর্মী এভাবে হেনস্তা করছেন, কিন্তু মেয়র চুপ আছেন- এ বিষয়টি মর্মাহত করেছে রূপা হককে।
এ ধরনের খবর প্রচার হওয়ার পর রূপা হকের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন এনজি ব্রে। তিনি তার পক্ষে প্রচার থেকে বিরত থাকতে বলেছেন ওই টোরি কর্মীকে। এ নিয়ে টুইটারে লিখেছেন এনজি ব্রে।
এনজি ব্রের প্রতিক্রিয়া পেয়ে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন রূপা হক। কিন্তু তিনি গুরুতর অভিযোগ এনেছেন লন্ডনের মেয়র বরিস জনসনের বিরুদ্ধে। রূপা হকের দাবি, মেয়র জনসন নারীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছেন না। বিষয়টি লন্ডনের নারীদের দেখা উচিত।
তিনি আরো বলেন, ‘ইলিংয়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আমি তাকে প্রশ্ন করার জন্য এগিয়ে যাই। কিন্তু তার সমর্থকরা আমাকে টেনেহিঁচড়ে সরিয়ে দিতে চেষ্টা করে। আমি বিস্মিত। এ ঘটনায় মেয়র জনসনকে অবশ্যই ক্ষমা চাইতে হবে।’
রূপা হক বলেন, ‘লন্ডনের মেয়রের কাছ থেকে মানুষ আরো ভালো ব্যবহার প্রত্যাশা করে।’এদিকে বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে টোরি পার্টি। কিন্তু রূপা হককে টেনেহিঁচড়ে হেনস্তা করার বিষয়টি অস্বীকার করেছে তারা। তাদের ভাষ্য, রূপা হকের অভিযোগ সত্যি নয়।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button