প্রথম ব্যক্তি হিসেবে কানাডার সম্মানসূচক নাগরিকত্ব হারালেন সুচি

আনুষ্ঠানিকভাবে কানাডার সম্মানসূচক নাগরিকত্ব হারালেন মিয়ানমারের বেসামরিক অংশের নেত্রী অং সান সুচি। মিয়ানমারের রাখাইন অঙ্গরাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নির্যাতনে ভূমিকা রাখার দায়ে কানাডার পার্লামেন্ট গতকাল মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে তার সম্মানসূচক নাগরিকত্ব বাতিল করে দিয়েছে কানাডার পার্লামেন্ট।

সুচি হচ্ছেন কানাডার ইতিহাসে প্রথম ব্যক্তি যার সম্মানসূচক নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে। কানাডার পার্লামেন্ট মঙ্গলবার সর্বসম্মতভাবে তার নাগরিকত্ব বাতিলের পক্ষে ভোট দিয়েছে। ২০০৭ সালে তাকে এই নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছিল।

গত সপ্তাহে দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ অব কমন্স একইভাবে সর্বসম্মতিক্রমে তার নাগরিকত্ব বাতিলের পক্ষে ভোট দেয়।

গত মাসে জাতিসংঘের একটি তথ্য-অনুসন্ধানী মিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী গত বছর পদ্ধতিগতভাবে হাজার হাজার বেসামরিক রোহিঙ্গা মুসলিমকে হত্যা করেছে। তাদের গ্রাম পুড়িয়ে দিয়েছে, গণধর্ষণ করেছে ও জাতিগত নিধনযজ্ঞ চালিয়েছে।

জাতিসংঘের মিশনটি মিয়ানমারের শীর্ষ জেনারেলদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ তদন্তের আহবান জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে হাউজ অফ কমন্স বলেছে, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর মানবতাবিরোধী অপরাধকে গণহত্যার স্বীকৃতি দিয়েছে। মঙ্গলবার নিম্নকক্ষ সিনেটও সামরিক বাহিনীর নৃশংসতাকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছে।

সিনেটর রত্না অমিদভার বলেন, আমাদের এই নৃশংসতাকে এর সত্যিকার পরিচয়ে চিনতে হবে। এটা গণহত্যা। আর আমাদের এটাকে এই নামেই ডাকা উচিত।
প্রসঙ্গত, অমিদভারই সুচির নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার প্রস্তাব তুলেছিলেন পার্লামেন্টে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button