সুইজারল্যান্ডে এই প্রথম নিষিদ্ধ হলো নিকাব

Niqabসুইজারল্যান্ডের একটি রাজ্যে মুসলিম নারীদের নিকাব পরা নিষিদ্ধ করে একটি প্রস্তাব গণভোটে পাস হয়েছে। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় টিসিনো রাজ্যে রোববার ওই গণভোটে প্রকাশ্যে নিকাব পরা নিষিদ্ধ করার পক্ষে ভোট পড়েছে ৬৫ শতাংশ। দেশটির মুসলিম সম্প্রদায় এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এ উদ্যোগের নিন্দা জানিয়েছে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, রাজপথ কিংবা জনগণের জন্য উন্মুক্ত কোনো স্থানে কেউ মুখ ঢেকে রাখতে পারবে না। তবে উপসনালয়ে নিকাব পরা যাবে। এর আগে ফ্রান্স ও বেলজিয়ামে নিকাব নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
প্রস্তাবটি গণভোটে পাস হওয়ার পর এই প্রস্তাবের পক্ষে জোর প্রচারণাকারী একটি দলের প্রধান দম্ভ করে বলেছেন, ‘এখন এই দৃষ্টান্ত পুরো সুইজারল্যান্ড ও বিশ্বের অন্যত্র অনুসরণ করা হবে।’
সুইজারল্যান্ডের ২৬টি রাজ্যের মধ্যে এই প্রথম কোনো রাজ্যে নেকাব নিষিদ্ধ করা হলো। টিসিনোর স্থানীয় সংবিধানে এখন নিকাব নিষিদ্ধ করা হবে এবং আইন অমান্যকারীদের জরিমানার বিধান রাখা হবে।
এই প্রস্তাবের নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতিতে একে ‘ইসলামভীতির আরেকটি সামাজিক প্রকাশ’ বলে মন্তব্য করেছে সুইজারল্যান্ডের সেন্ট্রাল ইসলামিক কাউন্সিল। এতে মুসলমানদের জীবন আরও দুর্বিষহ হয়ে পড়বে বলে মন্তব্য করেছে সংগঠনটি।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক বিবৃতিতে ওই প্রস্তাবের নিন্দা জানিয়ে দেশটিতে ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষার জন্য সুইজারল্যান্ডের সংসদ সদস্যদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছে।
সুইজারল্যান্ডের ৮০ লাখ বাসিন্দার মধ্যে মুসলমানের সংখ্যা ৪ লাখ। টিসিনো রাজ্যে সবচেয়ে কম লোক বাস করে ৩ লাখ ৫০ হাজার। দেশটির মোট জনসংখ্যার ৫ ভাগ মুসলিম হলেও টিসিনোতে মুসলমানের সংখ্যা মাত্র ২ ভাগ।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button