নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ ও ইইউর হস্তক্ষেপ কামনায় বিশ্বব্যাপী স্বাক্ষর সংগ্রহ

Signবাংলাদেশে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের হস্তক্ষেপের দাবিতে একটি আবেদনে স্বাক্ষর গ্রহণ কার্যক্রম শুরু করেছে ‘দ্য বাংলাদেশ ডেমোক্র্যাসি ফোরাম’ (বিডিএফ) নামের একটি সংগঠন।
ওই সংগঠনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিকে উদ্ধৃত করে ২০ ফেব্রুয়ারি এ খবর দিয়েছে ইয়াহু নিউজ, দ্যা লন্ডন পোস্ট, হেরাল্ড অনলাইন ও সিএনবিসি নিউজ।
‘চেঞ্জ.অর্গ’-এ আবেদনটি দেখে এবং এতে স্বাক্ষর করে এ দাবির সঙ্গে সবাইকে সম্পৃক্ত করতে চাচ্ছেন এ প্রচারাভিযানের সমর্থকরা।
ওই সংগঠনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের পর থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতায় নিমজ্জিত রয়েছে দেশটি। ৩০০ আসনের সংসদের অর্ধেকেরও বেশি আসনে বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন প্রার্থীরা।
বিডিএফ-এর চেয়ারম্যান ও প্রচারাভিযানের আহ্বায়ক ফারুক আহমেদ বলেন, ‘এ সরকার অধিকাংশ মানুষের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত নয়। সুতরাং, দেশ পরিচালনার জন্য যথাযথ গণরায় এ সরকারের নেই। আন্তর্জাতিক মহল এ একতরফা নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেয়নি। এ নির্বাচনে পর্যবেক্ষকও পাঠায়নি তারা। এই প্রহসনের নির্বাচনের শিকার বাংলাদেশের নিরীহ মানুষই। বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড ও বিবদমান দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ইতোমধ্যে অনেক লোক প্রাণ হারিয়েছেন। আমরা, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামীরা আবেদনে স্বাক্ষর করে বার্তাটি সবাইকে জানিয়ে দিতে চাই।’
ফারুক আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশে নতুন একটি সংসদ নির্বাচনের জন্য যখন চাপ বাড়ছে, তখন প্রাণ হারাচ্ছেন অনেক লোক। অনেকে কারাবন্দি হচ্ছেন; নির্যাতিতও হচ্ছেন। গত নির্বাচনের বর্ষপূর্তির ঠিক আগে এ সংকটের শুরু। নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মানতে আওয়ামী লীগ অস্বীকৃতি জানালে এ নির্বাচন বয়কট করেছিল বিএনপি। ফলে জনগণের ভোটাধিকার ছাড়াই একতরফা জয় পায় আওয়ামী লীগ।
আহমেদ বলেন, ‘বিরোধী জোটের আন্দোলনকে সরকার সন্ত্রাসী কার্যক্রম হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে। অথচ, সংকটের মূলে রয়েছে রাজনীতি। এটা তুলে ধরতে হবে। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের সত্যিকারের প্রতিনিধিত্ব না করলেও আওয়ামী লীগের সরকার যে কোনো মূল্যে ক্ষমতায় থাকতে বদ্ধপরিকর। বিরোধী জোট ও সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে শক্ত পদক্ষেপ নিয়েছেন তারা। এতে ৭০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েকশ। হাজার হাজার লোকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ বছরের ৫ জানুয়ারি থেকে হাজার হাজার লোককে কারাবন্দি করা হয়েছে। সরকারের পদত্যাগের দাবিতে টানা অবরোধ ও হরতাল দিয়েছে বিরোধীরা। বিরোধী জোটের নেতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ৫ জানুয়ারি থেকে তার কার্যালয়ে বন্দি। তার টেলিফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এমনকি তার বাসায় খাবার-পানি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বিএনপির সিনিয়র অনেক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
‘এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এটা পরিষ্কার যে, সেখানে একটি গণতান্ত্রিক সরকারের অনুপস্থিতি রয়েছে। মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনি মানুষ খুন হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রকামী মানুষের সহায়তায় আমাদের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন হলেই কেবল বাংলাদেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আসতে পারে।’
খবরে বলা হয়, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ, প্রবাসী বাংলাদেশি ও অন্যান্য আগ্রহী অংশীজনের সমন্বয়ে বিডিএফ সংগঠনটি গঠিত হয়।
সংগঠনটির পক্ষথেকে পিটিশনটিতে সাইন করার দুটো লিংক হল:
https://www.change.org/p/honourable-secretary-general-of-the-united-nation-and-the-european-union-please-take-necessary-actions-in-holding-an-un-supervised-election-in-bangladesh-in-order-to-1-establish-a-democratically-elected-government-2-stop-anarchy-and-gross-human-right?recruiter=232764126&utm_source=share_petition&utm_medium=facebook&utm_campaign=share_facebook_responsive&utm_term=mob-xs-no_src-custom_msg

https://m.facebook.com/bdelectionunderun

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button