মাতৃভাষা ও রাষ্ট্রভাষা বাংলা : আমাদের আবেগ ও বাস্তবতা

Nazir Ahmedবাংলা বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা ও প্রায় সব বাংলাদেশীদের মাতৃভাষা। ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে শতকরা ৯৯ ভাগের উপরে বাংলা ভাষায় কথা বলে। বাংলা যদিও ভারতের ২৩টি স্বীকৃত ভাষার মধ্যে একটি, এটি পশ্চিম বঙ্গ ও ত্রিপুরার সহজাত মাতৃভাষা ও সরকারী ভাষা। এছাড়া বাংলা ভারতের আন্দামান ও নিকোবার দ্বীপপুঞ্জের অন্যতম প্রধান ভাষা। ভারতের আসাম, করিমগঞ্জ, কাচার ও হাইলাকান্দির অন্যতম প্রধান সরকারী ভাষা বাংলা। তাছাড়া ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ভারতের ঝারখান্দ প্রদেশের দ্বিতীয় সরকারি ভাষাও বাংলা। অপরদিকে পাকিস্তানের করাচি নগরীর দ্বিতীয় স্বীকৃত ভাষাও বাংলা। যাদের মাতৃভাষা বাংলা নয় কিন্তু বাংলাকে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে শিখেছেন তাদের সংখ্যাও কম নয়। এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে পৃথিবীতে তাদের সংখ্যা আনুমানিক তিন কোটির উপরে। সব মিলিয়ে পৃথিবীতে প্রায় পচিঁশ কোটির উপরে মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলে।
জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫,৩০০ জনের উপরে সদস্যরা সিরিলিওনে শান্তিরক্ষী বাহিনী হিসেবে কাজ করছে এবং সে সুবাদে সে দেশ গঠনে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তাদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সিরিলিওনের প্রেসিডেন্ট আহমাদ টিযান কাববাহ তাঁর দেশের সরকারী ভাষা হিসেবে বাংলাকে অন্তর্ভূক্ত করেছেন। ভারত ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত রচনা করেছেন প্রথম বাঙালি নোবেল বিজয়ী বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাংলা সাহিত্যের আরেক কীর্তিমান দিকপাল কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় কবি। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ ও পশ্চিম বঙ্গের জনপ্রতিনিধিরা বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতির জন্য আহবান জানিয়েছেন।
পৃথিবীর হয়তো অনেক দেশ বা জাতি আছে যারা তাদের নিজের ভাষাকে স্বীকৃতির জন্য ক্যাম্পেইন করছে। কিন্তু বাংলা এমন একটি ভাষা যার জন্য সেই ভাষার লোকজন সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি বাংলাভাষার জন্য বাঙ্গালিরা অকাতরে জীবন দিয়েছেন। সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের এই দিনটিকে জাতিসংঘ ১৯৯৯ সালের ১৭ই নভেম্বর লিংগুয়েষ্টিক, কালচারাল ডাইভারসিটি ও মাল্টিলিংগুয়ালিজম এর ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের ঘোষণা দিয়েছে। আর সেই ঘোষণা অনুযায়ী ২০০০ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারী থেকে আমাদের ‘শহীদ দিবস’কে প্রতিবছর ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
তিনটি ভাষা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ: বাংলা, ইংরেজি ও আরবি
আমার মতে বাংলাদেশী বংশোদ্ভাত প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য তিনটি ভাষা শিখা অবশ্যই দরকার। বাংলা তাদের অবশ্যই শিখা দরকার কারণ এটি তাদের মাতৃভাষা ও রাষ্ট্রভাষা এবং এটির জন্য বিশ্বের বুকে নজীরবিহীন ও সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করেছেন। ২২ কোটি মানুষের মাতৃভাষা বাংলা হলেও বিশ্বে সর্বমোট ২৫ কোটি মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলে। অর্থাৎ সংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম ভাষা হচ্ছে বাংলা। অন্যভাষা শিখতে হলে সাধারণত: কোন ব্যক্তিকে তার মাতৃভাষায় পারদর্শী হতে হবে। যে তার মাতৃভাষায় পটু সে সহজে অন্য ভাষা আয়ত্বে আনতে পারে। অন্য কথায়, মাতৃভাষা হচ্ছে অন্য ভাষায় ঢুকার গেইটওয়ে।
