গণমানুষের কবি দিলওয়ার আর নেই

Delwarদেশের খ্যাতিমান কবি দিলওয়ার আর নেই। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে বারটার দিকে তিনি তার নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন) কবি দিলওয়ার দীর্ঘদিন থেকে নানা রোগে ভূগছিলেন। তার মৃত্যুতে সিলেটের সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কবিকে শেষবারের মতো দেখার জন্য তার ভক্ত ও শুভাকাঙ্খিরা বাসায় ভিড় জমিয়েছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। তিনি ৪ পুত্র ও ৩ কন্যা রেখে গেছেন।
বাংলা একাডেমী পদকসহ অসংখ্য জাতীয় পদকে ভূষিত হয়েছিলেন গণমানুষের কবি দিলওয়ার। কবি আল মাহমুদ, কবি আবুল হোসেন ছাড়া আর দেশের আর প্রায় সব খ্যাতিমান কবিই তার সমসাময়িক বা অনুজ। মানবতাবাদী কাব্য সাধনার জ্য কবি দিলওয়ার ‘গণমানুষের কবি হিসেবে খ্যাতিমান ছিলেন।পারিবারিক সূএে জানা গেছে, আজ বাদ এশার  ভার্থখলা জামে মসজিদের তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
‘রক্তে আমার অনাদি অস্থি’, ‘কীন ব্রীজে সুর্যোদয়সহ অসংখ কালোত্তীর্ণ কবিতার জনক কবি দিলওয়ার নগরীর ভার্থখলার খান মঞ্জিলের বাসিন্দা। তার পুরো নাম দিলওয়ার খান। ১৯৩৭ সালের ১ জানুয়ারী তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মৌলভী হাসান খান ও মাতা রহিমুন্নেসা। ১৯৪৯ সালে সাপ্তাহিক যুগভেরীতে ‘সাইফুল্লাহ হে নজরুল’ শীর্ষক কবিতাটি তার প্রথম প্রকাশিত কবিতা। এ পর্যন্ত তার ১৪টি কবিতা, গীতি কবিতা ও গানের বই প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া, তার প্রবন্ধ কলাম সংলকন প্রকাশিত হয়েছে একাধিক। প্রথম জীবনে শিক্ষকতা করলেও পরে ১৯৬৭ সালে দৈনিক সংবাদের সহকারী সম্পাদক হিসেবে প্রবেশ করেন সাংবাদিকতায়। ১৯৭৩-৭৪ সালে অধুনালুপ্ত দৈনিক গণকন্ঠের সহকারী সম্পাদক ছিলেন। ১৯৮৪ সালে তিনি ঢাকাস্থ রুশ সংস্কৃতি কেন্দ্রের মাসিক উদয়ন পত্রিকার সিনিয়র অনুবাদক ছিলেন। ১৯৭২ সালে গ্রামোফোন কোম্পানী তার ৪টি গানের সংকলন প্রকাশ করে। বাংলাদেশ বেতারের সিলেট কেন্দ্রের সূচনা হয় তার রচিত ‘তুমি রহমতের নদীয়া, দোয়া করো মোরে হযরত শাহজালাল আউলিয়া’ গানটি দিয়ে। এছাড়া, ‘আয়রে মজুর চাষী কুলি মেথর কামার কুমার- বাংলা ভাষা ডাক দিয়েছে বাংলা তোমার আমার’ সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গণসঙ্গীত রচনা করেন তিনি। ১৯৮০ সালে বাংলা একাডেমী পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button