ব্রিটেনের অর্থনীতি হবে জি-৭ দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধিশীল

শক্তিশালী হয়ে উঠছে বিশ্ব অর্থনীতি

Economyবিশ্ব অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে কিছুটা শঙ্কা থাকলেও আশার আলো দেখা গেছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি শক্তিশালী হলেও এখনও অর্থনৈতিক সংকট আগের সময়ের চেয়ে ধীরগতির। বিভিন্ন দেশের সতর্ক অবস্থান এবং ঝুঁকি বিবেচনা করে কার্যক্রম গ্রহণের প্রবণতা দেখে বোঝা যায়, ব্যবসা-বাণিজ্যে আস্থা ধীরে ধীরে ফিরছে। বিশেষত ইউরোপিয়ান  ইউনিয়নে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, টেকসই এবং গতিশীল অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার বিভিন্ন দেশের সরকারের প্রকৃত কাঠামোগত সংস্কার কার্যকরের ওপর নির্ভর করবে।
সাম্প্রতিক সময়ে উন্নয়নের কিছু ইতিবাচক আভাসও পাওয়া গেছে। ইউরো এলাকা শেষ পর্যন্ত দীর্ঘায়িত মন্দা থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং জিডিপি ইতিবাচক ধারায় ফিরতে শুরু করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতেও পুনরুদ্ধার চলছে এবং চীনসহ বেশ কিছু উদীয়মান অর্থনীতির নিম্নমুখী প্রবৃদ্ধি বন্ধ হয়েছে।
উন্নত দেশগুলোর অতিরিক্ত সামর্থ্য, উচ্চ বেকারত্ব, আর্থিক কৃচ্ছ্রতা এবং চলমান অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ অবস্থার কারণে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্টম্ফীতিও অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইউরো দেশগুলোর মধ্যে মুদ্রাস্টম্ফীতি হ্রাস অব্যাহতভাবে বাড়ছে।
অন্যদিকে অনেক দেশ এবং অঞ্চলে অর্থনৈতিক মন্দার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবের কারণে শ্রমবাজারে এর প্রভাব বহাল রয়েছে। ফলে বিশ্ব কর্মসংস্থান পরিস্থিতি এখনও নাজুক রয়েছে। উন্নত দেশগুলোর মধ্যে ইউরো দেশগুলোতে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে।
বিভিন্ন দেশ কর্মসংস্থান পরিস্থিতি উন্নতির জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব বাণিজ্যের উন্নতি নির্ভর করছে ইউরোপে চাহিদার বৃদ্ধি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনীতির আরও পুনরুজ্জীবন এবং পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে আরও গতিশীল বাণিজ্য ফিরিয়ে আনার ওপর।
এদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) জানিয়েছে, এ বছর ব্রিটেরে অর্থনীতি হবে জি-৭ দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধিশীল। ২০১৪ সালে ব্রিটেন ২.৯ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে, জানুয়ারীতে যা ছিলো ২.৪ ভাগ। অবশ্য বছর খানেক আগে আইএমএফ এই মর্মে পূর্বাভাস প্রদান করেছিলো  যে, চলতি বছর প্রবৃদ্ধির হার হবে ১.৫ ভাগ। যদি তাদের দেয়া নতুন আভাস অনুযায়ী ২.৯ ভাগ প্রবৃদ্ধি হয়, তবে ব্রিটেনের অর্থনীতি হবে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত ৭টি দেশের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধমান।
আইএসএফ-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছর বৈশ্বিক অর্থনীতি আগের চেযে ভালো হবে। তবে এক্ষেত্রে ইউক্রেন সংকট বিরূপ প্রভাব ফেলার আশংকা রয়েছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button