কানাডায় পরিবারসহ মাইগ্রেশনের সুযোগ

বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও নাগরিকত্ব গ্রহণের সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীসহ অনেকেরই স্বপ্ন। সঠিক পরিকল্পনার অভাবে ও বাস্তব জ্ঞান না থাকার কারণে এই স্বপ্ন মাঝেমধ্যে দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়। বিদেশে পড়াশোনা করতে চাইলে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনার সঠিক ধারণা থাকতে হবে। এ বিষয়ে একজন দক্ষ কনসালট্যান্ট বা আইনজীবীর পরামর্শ নিয়েও ভর্তির পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা যেতে পারে। বাংলাদেশে যে কয়েকজন আইনজীবী সুনামের সঙ্গে অভিবাসন বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম আন্তর্জাতিক অভিবাসন আইন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বিনামুল্য অ্যাসেসমেন্ট প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করে থাকেন। এ বিষয়ে নয়া দিগন্তের পাঠকদের জন্য পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। কানাডায় পরিবারসহ স্কিল্ড মাইগ্রেশনের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রোগ্রামগুলোর প্রয়োজনীয় প্রাথমিক তথ্য-

১. এক্সপ্রেস এন্ট্রি ও পি.এন.পি
মোট ৭ টি সাব-ক্যাটাগরি রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো স্কিল্ড ইমিগ্রেশন। এক্সপ্রেস এন্ট্রি ও পিএনপি এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রোগ্রাম। ২০১৯ সালের মার্চ মাসের ২০ তারিখে সর্বশেষ ড্রতে ৩ হাজার ৩৫০ জন আইটিএ পেয়েছেন। সর্বনিম্ন সিআরএস স্কোর ছিল ৪৫২। ২০১৮ সাল পর্যন্ত সর্বমোট ২১ হাজার জন আইটিএ পেয়েছেন। এক্সপ্রেস এন্ট্রির মাধ্যমে প্রতি পনেরো দিনে ৩৫০০-৪০০০ স্কিল্ড ইমিগ্র্যান্ট হিসাবে আসার আমন্ত্রণ পাচ্ছে। কমপক্ষে গ্র্যাজুয়েট, ২ বছরের উপরের চাকুরীর অভিজ্ঞতা, আইইএলটিএস এ কমপক্ষে ৬ স্কোর থাকলে আবেদন করা যায়।

তবে কানাডা সরকার অগ্রাধিকার ভিক্তিতে ১০টি পেশাজীবীদের বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে । পেশাগুলো হলো সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ, অ্যাকাউন্ট্যান্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রজেক্ট ম্যানেজার, বিজনেস অ্যানালিস্ট, কাস্টমার সার্ভিস রিপ্রেজেন্টেটিভ, আইটি প্রজেক্ট ম্যানেজার, সিনিয়র অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ও ম্যানুফ্যাকচারিং। এ ছাড়া অন্যান্য দক্ষ পেশাজীবীরা যেমন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যাংকার, নার্স, শিক্ষক, কৃষিজীবী, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাগণও আবেদন করতে পারেন।

এক্সপ্রেস এন্ট্রি ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন প্রভিন্সনাল প্রোগ্রাম । ব্রিটিশ কলম্বিয়া, ওন্টারিও, নিউব্রান্সউইক, কুইবেক, প্রিন্স অ্যাডওয়ার্ড আইল্যান্ড, সাস্কাচেওয়ান, নভো স্কশিয়া ছাড়াও রয়েছে আটলান্টিক ইমিগ্রেশন পাইলট প্রোগ্রাম, নর্দার্ন ওন্টারিওতে পাইলট প্রোগ্রামও চালু হতে যাচ্ছে।

২. স্টুডেন্ট ভিসা:
কানাডা ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টদের ভিসা অনেক সহজ করে দিয়েছে। তারা যাতে পড়াশোনা শেষ করে খুব দ্রুত চাকরি পায় এবং পিআর পেতে পারে সে জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। কানাডা ২০১৯ সালে কমপক্ষে ৫ হাজার ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট ভিসা ইস্যু করবে, এ কথা আইআরসিসি থেকে জানানো হয়েছে। এই বিষয়ে প্রথমে আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয় সিলেক্ট করতে হবে এবং অফার লেটার গ্রহণ করতে হবে। এরপর আবেদন করতে হবে স্টাডি পারমিটের জন্য। কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসা নামক কোন ভিসা হয় না। আবেদন করতে হয় ইটিএ নামক ভিসার জন্য। তবে ৬ মাসের কম সময়ের মেয়াদের কোন প্রোগ্রামের জন্য কোন স্টাডি পারমিট নিতে হয় না। এই ধরনের ভিসার জন্য আর্থিক সামর্থ্যর সাথে ভালো আইইএলটিএস স্কোরও থাকতে হয়।

৩. টুরিস্ট ভিসা:
প্রতি বছর প্রায় ৩৫ মিলিয়ন লোক কানাডায় ভ্রমণে যায়। ২ ধরনের টুরিস্ট ভিসা হয়। সিঙ্গেল এন্ট্রি ও মাল্টিপল এন্ট্রি। সর্বোচ্চ ১০ বছরের মাল্টিপল ভিসা দিয়ে থাকে। তবে একসাথে থাকা যায় ৬ মাস পর্যন্ত। সাধারণত ৩ সপ্তাহের মত সময় লাগে ভিসা ইস্যু করতে। অনলাইন ও অন পেপার এই দুই মাধ্যমে আবেদন করা যায়। আবেদন করতে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রয়োজন হয়।
অ্যাডভোকেট শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ
মাইগ্রেশন কনসালট্যান্ট ও আইনজীবী
অফিস : ওয়ার্ল্ডওয়াইড মাইগ্রেশন কনসালট্যান্টস লিমিটেড
খাঁন টাওয়ার, ৫১ সোনারগাঁ জনপথ, সেক্টর ৭, উত্তরা, ঢাকা।
ওয়েবসাইট : www.wwbmc.com
ইমেইল : info@worldwidemigration.org
ফোন : ০১৯০৪০৩৬৮৯৮, ০১৯৮৭৭১৪২৯০, ০১৯০৪০৩৬৮৯৯, ০১৯০৯০৮৩৯৬৩, ০১৯০৯০৮৩৯৬২, ০১৭৮৫৭০০৭৫৮

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button