সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রে নিজস্ব স্বকীয়তা ভুলে গেলে সকল অর্জন বিফলে যাবে

হারুন ইবনে শাহাদাত: সংস্কৃতি হলো বিশ্বাসের প্রতিফলন। বিশ্বাস পরির্বতনের সাথে সাথে সংস্কৃতিতেও পরিবর্তন আসবে এটাই  স্বাভাবিক। সংস্কৃতি একটি জাতি, দেশ, ধর্ম ও গোষ্ঠীর মানুষের সভ্যতার মাপকাঠি। বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মুসলমান। তাদের জীবনাচরণ তথা সাহিত্য, সংস্কৃতিতে ইসলাম ধর্ম বিশ্বাসের প্রভাব থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এদেশে ইসলামের আগমনের আগে তারা যে ধর্ম বিশ্বাস করতেন, সেই সময়ের জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতিতে তার প্রভাব ছিল। শিকড় সন্ধানের নামে বর্তমান বিশ্বাসের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে সেই সংস্কৃতির চর্চা শুরু করা সভ্যতার পরিচায়ক নয়। তবে ইতিহাসের ক্রমবিকাশ জানার জন্য তা জানতে হবে, আমরা যে প্রতিদিন বিকশিত হচ্ছি এবং সেই বিকাশ উন্নয়ন ও আলোকিত পথের দিকে তা বর্তমান প্রজন্মকে জানাতে হবে। এই জানানোর অর্থ শিকড় সন্ধানের নামে পিছনের অন্ধকারের পথে যাত্রা নয়। এই সত্য মনে রেখে চর্চা করলে আমাদের সংস্কৃতির উৎকর্ষ বাড়বে। নতুন প্রজন্ম পথ হারাবে না।
আমাদের সংস্কৃতির গর্বের দিক হলো, এদেশে হিন্দু, মুসলিম বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী (উপজাতি)রা মিলে-মিশে আছি। কবির ভাষায়, “সব মানুষের স্বপ্ন তোমার চোখের তারায় সত্যি হোক/আমার কাছে দেশ মানে  এক লোকের পাশে অন্য লোক/… এ মানচিত্র জ্বলছে জ্বলুক এই দাবানল পোড়াক চোখ/আমার কাছে দেশ মানে এক লোকের পাশে অন্য লোক” যে দেশের কবির কলমে আসে এমন মানবিক ভাবনা, যে দেশের শিল্পীর কণ্ঠে ঢেউ তুলে এমন হৃদয়তন্ত্রী জাগানো গান সে দেশকে সাংস্কৃতিক কিংবা সামরিক কোন আগ্রাসনই পরাজিত করতে পারবে না। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষ যুগ যুগ ধরে বসবাস করছে মমতা আর ভালবাসার বন্ধনে, আমরা সবাই বাংলাদেশী এই পরিচয়কে ধারণ করে। এদেশ মমতার দেশ, এদেশ ভালবাসার দেশ রাষ্ট্রশক্তি কেন পৃথিবীর কোন শক্তিই দমন আর নির্মূল অভিযান চালিয়ে কোন বিশেষ দল বা গোষ্ঠীকে নিঃশেষ করতে পারনি, পারবেও না। ওপরের উদার নীল আসমান আর নীচের সবুজ জমিনের মতোই দলমত নির্বিশেষে ঐক্যের বন্ধনে বাধা এদেশের মানুষের হৃদয়। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এদেশের প্রতিটি মানুষ। দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে চলে উদার গণতন্ত্রের চর্চা। বাবা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, ঐ বাবার ছেলেরাই কেউ ছাত্রশিবির, ছাত্রলীগ, ছাত্র দল কিংবা অন্য কোন রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী। এ নিয়ে তাদের মাঝে মুক্ত মতবিনিময় হয় তো হয়, কিন্তু ছেলে বাবার মাথায় কিংবা বাবা ছেলের মাথায় লাঠি মেরেছে এমন ঘটনা কখনো ঘটে না। রাষ্ট্রশক্তিকে ব্যবহার করে অতীতে যারাই এমন অচেষ্টা চালিয়েছে তারাই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। অবশেষে জনগণেরই জয় হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের এ চরিত্রকে সূর্যের মাঝে লুকানো