ট্রাম্প ও এরদোগানের ‘দুর্দান্ত’ বৈঠক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানের মধ্যে বৈঠকে কোন সিদ্ধান্ত পৌঁছাতে পারেনি দুই দেশ। বুধবার (১৩ নভেম্বর) হোয়াইট হাউসে দুই নেতার মধ্যে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বহুল প্রতীক্ষিত এই আলোচনা কোন সিদ্ধান্ত ছাড়ায় শেষ হল। তবে বৈঠকটিকে ‘দুর্দান্ত’ বলেছেন দুই নেতাই। বৈঠকে দুই ন্যাটো সদস্য দেশের সম্পর্ক ভাল রাখতে ট্রাম্প এরদোগানকে রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্রয় থেকে দূরে থাকতে চাপ দিয়েছেন। এছাড়া বৈঠকে সিরিয়া সঙ্কট মোকাবিলা এবং কুর্দিদের বিরুদ্ধে তুর্কি আগ্রাসন বন্ধ করা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

বৈঠক শেষে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন দুই নেতা। সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প জানান, তিনি তুর্কি নেতার (এরদোগান) দুর্দান্ত ভক্ত এবং তাদের বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার এস -৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার বিষয়ে কথা বলা আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ ছিল কিন্তু আমরা এ বিষয়ে কথা বলেছি। আমরা আজকেও কথা বলেছি এবং ভবিষ্যতেও বলব। আমরা আশাবাদী আমরা এই সমস্যার সমাধান করতে পারব।’ বৈঠক নিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, ‘সমস্যা সমাধানে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলবে। আর ভাল সম্পর্ক বজায় রাখতে দুই দেশ একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে। মার্কিনীদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় শুরু হল।’ দুই দেশের মধ্যে সংকট নিরসনে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের কাজ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানায় ট্রাম্প। সংবাদ সম্মেলনের পরেই হোয়াইট হাউস থেকে দেশ দুটির ভাষায় একটি বিবৃতি দেওয়া হয়। আর দুই ভাষায় বিবৃতি দেওয়ার ফলে তাদের মধ্যকার যে স্নায়ু যুদ্ধ চলছে তার অবসান হবে বলে ধারণা করছে বিশ্লেষকরা।

উল্লেখ্য, এরদোগানকে বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানায় হোয়াইট হাউস। আর নীতিগত ইস্যুতে উত্তেজনা সত্ত্বেও তাকে এক উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন ট্রাম্প। এর আগে কুর্দিদের ওপর হামলা ও রাশিয়া থেকে ক্ষেপণাস্ত্র কেনার অভিযোগে তুর্কিদের ওপর নিশেধাজ্ঞা দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয় হোয়াট হাউস।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button