কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জশীট গৃহীত হয়নি

kibriaসাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার ৩য় চার্জশীটও গৃহীত হয়নি। তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির এএসপি মেহেরুন নেছা পারুলের আবেদনের প্রেেিত তারই দেয়া চার্জশীট সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট রোকেয়া বেগমের আদালতে মামলাটি উপস্থাপন করেন জিআরও এএসআই বিপ্লব। ৩য় সম্পুরক চার্জশীটে হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আলহাজ্জ জিকে গউছ, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে জড়ানো হয়। তবে বিএনপির ওই দুই জনপ্রতিনিধির কারও নাম ঠিকানা সঠিক দেয়া হয়নি।
গত ১২ নভেম্বর সম্পুরক চার্জশীট দাখিল করেন এএসপি মেহেরুন নেছা। চার্জশীটে গুরুতর ভূল নিয়ে তখন থেকেই নানা আলোচনা হতে থাকে। পরে এএসপি মেহেরুন নেছা আসামীর নাম ঠিকানা সঠিক করে দেয়ার জন্য আদালতে একটি আবেদন করেন।
বুধবার রোকেয়া বেগমের আদালতের জিআর মামলার ১ নম্বর তালিকায় রাখা হয় কিবরিয়া হত্যা মামলা জিআর ২৬/০৫ মামলাটি। এর পূর্বে আদালত প্রাঙ্গনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। আদালত ক থেকে বের করে দেয়া হয় আইনজীবী ছাড়া সবাইকে। বিএনপি ও আওয়ামীলীগের শতাধিক আইনজীবী ছিলেন আদালতে। শুনানীর প্রথমেই আদালত সিএসআই (কোর্ট সাব ইন্সপেক্টর) এর কাছে বক্তব্য জানতে চান। সিএসআই মামলার চার্জশীট দাখিলের বিষয়টি অবহিত করে চার্জশীট গ্রহনের আহবান জানান। পরে মামলার বাদী হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী আব্দুল মজিদ খান আদালতকে বলেন- ইতিপূর্বে সিএস এর বিরুদ্ধে অনেকবার নারাজী দেয়া হয়েছে। এবার কোনো নারাজী দেয়া হবে না। চার্জশীট গ্রহণ করা যেতে পারে। কিছুন পর আদালত সিএসআই এর কাছে জানতে চান তার আর কোনো আবেদন আছে কিনা। জবাবে সিএসআই না শূচক জবাব দেন। এসময় আদালত বলেন- তদন্তকারী কর্মকর্তা তো আসামীর নাম ঠিকানা সঠিক করে দেয়ার জন্য একটি আবেদন করেছেন। তখন তড়িগড়ি করে সিএসআই বলেন- জি স্যার, জি স্যার। আদালত বলেন- আপনাকে তো আইও’র আবেদনের প্রেেিত কিছু বলতে হবে। নতুবা আমি ওয়ার্ডার দেব কিভাবে। শুনানীর সময় আদালতে জামিন প্রাপ্ত ৯ আসামী কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। তাদের পক্ষে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। এক পর্যায়ে সিনিয়র আইনজীবী আরিফ চৌধুরী মামলার কিছু আইনগত ত্র“টি তুলে ধরেন। এই পর্যায়ে আদালত বলেন- আমরা আজ সিএস এর উপর শুনানী করছি না। সিএস শুনানী কালে আইনগত দিকগুলো খতিয়ে দেখা হবে। পরে আদালত আইওকে আরেকটি সম্পুরক চার্জশীট দাখিল করার আদেশ দিয়ে মামলার তারিখ নির্ধারণ করেন ৩০ ডিসেম্বর। এর কিছুন পর মামলার বাদী আব্দুল মজিদ খান তারিখ আরও আগে দেয়ার প্রার্থনা করলে আদালত পুনরায় ২১ ডিসেম্বর ঘোষনা করেন। এর প্রতিবাদ করেন আসামী পরে আইনজীবীরা। আসামী পরে আইনজীবী এডভোকেট আব্দুল হাই যুক্তি দেখিয়ে বলেন- আদালতের ওয়ার্ডার পাশ হওয়ার পর তা পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। একই সাথে তিনি আদালতের নিরপেতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেন। এসময় উভয় পরে আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল হয়। পরে আদালত বলেন- নিরপেতা নিয়ে প্রশ্ন তুলা ঠিক নয়। আদালত নিরপেভাবেই কাজ করছে। বুধবার কিবরিয়া হত্যা মামলায় নতুন করে সিনিয়র আইনজীবী আরিফ চৌধুরী ও এম এ মজিদ আসামীর পে ওকালতনামা দাখিল করেন। আদালত প্রাঙ্গনে বিােভ করেন বিএনপি ও এর অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button