সাতটি রঙের সাথে তুলনা করা যায়। আকাশে রঙধনু উঠলেই শুধু পৃথিবীবাসী দেখতে পায় সূর্যের সাতটি রঙ। অন্য সময় ঐক্যের প্রতীক সূর্যের সাদা রঙই তারা প্রত্যক্ষ করে। বিশেষ আয়োজন বা প্রয়োজন যারা এদেশের মানুষেরও একটি মাত্র রূপ। পলিকাদা মাঠির মতোই এদেশের মানুষের অন্তর। তারা নীরবে নিভৃতে অনেক অত্যাচার-অনাচার সহ্য করে, কিন্তু যখন জেগে ওঠে পোড়া মাটির ইটের মতোই শক্ত হয়ে যায়। বুলেট বোমাকে তুচ্ছ জ্ঞান করে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে অন্যায়ের প্রতিবাদ জানায়, ধ্বংস স্তূপের ওপর বিজয়নিশান উড়ায়। এর প্রমাণ তারা দিয়েছে বার বার।
বাংলা নতুন বছর ১৪২২ বঙ্গাব্দ আমাদের দ্বারে কড়া নাড়ছে। বাংলাদেশে ঈসায়ী বর্ষপঞ্জিকার ১৪ এপ্রিল বঙ্গাব্দের পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ পালিত হয়। আমাদের পাশের দেশ ভারতের বাঙালিরা নববর্ষ উদযাপন করেন আমাদের একদিন পর। পাকিস্তান আমলেই ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর নেতৃত্বে সত্তর দশকে বাংলা সন সংস্কার ও নতুন বর্ষপঞ্জি প্রণয়ন করা হয়। জাতীয় প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি এক্ষেত্রে পালন করে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ১৯৭১ সনে দেশ স্বাধীন হওয়ার মাধ্যমে বাংলা সন প্রবর্তনের নতুন সম্ভাবনা দেখা দেয়। কিন্তু ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ প্রস্তাবিত সংস্কার করা সন পুনরায় চাপা পড়ে গিয়েছিলো। পরবর্তীতে ১৯৭৭ সালে শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সন বিষয়ে নতুন করে তৎপরতা চালায়। ১৯৮৮ (১৩৯৫) সালে সরকার ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সুপারিশকৃত সনের আংশিক সংশোধনী এনে রাষ্ট্রীয়ভাবে অফিস আদালতে বাংলা সন ব্যবহারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। সর্বশেষ সংস্কারকৃত এ সন পালনে বাধ্যবাধকতাও আরোপ করা হয়। বর্তমানে এটি সর্বত্র গৃহীত ও পালিত হচ্ছে। যদিও কলকাতার পঞ্জিকার দোহাই দিয়ে কোনো কোনো মহল একটি বিতর্কের সৃষ্টি অপতৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। আমাদের মনে রাখতে হবে কলকাতায় ব্যবহৃত বাংলা সনও আমাদের মতোই সংস্কার করা। ফলে আদি ও আসলের দোহাই দেয়ার সুযোগ তাদেরও নেই।
প্রত্যেক জাতি নিজস্ব সমাজ-সংস্কৃতি-লোকজীবনাচারকে অনুষঙ্গ করে তারা নববর্ষ উদযাপন করে থাকে। আমাদের বাংলা নববর্ষের উৎসব অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে প্রখ্যাত গীতিকার মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান এক নিবন্ধে লিখেছেন,‘ কিন্তু বাংলা সন প্রকৃতপক্ষে ফসলি সন। মুঘল সম্রাট আকবর খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য এই সনের প্রবর্তন করেন। তার সাম্রাজ্যের রাজা-জমিদাররা এই কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের হতদরিদ্র কৃষককে পীড়ন করে খাজনা আদায় করত। পরবর্তী পর্যায়ে এই  শোষণে যোগ দেয় বড় ব্যবসায়ী সম্প্রদায়। হালখাতা নামে উৎসব করে কৃষকের বাকি-বকেয়া আদায় করা হতো এই সময়ে। এই উৎসবও ছিল এক ফাঁদ। কারণ কোনো দ্রব্যের নগদ মূল্য ও বাকি মূল্য এক হতো না। ফলে এই