নেপালের কাছে হেরে সাফ থেকে বিদায় নিল বাংলাদেশ

নয় বছরের অপেক্ষাটা এবারও ফুরালো না। বাংলাদেশের ফুটবলের ‘নবযাত্রা’র শুরুটা ভালো হলেও ধারাটা ধরে রাখতে পারলো না জামাল ভূঁইয়া-সাখাওয়াতরা। হেরে বিদায় নিলো সাফ ফুটবল থেকে। ওঠা হলো না কাঙ্খিত সেমিফাইনালে।

টুর্নামেন্টে অবশ্য দারুণ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। দুই ম্যাচে তুলে নিয়েছিল ৬ পয়েন্ট। শনিবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে নেপালের বিপক্ষে সমতা হলেই গ্রুপ সেরা হয়ে সেমিতে চলে যেতো বাংলাদেশ। কিন্তু গোলরক্ষকের এক ভুল সব অর্জন ব্যর্থ করে দিল। নেপালের বিপক্ষে গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেলের ভুলে গোল খেয়ে গেল বাংলাদেশ। আর শেষের আর গোলে ২-০ ব্যবধানে হেরে স্বাগতিক হয়েও বিদায় নিল সাফ ফুটবল থেকে। পাকিস্তানের সঙ্গে নেপাল উঠে গেল সেমিফাইনালে।

বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং নেপাল তাদের খেলা তিন ম্যাচে দুটি করে জয় পেয়েছে। একটি করে ম্যাচ হেরেছে তিন দলই। কিন্তু গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় বিদায় নিতে হয়েছে বাংলাদেশের। দিনের প্রথম ম্যাচে ভুটানকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে পাকিস্তান। তারা তিন ম্যাচে মোট গোল দিয়েছে পাঁচটি।

আর প্রথম ম্যাচ হেরে শুরু করা নেপাল দ্বিতীয় ম্যাচে ভুটানকে ৪-০ ব্যবধানে হারায়। এরপর বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পায় ২-০ গোলের। তারা মোট গোল দিয়েছে ছয়টি। আর বাংলাদেশ তাদের খেলা তিন ম্যাচে গোল করতে পেরেছে তিনটি। গোল ব্যবধানে তাই সেমিতে চলে গেছে নেপাল এবং পাকিস্তান।

ম্যাচের আগে অবশ্য জেমি ডে’ও সতর্ক ছিলেন। গ্রুপ পর্বের আগের দুই ম্যাচে কোন গোল খাইনি বাংলাদেশ। পাকিস্তান বেশ ক’বার পরীক্ষা নিলেও ভাঙতে পারেনি রক্ষণভাগের দেয়াল। নেপালকেও প্রথমার্ধে বাংলাদেশের রক্ষণ কাঁপানো কোন আক্রমণ করতে দেয়নি। বরং বেশ কিছু আক্রমণ করে বাংলাদেশ।

কিন্তু ম্যাচের ৩৩ মিনিটে দূর থেকে বিমান ঘাটির নেওয়া ফ্রি কিক ঠেকাতে পারেননি বাংলাদেশ গোলরক্ষক সোহেল। তার হাতে লেগে সহজ বল ঢুকে যায় বাংলাদেশের জালে। এরপর ৯০ মিনিটে বাংলাদেশের জালে আরও এক গোল দিয়ে দেয় হিমালয়ের দেশ নেপাল।

নেপাল অবশ্য র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের থেকে এগিয়ে। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে তারা হেরেছে ভাগ্যের কারণে। আর তাই জেমি ডে সতর্ক করে দেন তার শিষ্যদের। ফুটবলে অনেক কিছুই হতে পারে বলে জানান তিনি। গ্রুপ পর্বের প্রথম দুটি ম্যাচ জিতে বিদায় নেওয়াটা হতাশার হবে বলেও জানান বাংলাদেশ কোচ। তার ফুটবল কোচিং ক্যারিয়ারে দুই ম্যাচ জিতেও বিদায় নেওয়ার এমন অভিজ্ঞতা নেই বলেও জানান তিনি। কিন্তু বাংলাদেশে এসে তাকে সেই স্বাদ নিতে হলো।

ম্যাচে অবশ্য নেপাল প্রথমার্ধে বাংলাদেশের থেকে বেশি বল পায়ে রাখে। ম্যাচে মোট বাংলাদেশ ৫১ শতাংশ বল পায়ে রাখে। সফল পাস এবং মোট বল পাসেও এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু পায়নি কাঙ্খিত গোল। আর তাই হেরে বিদায় নিতে হলো সাফ ফুটবলের গ্রুপ পর্ব থেকে। ঘরের মাঠে সাদ-সুফিলরা হয়ে গেলো দর্শক।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button