‘বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে’

বাংলাদেশে বর্তমানে রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে মনে করে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত পৃথক মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা এই দাবি করেন।
মানবাধিকার কমিশনের বিভাগীয় সমন্বয়কারী মতিয়ার রহমান বলেন, হরতাল-অবরোধের কারণে প্রচ-ভাবে মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। তাই বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য সকল রাজনৈতিক নেতাদের একই প্লাটফর্মে এসে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। অন্তর্জাতিক মহলও এই সমস্যার দ্রুত সমাধান চায় বলে তিনি দাবি করেন।
একটি মানববন্ধনে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, গৃহে, পরিবারে, সমাজে, কর্মক্ষেত্রে, রাষ্ট্রে নারী দৈহিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নের জন্য সকল ক্ষেত্রে নারী ও কন্যা শিশুর প্রতি সকল প্রকার নির্যাতন প্রতিরোধ ও নির্মূল করতে হবে।
হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যশনালের মানববন্ধনে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, দেশে এক গণতন্ত্রহীন পরিস্থিতি বিরাজ করছে। হরতাল-অবরোধ, রাজনৈতিক সহিংসতায় সাধারণ মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে চরম পর্যায়ে। সরকার মানবাধিকার কে বিশ্বাস করে না, করলে জনগণের স্বার্থে ক্ষমতা ছেড়ে দিতো। জনগণের অধিকার আদায়ের লড়াই শুরু হয়েছে আর এ লড়াই কোনো দলের স্বার্থের জন্যে নয়।
বাংলাদেশ মানবাদিকার সমন্বয় পরিষদের (বামাসপ) মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ক্ষমতার জন্য নয়, জনতার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে রাজনীতি করতে হবে; তাহলেই মানবাধিকার রক্ষা হবে।
বিশ্ব মানবাধিকার দিবসকে সামনে রেখে ’মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়ন সংস্থা’ পুরানা পল্টন থেকে শাহবাগ হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পর্যন্ত একটি র‌্যালি ও পথসভা করে।
এ ছাড়াও প্রেসক্লাবের সামনে মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ইউনাইটেড মুভমেন্ট হিউম্যান রাইটস, হিউম্যান রাইটস কনভেনশন সোসাইটি, এশিয়া ছিন্নমূল মানবাধিকার ফাউন্ডেশন, আমাদের আইন, ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইটস এন্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটি, মানবাধিকার ও পরিবেশ সাংবাদিক সোসাইটি, বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতি, এশিয়া হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন মানববন্ধন ও পথসভা করেছে।
হরতাল-অবরোধ, রাজনৈতিক অস্থিরতার মাঝেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা, মানুষের অধিকার, নৈতিকতা ও জবাবদিহিতা সৃষ্টি করার জন্য দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে ৬৫তম বিশ্ব মানবাধিকার দিবস।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button