নয়াসড়ক চত্বর এখন থেকে ‘মাদানী চত্বর’

পিতার নামে নির্মিত চত্বর উদ্বোধনে মাদানী পুত্র

পিতা ছিলেন ভারত উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেম। বিশ্বনন্দিত ইসলামি বিদ্যানিকেত দারুল উলূম দেওবন্দের সাবেক সদরুল মুদাররিসীন (প্রধান শিক্ষক)। যিনি ছিলেন বিশ্বমানবতার মুক্তির সনদ মহানবী সা.এর বংশের লোক। যিনি বিশ্বজুড়ে ‘শায়খুল ইসলাম’ নামে খ্যাতি লাভ করেন।

সায়্যিদ হোসাইন আহমদ মাদানী রাহ.। তাঁর স্মৃতি রক্ষার্থে আধ্যাত্মিক রাজধানী সিলেট নগরীতে নির্মিত মাদানী চত্বর উদ্বোধন করলেন প্রয়াত সেই বুযুর্গের ছেলে সায়্যিদ আসজাদ মাদানী।
রোববার সন্ধ্যায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর ও নয়াসড়ক মসজিদের মুসল্লি ও বিশিষ্ট আলেম-উলামাদের উপস্থিতিতে এ চত্বরের আনুষ্টানিক উদ্বোধন করেন তিনি।
এর আগে নয়াসড়ক জামে মসজিদে মাগরিবের নামাজ আদায় শেষে আগত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বয়ান পেশ করেন তিনি। এসময় দেশবাসী ও বিশ্বের মোসলমান নর-নারীর কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করা হয়। পরে নয়াসড়কে অবস্থিত ‘মাদানী চত্বরের উদ্বোধন করেন।

নগরীর ঐতিহ্যবাহী নয়াসড়ক চত্বরের নতুন নামকরণ করা হয়েছে। এখন থেকে এ চত্বরের নাম হবে ‘মাদানী চত্বর’। উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন, বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সিপাহসালার ভারতের বিখ্যাত ইসলামী বিদ্যাপীঠ দারুল উলুম দেওবন্দের সাবেক সদরুল মুদাররিসীন আওলাদে রাসুল (সা.) শায়খুল ইসলাম সায়্যিদ হুসাইন আহমদ মাদানীর (রহ.) নামে এখন থেকে এ চত্বরটির নামকরণ হবে।

উদ্বোধন শেষে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানান, সিলেটের ইসলামী মূল্যবোধ বিকাশের ইতিহাসে উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানীর নাম এখনো ঘরে ঘরে। তিনি বলেন, উপমহাদেশের এই ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের সাথে নয়াসড়ক জামে মসজিদের অনেকদিনের স্মৃতি বিজড়িত।
তিনি জানান, ১৯২২ সাল থেকে তিনি সিলেটের সঙ্গে সম্পর্কিত হন। প্রথম দিকে একটানা তিন বছর অবস্থান করেন। পরে ১৯৪৭ পূর্ববর্তী সময়ে প্রতিবছর রমজান মাসে সিলেট আসতেন। তাঁর কেন্দ্র ছিল ঐতিহাসিক নয়াসড়ক জামে মসজিদ। আজও এই প্রখ্যাত আলেমের স্মৃতি সিলেট নগরীতে সজীব রয়েছে। আমরা সকলের পবিত্র আবেগের প্রতি সম্মান পোষণ করি। তাই তাঁর স্মৃতি সংরক্ষণের জন্যই নয়াসড়ক পয়েন্টকে ‘মাদানী চত্বর’ নামে নামকরণ করা হয়েছে।

এসময় সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নয়াসড়ক সহ সিলেটের ধর্মপ্রান মুসল্লি, উলামায়ে কেরামগন উপস্থিত ছিলেন। পরে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর পিতা মরহুম শফিকুল হক চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ ও শিরনী বিতরণ করা হয়।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button