উৎসব মূলত ছিল সম্রাটের অনুকূলে খাজনা আদায়কারী রাজা-জমিদার এবং নিজস্ব লাভের জন্য ব্যবসায়ীদের। দেশের সাধারণ জনগণ, বিশেষত কৃষক-শ্রমিক-মজুরের নয়। তবুও খাতক হিসেবে হলেও এই দেশের দুর্ভাগ্য সাধারণ মানুষের সংযোগ ছিল এই উৎসবের সঙ্গে। পক্ষান্তরে বর্তমানে, এই দিনটিকে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাসহ বেশকিছু শহরে যেভাবে খুব ঘটা করে উদযাপন করা হচ্ছে, তার সঙ্গে গ্রামীণ জনগণের, কৃষক-শ্রমিক-মজুরের বিন্দুমাত্র সংযোগ নেই। এটি সম্পূর্ণভাবে আরোপিত এবং বিলাসী একটি উৎসব, যার উৎপত্তি ঘটেছিল ১৯ শতকের শেষদিকে, কলকাতাকেন্দ্রিক ‘বাবু কালচার’-এর ক্লেদ বা বর্জ্য হিসেবে। অথচ একেই সর্বজনীন উৎসব হিসেবে প্রচার ও প্রতিষ্ঠার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে গণবিচ্ছিন্ন একটি মহল।
প্রথমেই সর্বজনীন বা সার্বজনীন শব্দ দু’টির অর্থ ও প্রয়োগ সম্পর্কে ধারণা নেয়া যাক। অভিধান বলছে ‘সর্ব’ অর্থ সমগ্র, সকল, সমুদয়; হিন্দু দেবতা শিব, বিষ্ণু; সাইপ্রাস গাছ। ‘সার্ব’ শব্দটির অর্থ সর্বসম্পর্কিত, সকলের জন্য, সর্বহিতকর। ‘সর্বজনীন’ অর্থ সকলের মঙ্গলজনক বা কল্যাণকর, সর্বসাধারণের জন্য অনুষ্ঠিত, বারোয়ারি। ‘সার্বজনীন’ শব্দের অর্থ সকলের মধ্যে প্রবীণ, সর্বশ্রেষ্ঠ; এছাড়া অশুদ্ধভাবে প্রচলিত অর্থ সর্বসাধারণের জন্য অনুষ্ঠিত বা কৃত। উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, সার্বজনীন দুর্গোৎসব। আমরা সবাই জানি, দুর্গোৎসব কেবল হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসব। যেমন মুসলমানদের ঈদোৎসব, খ্রিস্টানদের বড়দিন উৎসব, বৌদ্ধদের বৌদ্ধ পূর্ণিমা উৎসব। সার্বজনীন ঈদোৎসব বা সার্বজনীন বড়দিন উৎসব অথবা সার্বজনীন বৌদ্ধপূর্ণিমা উৎসব ইত্যাদি শব্দের ব্যবহার কিন্তু কখনোই দেখা যায় না। তাহলে দুর্গোৎসব সার্বজনীন হলো কীভাবে? সার্বজনীন দুর্গোৎসব শব্দযুগল কিন্তু অজ্ঞতা বা অজ্ঞাত হেতুজনিত নয়। পশ্চিমবঙ্গীয় সমাজ সংস্কৃতিতে অন্য ধর্মকে অস্বীকার করবার প্রবণতা কখনোই প্রচ্ছন্ন ছিল না। ‘তুমি কি বাঙালি না মুসলমান?’ এই জাতীয় প্রশ্ন বা বাক্যের জন্মও সেই প্রবণতা থেকে। এই যে অন্য ধর্মকে অস্বীকার করা বা অবনমিত করা, এর জন্মসূত্র কিন্তু নিকট অতীতেও নয়। খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ বর্ষ থেকে এর শুরু। অধ্যাপক উথাইয়া নাইডু তার ‘দ্য বাইবেল অব এরিয়ান ইনভেশনস ১৫০০ বিসি ১০০০ এডি’ গ্রন্থে ব্যাপক গবেষণায় যে গণহত্যার ইতিহাস তুলে ধরেছেন, পৃথিবীর ইতিহাসে তার কোনো তুলনাই খুঁজে পাওয়া যায় না। গ্রন্থের মুখবন্ধে তিনি সিন্ধু উপত্যকায় আর্যদের দ্বারা পরিচালিত, এক হাজার বছরব্যাপী ভয়ঙ্কর ধ্বংসযজ্ঞের কথা বলেছেন। একই সঙ্গে তিনি এও বলেছেন, ‘এই পুরো বিষয়টি ভারতের ব্রাহ্মণ নিয়ন্ত্রিত প্রচার মাধ্যমগুলো অন্ধভাবে অস্বীকার করেছে এবং তাদের কৃত নারকীয় গণহত্যাকে আড়াল করতে অতিবিকৃত ইতিহাস প্রচার করে চলেছে। ইতিহাসের এই ধরনের বিকৃতিতে মানবতা বিরোধী ঘৃণ্য অপরাধ ক্রমাগত বেড়েছে।’
