চিকিৎসক, শিক্ষক সহ ব্রিটেনে আটক ৬৬০

NCAশিশুদের প্রতি যৌনাসক্ত বা পেডোফিল সন্দেহে ব্রিটিশ পুলিশ চিকিৎসক, শিক্ষক সহ মোট ৬৬০ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে৷ আতককৃতদের মধ্যে স্কাউট লিডার এমনকি পুলিশের সাবেক সদস্যও রয়েছে৷ দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা এনসিএ জানিয়েছে এই তথ্য।
এনসিএ জানায়, এই গ্রেপ্তার কার্যত গত ছয়মাস ধরে চলা অভিনব অভিযানের ফসল। ইংল্যান্ড ছাড়াও ওয়েলস, স্কটল্যান্ড এবং উত্তর আয়ারল্যান্ড পুলিশও তাদের এই অভিযানে সহায়তা করে।
গ্রেপ্তারের ফলে চারশো শিশুকে পেডোফিলদের হাত থেকে রক্ষা করা গেছে বলেও মনে করছে এনসিএ।
এনসিএ আরও জানায়, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৪০ ব্যক্তি আগেই যৌন অপরাধে অপরাধী ছিল। তবে বাকিদের কথা পুলিশ আগে জানতো না। গ্রেপ্তারকৃতদের সবার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন শেষ হয়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, কয়েকজনের বিরুদ্ধে ইন্টারনেটে শিশু যৌনতা বিষয়ক আপত্তিকর ছবি দেখা এবং যৌন আক্রমণের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এনসিএ’র উপপ্রধান ফিল গোর্মলি এই বিষয়ে বলেন, ‘‘যারা ইন্টারনেটে শিশু যৌনতা বিষয়ক আপত্তিকর ছবি দেখেছেন তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি শিশু নিগ্রহের অভিযোগ আনা হয়েছে।”
উপপ্রধান ফিল গোর্মলি আরও বলেন, এই গ্রেপ্তারের মাধ্যমে একটি বার্তাও দিয়েছে পুলিশ। তা হচ্ছে আপত্তিকর ছবি দেখার জন্য ইন্টারনেট কোনো নিরাপদ বা গোপন স্থান নয়। এরকম অনৈতিক কাজ যারা করছে তাদের গ্রেপ্তার এবং আইনের আশ্রয়ে আনা সম্ভব।
তবে এনসিএ ঠিক কি পন্থায় সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তার করেছে তা বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। গোর্মলি শুধু বলেছেন, পেডোফিলরা ‘ডার্ক-ওয়েব’ ব্যবহার করেছে। অনেকে নিজের পরিচয় গোপন রাখতে পয়সাও খরচ করেছে।
উল্লেখ্য, ‘পেডোফিলিয়া’ একটি মানসিক রোগ। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা, যাদের ‘পেডোফিল’ বলা হয়, শিশুদের প্রতি যৌনাসক্ত। এর আগে গতবছর একটি ডাচ মানবাধিকার সংস্থা জানায় যে, তারা একটি পরীক্ষামূলক সামাজিক যোগাযোগ সাইট ‘ভার্চুয়াল’-এর মাধ্যমে বিশ্বের কমপক্ষে ১,০০০ ‘পেডোফিল’-কে শনাক্ত করে। আর জাতিসংঘ এবং যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই জানিয়েছে, বিশ্বের অন্তত সাড়ে সাত লাখ শিশু এই ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছে প্রতি মুহূর্তে। সূত্র: ডয়েচে ভেলে

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button