ভূমধ্যসাগরে জাহাজ ডুবে ৫৫ অভিবাসীর মৃত্যু

Boatভূমধ্যসাগরে অভিবাসী জাহাজ ডুবিতে কমপক্ষে ৫৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মাল্টা ও ইতালির ল্যাম্পেদুসার মধ্যবর্তী স্থানে এবং মিশরের আলেজান্দ্রিয়া বন্দরের কাছে দুটি পৃথক দুর্ঘটনায় এ প্রাণহানি হয়। মাল্টা ও ইতালির ল্যাম্পেদুসার মধ্যবর্তী স্থানে জাহাজ ডুবিতে প্রায় ৩৩ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। জাহাজটিতে প্রায় ২৫০ জন অভিবাসী ছিলো। এই নিয়ে এই মাসে ইতালিতে দ্বিতীয়বারের মতো জাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটলো।
ইতালির সংবাদ সংস্থা এএনএসএ জানিয়েছে, মৃতদের মধ্যে ১০ জন শিশুও রয়েছে। ল্যাম্পেদুসার ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মাল্টার নৌ বাহিনী জানিয়েছে, তাদের একটি জাহাজ এখন পর্যন্ত ১৫০ জনকে উদ্ধার করেছে। আর ইতালির নৌ বাহিনীর জাহাজ ৫৬ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে। গুরুতর আহতদের হেলিকপ্টারে করে ল্যাম্পেদুসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে মাল্টার সামরিক বাহিনীর বিমান প্রথমে দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজটি দেখতে পায়। মাল্টার কর্তৃপক্ষই মূল উদ্ধার তত্পরতা পরিচালনা করছে।
মাল্টার প্রধানমন্ত্রী জোশেফ মুসকাট রাজধানী ভ্যালেত্তায় এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন, জাহাজডুবিতে কমপক্ষে ২৭ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।’
এ মাসের শুরুতে সিসিলির দক্ষিণপশ্চিমে ল্যাম্পেদুসায় একটি জাহাজ ডুবির ঘটনায় কমপক্ষে ৩৩৯ জনের মৃত্যু হয়। জাহাজটির বেশিরভাগ অভিবাসীই ছিলো আফ্রিকার ইরিত্রিয়া ও সোমালিয়ার অধিবাসী।
এদিকে এক বিবৃতিতে মাল্টার প্রেসিডেন্ট মুসকাট এ সমস্যা নিরসনে ইউরোপকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলেন। তিনি বলেন, ‘এটা ইউরোপের সমস্যা। শুধুমাত্র ইতালি বা মাল্টার সমস্যা নয়।’
এদিকে গত সপ্তাহে জাহাজ ডুবির পরেই ইতালি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তা চেয়েছিলো।
জাতিসংঘের দেয়া এক তথ্যানুসারে, এ বছর ৩২ হাজার অভিবাসী দক্ষিণ ইতালি ও মাল্টায় পোঁছেছে।
এদিকে শুক্রবার মিশরের আলেজান্দ্রিয়া বন্দরের কাছে আরেকটি জাহাজ ডুবির ঘটনায় কমপক্ষে ১২ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনায় ১১৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা এখনও উদ্ধার তত্পরতা চালাচ্ছে।
উদ্ধারকৃতরা বেশিরভাগই ফিলিস্তিন ও সিরিয়ার নাগরিক। তাদেরকে কাছাকাছি একটি নৌ ঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আলেজান্দ্রিয়ার নিরাপত্তা প্রধান আমিন এজ্জেদ্দিন সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জানান, উদ্ধারকৃতদের মধ্যে সিরিয়ার ৪০ জন, ফিলিস্তিনের ৭২ জন ও মিশরের চার জন নাগরিক রয়েছেন। তাদের প্রাথমিকভাবে আলেজান্দ্রিয়ার রাস আল-তিনের একটি নৌ ঘাঁটি ও সেখান থেকে পুলিশ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button