বাংলার পাশাপাশির ইংরেজি ভাষা অবশ্যই শিখা দরকার কেননা ইংরেজি এমন একটি আন্তর্জাতিক ভাষা যার মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোন জায়গায় যোগাযোগ বা কথা বলে চলা যায়। সত্যিই ইংরেজি পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাষা। এটি সত্যিকার অর্থে একটি আন্তর্জাতিক ভাষা। এটি বিশ্বের অত্যন্ত প্রভাবশালী ও শক্তিশালী কয়েকটি দেশের মাতৃভাষাও। বাংলাদেশেও বাংলার পরেই সবচেয়ে প্রচলিত ও প্রচন্দনীয় ভাষা হচ্ছে ইংরেজি। পৃথিবীর অনেক দেশের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সরকারী ভাষা হচ্ছে ইংরেজি। পৃথিবীর এমন কোন দেশ পাওয়া যাবে না, যেখানে ইংরেজি ভাষায় কথা বলা হচ্ছে না বা লিখা হচ্ছে না বা আন্ততপক্ষে ইংরেজি ভাষা সেখানে বুঝে না। ইংরেজি ভাষাকে এমনকি নন-ইংরেজি ষ্পিকিং দেশগুলোতেও যথাযথ, এমনকি কোন কোন সময় অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়ে থাকে। ঐসব দেশগুলোতে যেসব আবেদনকারীরা প্রতিযোগিতামূলক জব মার্কেটে ভাল ইংরেজি বলতে বা লিখতে পারেন তাদেরকে দৃশ্যত অগ্রাধিকার দেয়া হয়। প্রায় সব আন্তর্জাতিক সংস্থা, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন যখন তাদের স্টাফ নিয়োগ দেয়, সেসব স্টাফদের ইংরেজিতে পারদর্শীতাকে অন্যতম আবশ্যকীয় শর্ত বা নিয়োগের রিকোয়ারমেন্ট হিসেবে রাখা হয়েছে। আর্ন্তাজিতক সব ব্যবসা বাণিজ্য এবং বিশ্বের প্রায় সবদেশগুলো ইংরেজি বর্ষের আলোকে তৈরি ও প্রস্তুতকৃত ক্যালেন্ডার ব্যবহার ও অনুসরণ করে থাকে।
বাংলাদেশে ইংরেজি একটি বহুল ব্যবহৃত ভাষা। যেসব ছাত্ররা ইংরেজি মিডিয়ামে পড়াশুনা করে বা যারা পাবলিক স্কুলে পড়ে কিন্তু ইংরেজিতে খুব ভাল তারা পরবর্তীতে প্রফেশনে, জবে বা ক্যারিয়ারে খুব ভাল করছে। সাধারণ: যেসব ছাত্র বা জবের আবেদনকারী ইংরেজিতে ভাল, তাদেরকে স্মার্ট, স্কীল্ড ও কম্পিটেন্ট হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাই ভাষাগত মূল্য ও আন্তর্জাতিক প্রাসঙ্গিকতা ছাড়াও ইংরেজি ভাষার অর্থনৈতিক মূল্য ও গুরুত্ব আছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক ব্রিটিশ হাই কমিশনার জনাব আনোয়ার চৌধুরী একদা বলেছিলেন, “ইংলিশ ইজ নট অনলি এ্য ল্যাংগুয়েজ, বাট ইট ইজ এ্যন এসেনশিয়াল কমডিটি ট্যু।’’
বাংলা ও ইংরেজির পাশাপাশি আরবি ভাষাও শিখা খুব দরকার। বাংলাদেশে অন্তত: শতকরা ৮৫ ভাগ জনগোষ্টি মুসলমান। ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ আল-কোরআন আরবি ভাষায় নাযিল হয়েছে। হাদিস, মুল তাফসিরসহ অন্যান্য নির্ভরযোগ্য ধর্মীয় বই ও গ্রন্থসমূহও বেশিরভাগ আরবি ভাষায় লিখিত। তাই ইসলাম ধর্মকে ভাল করে জানতে ও বুঝতে হলে আররি ভাষার জ্ঞান থাকা অত্যন্ত জরুরী। ধর্মীয় দিক ছাড়াও আরবি ভাষা শিখায় অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়িক বেনিফিটও আছে। গোটা মধ্যপাচ্য ও আফ্রিকার বেশ কিছু দেশে বিপুল কর্মসংস্থান ও রপ্তানি বাণিজ্যেও অবধারিত সুযোগ রয়েছে। তাছাড়া আরবি ভাষা জাতিসংঘের অন্যতম দাপ্তারিক ভাষা। তাই ধর্মীয় বিবেচনা নির্বিশেষে, আরবি ভাষার জ্ঞান ও দক্ষতা আরব বিশ্বের বিপুল বাণিজ্য সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে এবং বৈশ্বিক সুবিধার সর্বোচ্চ বেনিফিট পেতে এক মূল্যবান যোগাযোগ (কমোনিটকেটিভ) সম্পদ।
সুপ্রীমকোর্টে কি বাংলা পুরোদমে চালু হতে পারে? বা চালু হওয়া উচিৎ?
