মোগলাবাজার-ঢাকাদক্ষিণ সড়কের বেহাল দশা, গাড়ির ঝনঝনানির শব্দে কান ঝালাপালা

Sylhetদক্ষিণ সুরমার ব্যস্ততম সড়ক মোগলাবাজার-ঢাকাদক্ষিণ (পাহাড় লাইন)। এই সড়ক দিয়ে দুই উপজেলার লোকজন যাতায়াত করে থাকেন। দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার, দাউদপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষীপাশা, লক্ষণাবন্দ, ঢাকা দক্ষিণ সহ আশপাশ এলাকার জনসাধারণ এই সড়কপথে যাতায়াত করেন। কিন্তু বর্তমানে সড়কটি যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক স্থানে পিচের গালা উঠে গিয়ে শুধু চীফ পাথর দেখা যাচ্ছে। চীফ পাথরের উপর দিয়ে যখন যানবাহন চলাচল করে তখন গাড়িতে থাকা যাত্রীদের কান জ্বালাপালা হয়ে উঠে গাড়ির ঝনঝনানী শব্দে। খলাখন্দে ভরা সড়ক দিয়ে যাত্রী পারাপারের জন্য চালকরা অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন। ঢাকাদক্ষিণ থেকে কদমতলী টার্মিনালে আসতে যেখানে সময় লাগতো ঘন্টাখানেক, সেখানে বর্তমানে সময় লাগে ২ ঘন্টা। অতিরিক্ত সময় লাগার কারণে শহরের ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবী ও বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। ভাঙ্গা রাস্তায় সময় বেশি লাগার দরুন এ অঞ্চলের বাসিন্দারা কর্মক্ষেত্রে আসতে বাসাবাড়ি থেকে বের হতে হয় এক থেকে দেড় ঘন্টা আগে। পাহাড় লাইন সড়কের চৌধুরীবাজার, ইলাইগঞ্জ, মান্দারেরতল, দশমাইল, রাখালগঞ্জ, ল²ীপাশা এলাকায় বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে যাত্রী সাধারণ সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। বৃষ্টির পর গর্তে জমা থাকা পানি যানবাহন চলাচলের সময় পথচারী সহ সড়কের পার্শ্ববর্তী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ছিটকে গিয়ে ক্ষতি সাধন করে।
তাছাড়া সড়কটি পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রশস্থ না থাকায় যানবাহন চালকদের গাড়ি চালাতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। দু’দিক থেকে দুটি গাড়ি আসলে ব্রেক না করে সাইট দেয়া সম্ভব হয় না। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সড়কের গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে সড়কটি ঢাকা দক্ষিণ থেকে মোগলাবাজার ত্রিমুখী পয়েন্ট পর্যন্ত প্রশস্থ করার সিদ্ধান্ত নেন শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ এবং তা পরবর্তীতে প্রশস্থ করা হয়। কিন্তু সড়কটি প্রশস্থ করা হয় গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকা দক্ষিণ থেকে উপজেলার শেষ অংশ ল²ীপাশা পর্যন্ত। আর দক্ষিণ সুরমা এলাকার রাখালগঞ্জ থেকে মোগলাবাজার ত্রিমুখী পর্যন্ত সড়কটি যেভাবে ছিল সেভাবেই থেকে যায়। অদৃশ্য কোন কারণে সড়কটি পুরাপুরি প্রশস্থ করা হলো না, তা আজো অজানা রয়ে গেল। এলাকার জনসাধারণ মনে করছেন আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণেই সড়কটির দক্ষিণ সুরমা অংশে প্রশস্থ করা হয়নি। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু দৃষ্টি কামনা করছেন সচেতন মহল।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button