ডায়ানাই কি ফিরে এলেন পুত্রবধূ কেটের কোলে

Kateবয়স মাত্র ১০ ঘণ্টা। সদ্যোজাত মেয়েকে নিয়ে বাড়ির পথে ডাচেস অব কেমব্রিজ কেট মিডলটন। শনিবারই লন্ডনের সেন্ট মেরিজ হাসপাতালে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন তিনি। দেশবাসীর মুখে মুখে ফিরছে একটাই কথা, ডায়ানাই ফিরে এসেছেন পুত্রবধূ কেটের কোলে।
ডায়ানা না অ্যালিস, কী নামে ডাকা হবে তাকে? প্রশ্ন ব্রিটেনবাসীর।
সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ লন্ডনের সেন্ট মেরিজ হাসপাতালে ফুটফুটে এক কন্যার জন্ম দেন ডাচেস অব কেমব্রিজ কেট মিডলটন। রাজপরিবারের ভক্তদের বিশ্বাস, দাদি ডায়ানাই ফিরে এসেছেন কেটের কোলে। দাদা যুবরাজ চার্লস, বাবা রাজকুমার উইলিয়াম আর বড়ভাই রাজকুমার জর্জের পর রাজ সিংহাসনের চতুর্থতম দাবিদার সে!
কেনসিংটন প্যালেসের তরফে প্রথমে টুইটারে উইলিয়াম আর কেটের দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের কথা জানানো হয়। বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ বাকিংহাম প্যালেসের একটি দরজায় ঝুলিয়ে দেয়া হয় নতুন অতিথির আগমন বার্তা! উল্লাসে ফেটে পড়ে গোটা দেশ। রাজপরিবারের বিবৃতিতে জানানো হয়, মেয়ের জন্মের সময় ডেলিভারি রুমে ছিলেন ডিউক অব কেমব্রিজ। নাদুসনুদুস কন্যারই জন্ম দিয়েছেন কেট। ওজন ৩.৭ কিলো। অতিথির নামকরণ পর্বও তাড়াতাড়ি সেরে ফেলা হবে বলে জানান তারা। পরিবার সূত্রে খবর, রাজপরিবারের ভক্তরাই শুধু নয়। উইলিয়াম-কেটও রাজপরিবারের নতুন অতিথিকে ডায়ানা নামেই ডাকতে ইচ্ছুক।
কেটের কোলে নতুন সন্তান আসছে, জানাজানি হয় গত সেপ্টেম্বরে। সে যে কন্যাসন্তান, তারও আঁচ পেয়ে গিয়েছিলেন ব্রিটেনবাসী। প্রসব-বেদনা নিয়ে হাসপাতালের পথে কেট, সকালে জানাজানি হতেই সেন্ট মেরি হাসপাতালের বাইরে ভিড় জমতে শুরু করে। আসেন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। কারও গায়ে নীল জামা, কেউ সেজেছেন গোলাপি পোশাকে। ২০১৩-র জুলাইয়ে সেন্ট মেরিজেই জন্ম উইলিয়াম-কেটের প্রথম সন্তান জর্জের। বোন না ভাই, কার সঙ্গ পাবে জর্জ, জবাব পেতে হাসপাতালের বাইরে তখন উপচে পড়ছে ভিড়। বেলা এগারোটায় কেনসিংটন প্যালেসের টুইট, ‘‘কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন কেট। দুই পরিবারের সব সদস্যকেই সুখবরটা জানানো হয়েছে। আমরা আনন্দিত।’’ টুইটারে উইলিয়াম-কেটকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও উপপ্রধানমন্ত্রী নিক ক্লেগ। শুভেচ্ছা জানান লেবার দলের নেতা মিলিব্যান্ডও। রাজনৈতিক দলগুলির আশা, প্রিন্সেসের আগমন দেশবাসীর মনে উদ্দীপনা জোগাবে। যার প্রভাব পড়বে আসন্ন ভোটেও।
মার্চেই উত্তরাধিকার নিয়ে নিয়ম হয়েছে ব্রিটেনে। বাতিল হয়েছে লিঙ্গ-বৈষম্যের ধারা। যার সূত্রে রাজকুমারী সিংহাসনের চতুর্থ দাবিদার। রাজপরিবার ভবিষ্যতে কোনো পুত্র সন্তান পেলেও অধিকার হারাবে না সে। প্রিন্সেসের জন্মই সিংহাসনের দাবিদারদের তালিকায় পিছনে ফেলে দিল উইলিয়ামের ভাই হ্যারিকে! দুপুরের দিকে বাবা উইলিয়াম বেরিয়ে এসে বলেছিলেন, ‘‘মোবাইল ক্যামেরার ছড়াছড়ি। জানি, যেকোনো মুহূর্তে ক্যামেরাবন্দি হতে পারে প্রিন্সেস। সে ছবি ছড়িয়েও পড়বে ইন্টারনেটে। তা-ও ওকে স্বাভাবিক শৈশব দেওয়ারই চেষ্টা করব।’’ উইলিয়ামের কথাই সত্যি হল দিনের শেষে। এ দিন হাসপাতাল থেকে বেরোনোর সময়েই ক্যামেরাবন্দি হয় ছোট্ট রাজকুমারী। দু’বছর আগে ঠিক যে ভাবে জর্জকে দেখেছিল ব্রিটেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button