রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও খালেদার ঈদ শুভেচ্ছা

Hasina Khaledaরাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তম উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলে দেশবাসী ও সারা বিশ্বের মুসলমানদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ঈদুল ফিতরের প্রাক্কালে সোমবার পৃথক বাণীতে তারা দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহর অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর সবার জন্য আনন্দের বার্তা নিয়ে এসেছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। মুসলিম জাহানের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উপলে আমি দেশবাসী ও বিশ্বের সব মুসলমানকে জানাই ঈদ মোবারক। তিনি বলেন, ঈদ শান্তি, সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধের অনুপম শিা দেয়। সাম্য, মৈত্রী ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ করে সব মানুষকে। তিনি ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনের সর্বেেত্র ঈদুল ফিতরের শিার প্রতিফলন ঘটাতে সবার প্রতি আহ্বান জানান। রাষ্ট্রপতি বলেন, ঈদ ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবার জীবনে আনন্দের বার্তা বয়ে নিয়ে আসুক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর খুশি আর আনন্দের বার্তা নিয়ে আমাদের মাঝে সমাগত হয় পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদ সব শ্রেণী-পেশার মানুষের মধ্যে গড়ে তোলে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধন। তিনি বলেন, এ দিন ধনী-গরিব, আশরাফ-আতরাফ নির্বিশেষে সবাই এক কাতারে শামিল হন ও ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করে নেন। শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যময় সমাজ গঠনে ঈদুল ফিতরের আবেদন তাই চিরন্তন। ঈদুল ফিতরের শিা আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধ সমাজ গঠনে উদ্বুদ্ধ করবে বলে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন। পবিত্র ঈদুল ফিতরে তিনি সবার আনন্দ ও কল্যাণ কামনা করেন।
খালেদা জিয়ার বাণী: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেন, হিংসা-বিদ্বেষ ও তিক্ততার গ্লানি থেকে মানুষের মনকে এক স্বর্গীয় শান্তি ও সম্প্রীতির চেতনা দান করে ঈদুল ফিতরের উৎসব। তাই এই উৎসবের দিনে প্রতি মুসলমান নর-নারীর সৌহার্দ্যরে বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে আনন্দকে একত্রে উপভোগ করতে হবে। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গতকাল এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান। খালেদা জিয়া বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব মুসলমানকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানান। ঈদের দিন শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন খালেদা জিয়া: প্রতি বছরের মতো এবারো ঈদের দিন দেশের বিশিষ্ট নাগরিক, কূটনীতিক ও সর্বস্তরের মানুষের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তার মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, ঈদের দিন বেলা ১১টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন খালেদা জিয়া। পৌনে ১২টা থেকে সোয়া ১২টা পর্যন্ত কূটনীতিকদের জন্য এবং সোয়া ১২টা থেকে সোয়া ১টা পর্যন্ত বিশিষ্ট নাগরিকদের জন্য নির্ধারিত আছে। খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কার্ড পাঠিয়ে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার প্রটোকল অফিসার শেখ আক্তার হোসেন প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঈদকার্ডটি গতকাল বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের কাছে বেগম জিয়ার গুলশানের কার্যালয়ে পৌঁছান। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এ কে এম শামীম চৌধুরী এ কথা জানান।
এরশাদের শুভেচ্ছা: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলে দেশবাসীকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এক বার্তায় গতকাল তিনি বলেন, বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব হলো ঈদুল ফিতর। রমজানের দীর্ঘ এক মাস কঠোর সিয়াম সাধনার পর মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের প থেকে নেক বান্দাদের জন্য ঈদুল ফিতর হলো পুরস্কারস্বরূপ। পবিত্র ঈদুল ফিতর আমাদের ধনী-দরিদ্র, উঁচুনিচুর ভেদাভেদ ভুলে সব মানুষকে এক কাতারে দাঁড়ানোর শিা দেয়। আশাবাদ ব্যক্ত করে এরশাদ বলেন, দেশের দুস্থ, দরিদ্র ও সঙ্গতিহীন মানুষের প্রতি ভ্রাতৃত্ব ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে সমাজের বিত্তবানদের জনগণ ঈদের এ আনন্দকে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেবেন।
বি চৌধুরীর শুভেচ্ছা: বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী রাজধানীতে ঈদ করবেন। তিনি গুলশান আজাদ মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করবেন। ঈদের দিন বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বারিধারার বাসভবনে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছাবিনিময় করবেন। তিনি দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বি চৌধুরী ঈদের পর দিন গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে যাবেন।
জামায়াতের শুভেচ্ছা: জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ দেশবাসীকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়ে গতকাল এক বাণী প্রদান করেছেন। বাণীতে তিনি বলেন, এক মাস সিয়াম সাধনা শেষে খুশির সওগাত নিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর আমাদের দ্বারে সমাগত। ঈদুল ফিতর হলো এক মাস সিয়াম সাধনার সমাপনী অনুষ্ঠান। এ পবিত্র রমজান মাসেই আল্লাহ মানবজাতির হেদায়েতের জন্য পবিত্র কুরআন নাজিল করেছেন। রমজানের দাবি হলো কুরআনের আলোকে একটি তাকওয়াভিত্তিক ইসলামি সমাজ কায়েম করা। এ ধরনের সমাজেই ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয় এবং মানবজীবনে সুখ ও শান্তি নিয়ে আসে। এ ধরনের সমাজে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ চালু হয়। রাসূল সা: এবং খোলাফায়ে রাশেদীনের প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার আদলে একটি ইসলামি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলেই মানুষ সেখানে সত্যিকারভাবে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে সম হবে। দেশবাসী এমনি এক সময়ে ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে যাচ্ছে যখন বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে অশান্তি বিরাজ করছে। বর্বর ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় ফিলিস্তিনের সহস্রাধিক মানুষ শহীদ হয়েছেন। হাজার হাজার মানুষ আহত হচ্ছেন। জামায়াত নেতা রাসূলে করিম হজরত মুহাম্মদ সা: এবং খোলাফায়ে রাশেদীনের আদলে একটি ইসলামি কল্যাণ রাষ্ট্র কায়েমের অঙ্গীকারের মাধ্যমে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে দেশবাসী সবার প্রতি উদাত্ত আহ্বান এবং দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানান।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button