… পহেলা বৈশাখ যে চেহারায় ঢাকা ও কিছু শহরাঞ্চলে উদযাপিত হয় তার সঙ্গে আমাদের গ্রাম-গঞ্জের চাষা-ভূষা, শ্রমিক-মজুর প্রমুখ কালো মানুষদের কোনো সংযোগ নেই। এই বিলাসের মধ্য দিয়ে বরং সেই মানুষদের প্রকৃত জীবনাচরণের প্রতি একটা বিদ্রুপই ছুঁড়ে দেয়া হয়। এই জাতীয় কৃত্রিম একটি উৎসবের জন্ম কলকাতাকেন্দ্রিক বাবু কালচার থেকে, আর তার পৃষ্ঠপোষক ছিল গ্রাম ছেড়ে শহুরে ভোগবিলাসের লোভে কলকাতায় পাড়ি জমানো গ্রাম্য রাজা-জমিদাররা। এই নিবন্ধের শুরুতেই বলেছি, কলকাতাকেন্দ্রিক বাবুদের সামাজিক অবস্থানই ছিল অন্যধর্মকে অস্বীকার করা। যে কারণে, তাদের মস্তিষ্কপ্রসূত এই উৎসবে মুসলিম ধর্মাচার বা সংস্কৃতির কিছুই সংযোজিত হয়নি। এটাও, এই উৎসব যে সর্বজনীন নয়, তার একটা প্রধান প্রমাণ। শুধু এ কারণেই হাজার চেষ্টা করলেও এই উৎসবকে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের গ্রামগঞ্জের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য করা যাবে না। এই উৎসবের অনেক আচার বরং ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’
মোহাম্মদ রফিকুউজ্জামান আরো লিখেছেন, ‘ইসলামে মানুষকে বলা হয়েছে ‘আশরাফুল মাখলুকাত’। তার জন্য বিভিন্ন পশুর মুখোশ ধারণ করে নিজের অবস্থানের অবনমন ইসলামের চোখে সিদ্ধ নয়। ইসলামে পশু পূজনেরও কোনো অনুমোদন নেই। আমার দৃষ্টিতে, এই ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার চেয়ে, অনেক বড় হলো এর উৎপত্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শ্রেণী-চরিত্র। এই পূর্ব-বাংলার শোষিত কালো মানুষদের উত্তরসূরি হিসেবে আমি এই উৎসবকে দেখি আমার শত্রুপক্ষ তথাকথিত আর্য নামক বাবুদের উপহাস হিসেবে। সে কারণে আমরা আর্য ভারতের সঙ্গে থাকতে পারিনি এবং পাকিস্তানকেও মেরে তাড়িয়েছি সেই কারণেই আমার স্বাধীন সত্তা এই উৎসবকে একটা দীর্ঘমেয়াদি ষড়যন্ত্র হিসেবে গণ্য করে। পশুর মুখোশ, জন্তু শোভাযাত্রার সঙ্গে আদিতে পশুপালক আর্যদের সংযোগ এবং আর্য সংস্কৃতিকে ধর্মে রূপান্তরিত করার পর্যায়ে মঙ্গলামঙ্গল প্রতীক নির্ধারণের বিষয়টিও তথাকথিত ব্রাহ্মণ্য ধারণা থেকে উদ্ভূত। এর সঙ্গে এই পূর্ববঙ্গের কালো মানুষদের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা আবার কোনো ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দিয়ে অদ্র্যুৎ-শূদ্র-দাস হতে চাই না। এই উৎসবকে বর্ণাঢ্য করে তুলে তরুণ প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার এই চক্রান্ত মহাভারতের স্বপ্নদ্রষ্টা ও তাদের এদেশী দালালদের। এ উৎসব আমাদের নয়। আমাদের নববর্ষ উদযাপনের জন্য, কারও অনুকরণে নয়, একেবারেই আমাদের নিজস্ব জীবনাচরণ থেকে উপাদান নিয়ে উৎসবের প্রকার নির্ধারণ করতে হবে আমাদের নিজেদের। যে উৎসবের আয়নায় বাংলাদেশের গণমানুষের অবয়ব ফুটে ওঠে। ভারতীয় পশ্চিমবঙ্গ নয়, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বাধীন অবয়ব। এটি শুধু বর্ষবরণের জন্য নয়, স্বাধীনতাকে সমুজ্জ্বল রাখার জন্যও আবশ্যক।’ শুধু নববর্ষ নয় আমাদের জীবনাচরণ তথা সংস্কৃতি চর্চার প্রতিটি ক্ষেত্রেই স্বকীয়তাকে সবার উপরে স্থান দিতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে আমাদের সকল অর্জন বিফলে যাবে। আমরা সুসভ্য জাতি হিসেবে বিশ্ববাসীর সামনে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে ব্যর্থ হব।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button