জাপানের হালাল মার্কেট ২০২০ অলিম্পিকের জন্য প্রস্তুত

জাপানের রাজধানী টোকিও নগরীতে ২০২০ সালে অনুষ্ঠিতব্য অলিম্পিক গেমসে মুসলিম ক্রীড়াবিদ ও পর্যটকদের হালাল খাবারের বিষয় নিয়ে আর দুশ্চিন্তা করতে হবে না। জাপানের হালাল মার্কেট ইতোমধ্যে টোকিও অলিম্পিক গেমস উপলক্ষে হালাল খাদ্য সরবরাহের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। জাপানে ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত হালাল রেস্তোরাঁর সংখ্যা ৪টি থেকে ১৮০টিতে বৃদ্ধি পেয়েছে। অবশ্য এগুলোর মধ্যে ফাইন ডাইনিং এস্টাবলিশমেন্টও রয়েছে, যেগুলো জাপানের ঐতিহ্যবাহী খাবার সরবরাহ করে।

এসব ক্ষেত্রে মুসলিম শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে। ২০১৪ সালে কানদা ইউনিভার্সিটি অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ শকুজিন ক্যাফেটেরিয়া চালু করেছে- যেগুলো নিপপন এশিয়া হালাল অ্যাসোসিয়েশন-এর সনদ লাভ করেছে। ২০১৭ সালে অপর জনপ্রিয় চেইন কারি হাউস কোকো ইচিবানিয়া তার হালাল আকিবাবারা শাখা চালু করে। রেস্টুরেন্টটি জানায়, যখন বিভিন্ন ধর্ম ও সংস্কৃতির লোক জাপান সফরে আসবেন, তখন আমরা একটি রেস্তোরাঁর উন্নয়ন সাধন করতে চাই, যেখানে মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা উদ্বেগমুক্তভাবে খাবার উপভোগ করতে পারবেন। তারা আরো জানায়, যদিও কিছু উপাদান সংগ্রহ করা সহজ নয়, তবুও হালাল আকিহাবারা শাখার সাথে তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে এগুলোকে আরো সম্প্রসারিত করা হবে।

আরব বিশ্বে ইতোমধ্যে বিশেষভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা জাপানী ওয়াগিউ গরুর মাংস মুসলিম দেশগুলোতেও এর স্বাদ ও সজীবতার দরুন ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে। হালাল ওয়াগিউ ইয়াকিনিকু পাংগা টোকিওর টেইটো ওয়ার্ডে ইতোমধ্যে এর একটি শাখা প্রতিষ্ঠা করেছে হালাল ভোক্তাদের জন্য এবং রেস্তোরাঁর ‘ফুড কালচার’ বিকশিত করছে। পাংগার পরিচালক ও ব্যবস্থাপক সুং গি হং বলেন, আমার বোন ২০১৫ ও ২০১৭ সালেরও মধ্যবর্তী সময়ে যখন ইন্দোনেশিয়ায় ছিলো, তখন সে তার মুসলিম বন্ধুদের জাপানে আসার জন্য বলেছিলো। কিন্তু তারা জবাব দিয়েছিলো, সেখানে তারা খাবে কী, কারণ জাপানে হালাল রেস্তোরাঁ খুজে পাওয়া মুশকিল। যখন আমরা তা শুনলাম, আমরা ভাবলাম, বিষয়টি দুঃখজনক। কারণ আমরা যখন ভ্রমণ করি তখন আমরা স্থানীয় খাবার চাই। কিন্তু মুসলিমরা যারা জাপানে আসে, তখন তারা খাবারের স্থান খুঁজে পেতে অসুবিধায় পড়ে।

রেস্টুরেন্ট চেইন ১৯৯৯ সাল থেকে চালু রয়েছে এবং ২০১৫ সালে এটা হালাল সার্টিফিকেট অর্জন করে জাপান হালাল ফাউন্ডেশন থেকে। হং বলেন, ইতোমধ্যে পাংগা বিপুল সংখ্যক মুসলিম গ্রাহককে আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বিপুল সংখ্যক লোক আমাদের এ-ফাইভ প্রিমিয়াম ওয়াগিউ প্ল্যাটারের স্বাদ নিতে আসে, তারা এখানে বিভিন্ন ধরনের ওয়াগিউ বিফ ও সিরলোইন স্টিক উপভোগের সুযোগ পান। সিনজুকু গিয়োয়েন র‌্যামেন অউকা হচ্ছে অপর একটি রেস্টুরেন্ট, যা টোকিওর ব্যস্ততম এলাকাগুলোতে হালাল খাদ্য রান্নাকারী রেস্তোরাঁসমূহের একটি। টোকিওর অন্যান্য হালাল রেস্তোরাঁগুলোর মধ্যে রয়েছে আসাকুসা সুশি কেন, সুমিয়াকিয়া হালাল গ্রিল, হানাসাকা জি-সান এবং কো-সো ক্যাফে বায়োরাইজ।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button