১ হাজার ৪৫টি কাউন্সিল বাড়ী বিক্রি করে টাওয়ার হ্যামলেটসের ১১৩ মিলিয়ন আয়

মেয়র ফেরত চাইলেন সব অর্থ

টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র জন বিগস নতুন কাউন্সিল বাড়ী নির্মানের লক্ষ্যে রাইট টু বাই স্কীম থেকে প্রাপ্ত অর্থ শতভাগ ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছেন। সম্প্রতি প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে, ২০১৩ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলে রাইট টু বাই এর অধীনে মোট ১ হাজার ৪৫টি কাউন্সিল ফ্ল্যাট বিক্রি হয়েছে।

সরকারের নিয়ম অনুযায়ী কাউন্সিল ট্যানেন্টরা রাইট টু বাই স্কীমের অধীনে ডিসকাউন্ট প্রাইসে তাদের ফ্ল্যাট বা বাড়ী কাউন্সিলের কাছ থেকে কিনতে পারেন। এই আইনে ২০১৩ এর পর টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল তাদের ট্যানেন্টদের কাছে ১ হাজার ৪৫ টি বাড়ী বিক্রি করে মোট আয় করেছে ১১৩ মিলিয়ন পাউন্ড। কিন্তু আইন মোতাবেক কাউন্সিল এই আয়ের মাত্র ৩০% নতুন কাউন্সিল বাড়ী নির্মানে ব্যবহার করতে পারে।

আর এজন্য বারার নির্বাহী মেয়র জন বিগস নতুন কাউন্সিল বাড়ী নির্মানের লক্ষ্যে রাইট টু বাই থেকে প্রাপ্ত অর্থ শতভাগ ব্যবহারের দাবী জানিয়েছেন। মেয়র একই সাথে এই অর্থ ৩ বছরের মধ্যে ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা তুলে দেয়ারও দাবী করেছেন। এই বাধ্যবাধকতার কারনে নতুন বাড়ী নির্মানে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলকে তার বাড়ী নির্মান বাজেটের মোট ৩৭৬ মিলিয়ন পাউন্ডের মধ্যে ২৬৪ মিলিয়ন পাউন্ড অন্যত্র থেকে বরাদ্দ করতে হচ্ছে।

সরকার কতৃক এব্যাপারে আইন পরিবর্তনের আভাস পাওয়ার পর মেয়র এই অর্থ কাউন্সিলগুলোকে নতুন কাউন্সিল বাড়ী নির্মানে শতভাগ ব্যবহারের অনুমতি প্রদানের দাবী করলেন। সম্প্রতি সরকার রাইট টু বাই থেকে প্রাপ্ত অর্থ ব্যবহারের পরিমান ৩০% থেকে বাড়িয়ে ৫০% করার চিন্তাভাবনার কথা জানিয়েছে। একই সাথে সরকার ৩ বছরের সময়সীমাকেও শিথিল করতে চাচ্ছে।

মেয়র বলেন, টাওয়ার হ্যামলেটসে বর্তমানে ১৯ হাজার বাসিন্দা কাউন্সিল বাড়ীর জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন। মোট ২ হাজার নতুন কাউন্সিল বাড়ী নির্মানের লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সরকার রাইট টু বাই স্কীমের অধীনে বিক্রিত বাড়ীর অর্থ পুনরায় নতুন বাড়ী নির্মানে শতভাগ ব্যবহারের অনুমতি দিলে বাড়ীর জন্য অপেক্ষায় থাকা বাসিন্দারা উপকৃত হবেন।

মেয়র বলেন, বাধ্যবাধকতার কারনে সম্প্রতি জিএলএ থেকে প্রাপ্ত ১৩ মিলিয়ন পাউন্ড অর্থও আমরা রাইট টু বাই এর সাথে ব্যবহার করতে পারছি না।

ডেপুটি মেয়র এবং কেবিনেট মেম্বার ফর রিজেনারেশন কাউন্সিলার র‌্যাচেল ব্ল্যাক তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমাদের উচিৎ কাউন্সিল হাউসগুলোকে রক্ষা করা। কাউন্সিল বাড়ী নির্মানে আমাদের উচ্চাভিলাসী পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু একই সাথে আমরা পুরাতন বাড়ীও হারাচ্ছি। সরকার রাইট টু বাই স্কিমের অধীনে বিক্রিত অর্থ ব্যবহারে বিধি নিষেধ আরোপ করে পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলেছে। সরকারের উচিৎ এ সংক্রান্ত আইন পরিবর্তনের মাধ্যমে কাউন্সিলকে এই অর্থ ব্যবহারের স্বাধীনতা দেয়া।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button