ইংল্যান্ডের সবাইকে সপ্তাহে দু‘টি কোভিড টেস্টের পরিকল্পনা

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ইংল্যান্ডকে লকডাউন থেকে মুক্তি দিতে সপ্তাহে ২ দিন করোনা পরীক্ষার একটি পরিকল্পনা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিভিন্ন ভিড়পূর্ণ স্থানে ও অনুষ্ঠানে যাওয়ার অনুমতি হিসাবে অ্যাপ ভিত্তিক ‘পাসপোর্ট‘- এর ধারণা নিয়ে তার সরকার পুনরায় সমালোচনার সম্মুখীন হওয়ায় এই নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন।
উল্লেখ্য, ছয় মাস আগে সরকার ‘অপারেশন মুনশট‘ নামে ১০০ বিলিয়ন পাউন্ডের একটি ‘মাস টেস্টিং‘অর্থাৎ গণশনাক্তকরণ স্কীম গ্রহণ করে যা কখনো তার বর্ণিত আঙ্গিকে বাস্তবায়িত হয়নি। এর উদ্দেশ্য ছিলো আরেকটি লকডাউন ঠেকানো বা পরিহার। বর্তমান নতুন পরিকল্পনার আওতায় শুক্রবার থেকে প্রতি সপ্তাহে দুটি কোভিজ টেস্ট করা হবে। সোমবার এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর একটি ঘোষণা প্রদানের কথা।
স্কীম অনুযায়ী টেস্টিং কিট, বাড়িঘর কিংবা অন্তত: টেস্টিং সেন্টারসমূহ,কর্মক্ষেত্র এবং স্কুলসমূহে বিতরণ করা হবে, যাতে ভাইরাসের কমিউনিটি সংক্রমণ ঠেকানো যায়। এর পাশাপাশি চলবে টিকাদান কর্মসূচি।
টেস্টিং এন্ড ট্রেস ফোন অ্যাপও হালনাগাদ করা হবে, যাতে পাব ও অন্যান্য আতিথেয়তা কেন্দ্রগুলো খোলার পর একটি গ্রুপের সবাই নিবন্ধন করেন। এর সাথে পজিটিভ শনাক্ত হওয়া লোকজনকে তাদের ভ্রমণ করা অন্যান্য স্থান সম্পর্কে জানাতে বলা হবে। অবশ্য অনেক বিজ্ঞানী এই পরিকল্পনার বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। তারা টেস্টের স্রোতে ‘ফলস নিগেটিভ‘ আসার সম্ভাবনা কথা বলেছেন। তারা বরং পজিটিভ হওয়া লোকজনকে সেলফ আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
সিভিল লিবার্টিজ গ্রুপসমূহ এবং অনেক এমপি এই নতুন টেস্ট সিস্টেমকে পাব এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রবেশের ক্ষেত্রে ‘কোভিড সার্টিফিকেট‘ কিংবা কোভিড পাসপোর্ট হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে বলে শংকা প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে,এগুলো শুধুমাত্র অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের জন্য হওয়া উচিত এবং এটা বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে একটি ভ্যাকসিনেশন রেকর্ডের চেয়ে আলাদা কিছু হওয়া প্রয়োজন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button