ফুরিয়ে যাচ্ছে রমযান মাস

Duaসময়ের গতিময়তার পথ ধরে একে একে ফুরিয়ে যাচ্ছে গোটা রমযান মাস। রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের এই পবিত্রতম মাসের বিদায় বেলা চলছে। এখন শুধু হিসাব-নিকাশের পালা। গতকাল পালিত হলো পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর। আর এ রাতে নাযিল হয়েছে পবিত্র কুরআন। ইবাদাত বন্দেগীর মাধ্যমে গত রাতে আল্লাহর কাছ থেকে যারা গোনাহ মাফ করাতে পেরেছে তারা সফল হয়েছে। পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর একমাত্র মুহাম্মদ (সাঃ)-এর উম্মতের জন্যই দান করা হয়েছে। অন্য নবীর উম্মতগণ এ রজনীর মতো উত্তম রজনী পায়নি।
আর কয়েকদিন পর ঈদুল ফিতর। এখন শুধু হিসাবের পালা। পবিত্র রমযান মাসে কতটি রোযা পরিপূর্ণভাবে হক আদায় করে পালন করতে পেরেছি, আমাদের গোনাহ কি পরিমাণ মাফ করাতে পেরেছি আর কতটুকু তাক্বওয়া অর্জিত হয়েছে। এসব হিসাব নিয়ে আত্মসমালোচনা করলেই ফুটে উঠবে পুরো রমযানের কর্মতৎপরতার চিত্র। পবিত্র রমযান পাওয়ার পরও যে গোনাহ মাফ করাতে পারেনি তার জন্য দুর্ভাগ্য। হয়তবা এ রমযানই অনেকের জীবনের শেষ রমযান বা শেষ শবে ক্বদর। রমযানের প্রশিক্ষণ কি পরিমাণ গ্রহণ করতে পেরেছি, যা অর্জন করেছি তা দিয়ে কি বাকি ১১টি মাস সুষ্ঠুভাবে অতিবাহিত করতে পারবো? যদি বিবেকের কাছ থেকে সন্তোষজনক উত্তর আসে তাহলে আলহামদুলিল্লাহ। নচেৎ এখনো সময় আছে রমযানের বাকি দিনগুলোতে রমযানের শিক্ষাগ্রহণ করে উপকৃত হওয়ার।
হযরত আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যখন ক্বদরের রাত্রি শুরু হয়, তখন জিব্রাইল (আঃ) ফেরেশতাদের দলসহ দুনিয়াতে অবতীর্ণ হন এবং আল্লাহর এমন সব প্রত্যেক বান্দার জন্য দোয়া করতে থাকেন যারা দাঁড়িয়ে বা বসে আল্লাহর যিকির করতে থাকে। অতপর যখন বান্দাদের ঈদের দিন উপস্থিত হয় তখন আল্লাহ তাদের ব্যাপারে ফেরেশতাদের নিকট গৌরব প্রকাশ করেন এবং বলেন, হে আমার ফেরেশতাগণ, বল দেখি যারা রবের ভালবাসায় শ্রম দিয়ে আপন কাজ সম্পন্ন করেছে তাদের প্রতিদান কি হতে পারে? উত্তরে তারা বলেন, হে পরোয়ারদেগার, তার পারিশ্রমিক পুরোপুরিভাবে দেয়াই হচ্ছে তার প্রতিদান। তখন আল্লাহ বলেন, হে আমার ফেরেশতাগণ, আমার বান্দাহ ও বান্দীগণ যারা তাদের ওপর অর্পিত ফরয যথাযথভাবে পালন করেছে অতপর সে (নিজের ঘর হতে ঈদগাহের দিকে) উচ্চ স্বরে দোয়া করতে করতে বের হয়েছে, আমার ইজ্জত ও সম্মানের কসম, আমি নিশ্চয়ই তাদের দোয়া কবুল করবো। তারপর তিনি বলেন, যাও (হে আমার বান্দাগণ) আমি নিশ্চয়ই তোমাকে ক্ষমা করে দিলাম। নবী করীম (সাঃ) বলেন, অতপর তারা ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়ে বাড়ির দিকে ফিরে যায়। (বায়হাকী)

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button