আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্য হচ্ছে ফিলিস্তিন
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্য হতে যাচ্ছে ফিলিস্তিন। এ উপলক্ষে গত বুধবার রামাল্লার রুম স্ট্যাচুতে স্বাক্ষর করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। যদিও ফিলিস্তিনকে সদস্য করার বিরোধিতা করেছে ইসরাইল। আন্তর্জাতিক আদালতের সদস্য হলে ইসরাইলের যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধে আদালতটিতে মামলার সুযোগ পাবে ফিলিস্তিন।
২০১৭ সালের মধ্যে ফিলিস্তিনে ইসরাইলি অবরোধ উঠিয়ে নিতে জাতিসংঘে আনা এক প্রস্তাব বাতিলের একদিন পরই এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করল দেশটি। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের শক্তিশালী আটটি দেশ প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দিলেও বিপক্ষে ভোট দেয় আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া। প্রস্তাবটিকে চাতুরি বলে তার নিন্দা জানিয়েছে ইসরাইল।
এদিকে প্রস্তাবটি পাস করতে ব্যর্থ হওয়ার জাতিসংঘের নিন্দা করেছে রাশিয়া। নিরাপত্তা পরিষদে রুশ স্থায়ী প্রতিনিধি ভিতালি চুরকিন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি না দিয়ে ওই প্রস্তাব বাতিল করায় মধ্যপ্রাচ্য অনিরাপদ ও সহিংস হয়ে উঠতে পারে।
তিনি বলেছেন, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন প্রশ্নে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এই নিষ্ক্রিয় ভূমিকার কারণে পরিস্থিতি বিপজ্জনক হয়ে উঠবে যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেন, “আমরা আদালতে আমাদের অভিযোগ জানাতে চাই। আমাদের জনগণ ও দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চলছে।”
তিনি বলেন, “জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিল আমাদের হতাশ করেছে।”
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, “যেকোনো ধরনের হামলার জবাব দেবে ইসরাইল। আমরা আমাদের সেনাদের নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনে তিন বছরের মধ্যে ইসরাইলি দখলদারিত্ব অবসান চেয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আনা প্রস্তাব ভোটাভুটিতে প্রত্যাখ্যান হয়।
প্রস্তাবটি পাস হতে হলে অন্তত নয়টি ভোট পাওয়া প্রয়োজন ছিল। কিন্তু প্রয়োজনীয় ভোটের চেয়ে এক ভোট কম পাওয়ায় প্রস্তাবটি আপনা-আপনিই বাতিল হয়ে যায়।
জর্ডানের আনা সেই প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছিল ফিলিস্তিনসহ আরবের আরো ২২টি রাষ্ট্র।
নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্য দেশের মধ্যে প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন দেয় রাশিয়া, চীন এবং ফ্রান্সসহ মোট ৮টি দেশ। যুক্তরাজ্যসহ পাঁচটি দেশ ভোটদান থেকে বিরত থাকে।



