জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে আসন নেবে না সৌদি আরব

Saudiজাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি অস্থায়ী সদস্য দেশ হিসেবে নির্বাচিত হবার পর সউদি আরবের সরকার ঘোষণা করেছে যে তারা এ আসন গ্রহণ করবে না। কারণ, তাদের ভাষায় ‘নিরাপত্তা পরিষদের দ্বৈতনীতির কারণে’ বিশ্বশান্তির জন্য কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এক বিবৃতিতে সৌদি আরব বলেছে, নিরাপত্তা পরিষদে তারা বসতে চায় না, কারণ তাদের দ্বৈতনীতির কারণে তারা বিশ্বের সংঘাতগুলো নিষ্পত্তি করতে পারছে না। সৌদি আরব বলছে, ‘ফিলিস্তিন এবং সিরিয়া উভয় ক্ষেত্রেই নিরাপত্তা পরিষদ তাদের দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে। সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদের প্রশাসন তার জনগণের ওপর হত্যাকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে – কিন্তু তাকে কোনোভাবে রোধ করা যাচ্ছে না বা তাকে কোনো শাস্তিও পেতে হচ্ছে না।’ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য দেশগুলোর অন্যতম হিসেবে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হবার কয়েক ঘন্টা পরই সৌদি আরব এক ঘোসণায় এ কথা জানায়। এই সদস্য পদে কোন দেশগুলো থাকবে তা পালাক্রমে নির্ধারিত হয়, এবং সাধারণত এই পদগুলোর জন্য দেশগুলোর মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতাও থাকে । কারণ এর ফলে একটি দেশ দুই বছরের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচটি সদস্য দেশের সাথে এক কাতারে বসবার সুযোগ পায় এবং এই পরিষদই হচ্ছে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে জাতিসঙ্ঘের শীর্ষস্থানীয় সংস্থা। কিন্তু বহু দেশের কাঙ্খিত এই পদটিই সৌদি আরব ব্যবহার করলো একটি আন্তর্জাতিক বিষয়ে প্রকাশ্য প্রতিবাদ জানাবার জন্য। জাতিসঙ্ঘে সউদি আরবের এটা দ্বিতীয় দফা প্রতিবাদ। এ মাসের শুরুর দিকে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসঙ্ঘের সাথারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দিতে অস্বীকার করেছিলেন, একই বিষয়ে হতাশা প্রকাশ করে। বিবিসির ব্রিজেট কেনডাল বলছেন, এটি একটি নাটকীয় পদপে, তবে সউদি আরব যেটা চাইছে অর্থাৎ নিরাপত্তা পরিষদের আশু সংস্কার- তা খুব শিগগীর ঘটবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button