যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে শীর্ষে সিঙ্গাপুর

ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের বার্ষিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে প্রথম স্থানে উঠে এসেছে সিঙ্গাপুর। অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতার বিভিন্ন দিক যেমন- সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, অবকাঠামো, শ্রমবাজার ও উদ্ভাবনী ক্ষমতার মতো বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বুধবার ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। অবকাঠামো, স্বাস্থ্য, শ্রমবাজার এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মতো স‚চকগুলো সর্বোচ্চ স্কোর করার মাধ্যমে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান দখল করে সিঙ্গাপুর।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিঙ্গাপুরের কাছে প্রথম স্থান হারালেও উদ্ভাবনী পাওয়ার হাউজের জায়গা এখনও ধরে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে বাণিজ্যিক যুদ্ধের কারণে সিঙ্গাপুর এবং ভিয়েতনাম তালিকায় বেশ শক্ত অবস্থানে চলে এসেছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, দুটি এশীয় দেশ ‘বাণিজ্য বৈচিত্র্যের মাধ্যমে বিশ্ব বাণিজ্য উত্তেজনার ফলে উপকৃত হয়েছে।’ ভিয়েতনাম গত বছরের চেয়ে ১০ ধাপ এগিয়ে এ বছর ১৩৭ দেশের মধ্যে ৬৭তম অবস্থানে উঠে এসেছে। চীন থেকে ভিয়েতনামের দিকে ঝুকছে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানিকারকরা। ফলে চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ভিয়েতনাম থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি ৩৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশের কঠিন শুল্ক এড়ানোরও বিষয়টি রয়েছে। তবে চীন-যুক্তরাষ্ট্র এই বাণিজ্যযুদ্ধ সিঙ্গাপুরের জন্য স্পষ্ট বিজয় নিয়ে আসেনি, কেননা মূলত রপ্তানি নির্ভর দেশটির সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার হচ্ছে চীন। চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড কমে যাওয়ার প্রেক্ষিতে সিঙ্গাপুরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কম হবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল। আর ২০০৯ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট শুরু হওয়ার পর সবচেয়ে দুর্বল বার্ষিক প্রবৃদ্ধির পথে সঙ্গে সিঙ্গাপুর।
বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা সূচকের প্রথম পাঁচ দেশের তালিকায় হংকং, নেদারল্যান্ডস ও সুইজারল্যান্ড স্থান করে নিয়েছে। চলমান রাজনৈতিক সংকট সত্তে¡ও গত বছরের চেয়ে চার ধাপ উন্নতি হয়েছে হংকংয়ের। অর্থনীতির হাব হংকং সামষ্টিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ক্ষেত্রে ভালো করেছে, তবে উদ্ভাবনী ক্ষমতার ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। এর আগে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের প্রতিবেদনে সতর্ক করে দেয়া হয়েছিল যে, বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য ও ভ‚রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণে ‘অনিশ্চয়তা’ তৈরি হতে পারে। সেখানে আরও বলা হয়, এর কারণে বিনিয়োগ কম এবং সাপ্লাই স্টকের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে; যার কারণে গেøাবাল সাপ্লাই চেইন ব্যাহত, আর হঠাৎ করে দ্রব্যম‚ল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে ও গুরুত্বপূর্ণ সম্পদের সহজলভ্যতা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button