টিউলিপের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ ডেইলি মেইলের

Tulipপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নী এবং শেখ রেহানার কন্যা ব্রিটিশ পার্লামেন্ট নির্বাচনে হ্যাম্পস্টিডের লেবার পার্টির প্রার্থী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ভোটারদের কাছে তথ্য গোপনের অভিযোগ তোলা হয়েছে। ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মেইল এই অভিযোগটি তোলে।
ওই ট্যাবলয়েডটির প্রতিবেদনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের হার্ডলাইন লিডার অভিহিত করে তার সম্পর্কে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
১১ এপ্রিল ডেইলি মেইলের এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করার পর তা সর্বশেষ ১২ এপ্রিল আপডেট করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টিউলিপ লেবার পার্টি নেতা এড মিলিব্যান্ডের সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রিটিশ পার্লামেন্ট নির্বাচনে হ্যাম্পস্টিডের লেবার দলীয় প্রার্থী দুই বছর আগে ২০১২ সালে মস্কোতে পুতিনের সঙ্গে তার সাক্ষাতের বিষয়টি ভোটারদের সামনে তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন, যে সফরে পুতিনের সঙ্গে শেখ হাসিনার শত কোটি ডলারের ‘বিতর্কিত’ অস্ত্র চুক্তি সই হয়েছিল।
ডেইলি মেইল নিজেদের প্রতিবেদনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং টিউলিপের মা শেখ রেহানার সঙ্গে তার হাস্যোজ্জ্বল একটি ছবিও প্রকাশ করেছে।
ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি যারা ব্রিটেনে টোরি হিসেবে পরিচিত, তাদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, পুতিন ও শেখ হাসিনার সঙ্গে যে ‘অসাধারণ সম্পর্ক’ রয়েছে টিউলিপ সে বিষয়টি তার ভোটারদের গোপন করার চেষ্টা করছেন।
তাদের দাবি, হ্যাম্পস্টিডে লেবার দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের কঠিন পরীক্ষায় জয় লাভের মাত্র ছয় মাস আগে টিউলিপ তার খালা শেখ হাসিনার নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন। ওই সময় তার ব্লগে যেসব মন্তব্য লিখেছিলেন এবং যেসব ছবি পোস্ট করেছিলেন টিউলিপ, সেগুলোও সম্প্রতি মুছে ফেলেছেন।
লেবার পার্টিতে জমা দেয়া ১ হাজার ২০০ শব্দের জীবন বৃত্তান্তে টিউলিপ কেন পুতিন, রাশিয়ার সঙ্গে অস্ত্র চুক্তি ও বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন পরিবারের সদস্য হওয়ার বিষয়টি গোপন করেছেন সে বিষয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।
এক টোরি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এটা খুব আশ্চর্যের ব্যাপার যে টিউলিপ তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশটি লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছেন। যেখানে রাশিয়া সফর ও দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সম্পর্কের কথা চেপে গেছেন।
তবে লেবার পার্টির এক মুখপাত্র বলেন, টিউলিপ তার অতীত নিয়ে গর্বিত এবং এ বিষয়ে সে সবসময় খুবই খোলামেলা। টিউলিপ যে আসনে নির্বাচনী লড়াই করছেন তা খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও কষ্টসাধ্য। অবসরপ্রাপ্ত লেবার এমপি গ্লেন্ডা জ্যাকসন ২০১০ সালে ওই নির্বাচনী আসন থেকে মাত্র ৪২ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন।
পুতিনের সঙ্গে ছবির বিষয়ে তিনি বলেন, টিউলিপ রাশিয়ায় সফররত বাংলাদেশি রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধিদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে শুধুমাত্র তার পরিবারের সদস্যদের এক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button