এপ্রিল মাসে যুক্তরাজ্যের ঋণ ২০.২ বিলিয়ন পাউন্ড, চাপে র্যাচেল রিভস
যুক্তরাজ্য সরকার এপ্রিল মাসে ২০.২ বিলিয়ন পাউন্ড ঋণ নিয়েছে, যা অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাস ১৭.৯ বিলিয়ন পাউন্ড‘র চেয়ে বেশি এবং ১৯৯৩ সালের পর থেকে এপ্রিল মাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ ঋণ। এই ঋণ বৃদ্ধির ফলে চ্যান্সেলর র্যাচেল রিভসের ওপর রাজস্ব বৃদ্ধি এবং জনসেবা উন্নয়নের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার চাপ বাড়ছে।
অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস (ওএনএস) জানিয়েছে, ঋণ বৃদ্ধির পেছনে প্রধান কারণ হলো জনসেবার ব্যয় বৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি-সংশ্লিষ্ট পেনশন ও সুবিধা প্রদান এবং অন্যান্য সরকারি ব্যয়ের বৃদ্ধি। যদিও নিয়োগকর্তার ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স অবদানের হার বৃদ্ধির ফলে রাজস্ব আয় ১.৭ বিলিয়ন পাউন্ড বেড়েছে, তবে ব্যয় বৃদ্ধি রাজস্ব বৃদ্ধিকে ছাড়িয়ে গেছে।
এই পরিস্থিতিতে, র্যাচেল রিভসের আর্থিক কৌশল নিয়ে সমালোচনা বাড়ছে। তিনি ইতিমধ্যে প্রতিবন্ধী সুবিধা হ্রাস এবং জনসেবা ব্যয় কমানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, তবে ঋণ বৃদ্ধির কারণে আরও কঠোর পদক্ষেপের প্রয়োজন হতে পারে। কিছু অর্থনীতিবিদ ধনীদের ওপর কর বৃদ্ধি, যেমন সম্পদ কর, বিবেচনার পরামর্শ দিয়েছেন।
বর্তমানে, যুক্তরাজ্যের মোট সরকারি ঋণ জিডিপির ৯৫.৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা ১৯৬০ এর দশকের পর সর্বোচ্চ। এই ঋণ পরিস্থিতি রিভসের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ, কারণ তিনি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রেখে জনসেবা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আগামী মাসে আসন্ন ব্যয় পর্যালোচনার আগে, এই ঋণ বৃদ্ধি রিভসের ওপর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।