কাঠগড়ায় ইরান: দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ক্ষতিপূরণ চায় ইউক্রেন

ইরানের হামলাতেই তেহরানের ইমাম খামেনি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পর ১৭৬ জন যাত্রী নিয়ে বিধ্বস্ত হয় ইউক্রেনগামী বোয়িং-৭৩৭ বিমান পিএস৭৫২। এমন কথা স্বীকার করে নিয়েছে ইরানের সেনাবাহিনী। এ ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও দায়ীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

শনিবার দায়ীদের শাস্তি ও ক্ষতিপূরণ দাবি করেন জেলেনস্কি বলেন, ইরান ইতোমধ্যে ইউক্রেনের বিমান ভূপাতিত করার দায় স্বীকার করেছে। তবে আমরা তাদের অপরাধের পূর্ণাঙ্গ স্বীকারোক্তি চাই। নিহতদের মরদেহ ফেরত, ক্ষতিপূরণ, বিচার, পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও সরকারিভাবে কূটনৈতিক মাধ্যমে ক্ষমা চাওয়ার নিশ্চয়তা চাই।

এদিকে গত বুধবার ইউক্রেন এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় পশ্চিমাদের কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছে ইরান। ওই বিমানটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করায় বিধ্বস্ত হয়েছে বলে মনে করেছিলেন পশ্চিমা নেতারা। তথ্যপ্রমাণ সেটিই নির্দেশ করছে বলেও উলেস্নখ করেন তারা। কানাডা এবং যুক্তরাজ্যের নেতারা এই বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত দাবি করেছিলেন। তবে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ইরান দায়ী নয় বলে দাবি করেছিল তেহরান।

ইরানের বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার প্রধান আলি আবেদজাদেহ বলেছিলেন, ‘বিমানটি যখন বিমানবন্দর এলাকা ছেড়ে যাচ্ছিল, তখন সেটি পশ্চিমমুখী ছিল। একটি সমস্যার কারণে সেটি ডান দিকে মোড় নিয়ে যখন বিমানবন্দরের দিকে পুনরায় ফিরে আসছিল, তখনই সেটি বিধ্বস্ত হয়। তিনি বলেন, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে আগুন জ্বলতে দেখেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। ইমাম খোমেনি বিমান বিমানবন্দরে ফিরে আসার আগে বিমানের পাইলট সাহায্য চেয়ে কোনো বার্তা পাঠাননি। বিমানটিতে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতের বিষয়টি বৈজ্ঞানিকভাবে অসম্ভব। এ ধরনের গুজব অযৌক্তিক।’ ইরান সরকারের একজন মুখপাত্র বলেন, বিমান বিধ্বস্ত জন্য ইরানকে দায়ী করা একটি ‘মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ’।

অবশেষে তথ্যপ্রমাণের কাছে ইরান নতি স্বীকার করে ইউক্রেনের উড়োজাহাজে হামলা চালিয়ে ভূপাতিত করার দায় স্বীকারের পর ‘গভীর দুঃখপ্রকাশ’ করে টুইট করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। তিনি বলেন, আমার সব ধ্যান ও প্রার্থনা শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলোর প্রতি। আমি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। এর আগে, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী জাভেদ জারিফও টুইটবার্তায় দায় স্বীকার করে দুঃখপ্রকাশ করেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button