যদিও বাংলা আমাদের মাতৃভাষা ও রাষ্ট্রভাষা, কিন্তু উচ্চ আদালতের ভাষা হচ্ছে ইংরেজি। তাই অনেকে বাংলাকে উচ্চ আদালতের ভাষা হিসেবে চালু করার এবং তা মানতে আইন করার দাবী জানিয়ে আসছেন। উপরে উল্লেখ করা হয়েছে, আমরাই একমাত্র জাতি যারা বাংলা ভাষার মর্যাদা সমুন্নত করার জন্য বিশ্বে জীবন দিবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি। এজন্যই সম্ভবত: যখন ফেব্রুয়ারী মাস আসে তখন আমরা আবেগপ্রবণ হয়ে যাই এবং এর যৌক্তিকথাও আছে। কিন্তু যারা বাংলাদেশের সুপ্রীমকোর্টে পুরোদমে বাংলাভাষা চালুর ব্যাপারে দাবী করে আসছেন তাদেরকে বৃহত্তর গুরুত্ব, আবেদন ও আন্তর্জাতিক অপরিহার্যতাও বিবেচনায় রাখতে হবে। বাংলাদেশের প্রতিথযশা আইনজীবি এবং দেশের প্রধান কোম্পানী আইন বিশেষজ্ঞ মরহুম ড. এম. জহির কয়েক বছর পূর্বে লন্ডন সফরে আসলে, আইন ও সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে তার সাথে কথা হয়। এর মধ্যে অন্যতম বিষয় ছিল সুপ্রীমকোর্টে বাংলা চালুর সম্ভাব্যতা। তিনি সরাসরি জবাব দিলেন “নাজির, দেখ, তিনটি জিনিষ বাংলায় করতে পারবা না:- নামাজ বাংলায় পড়তে পারবা না, কোম্পানী ল’ বাংলায় হয় না এবং সুপ্রীমকোর্টের প্রসিডিং বাংলায় হয় না!’’ তাঁর এই বক্তব্যের পক্ষে শক্ত যুক্তি আছে। এর মধ্যে সম্ভবত: অন্যতম একটি যুক্তি হচ্ছে – একটি দেশের সুপ্রীমকোর্টের জাজমেন্টগুলো বিশ্বব্যাপী অনুসরণ করা হয় এবং অন্য দেশের উচ্চ আদালতে দৃষ্টান্ত হিসেবে তুলে ধরা হয়। যেমন হাউস অব লর্ড এর জাজমেন্টস্ এবং ইন্ডিয়ান সুপ্রীমকোর্টের গুরুত্বপূর্ণ রায়গুলো বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টের প্রসিডিংসে ও শুনানিতে অহরহ তুলে ধরা হয়। ঠিক একইভাবে বিদেশের উচ্চ আদালতে নজীর হিসেবে তুলে ধরার প্রয়াস পাবার জন্য আমাদের উচ্চ আদালতের রায়গুলো সেই মাপের ও আন্তর্জাতিক ভাষায় হতে হবে। তাই আমাদের উচ্চ আদালতের রায়গুলো যদি বাংলায় লেখা হয় তাহলে সেগুলো কি আন্তর্জাতিক গুরুত্ব, আবেদন ও অপরিহার্যতা পাবে? তাছাড়া অনেক ইংরেজি ও আদালতের বিদেশী ভাষার সঠিক প্রতি ও সমার্থক বাংলা শব্দ এমনও বের হয় নাই। এমতাবস্থায় উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের জন্য বাংলায় রায় লিখা দূর্বেদ্ধ ও কঠিন এবং কোন কোন ক্ষেত্রে অসম্ভবও হতে পারে|
বাংলাকে কিভাবে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করা যাবে?
জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হচ্ছে ছয়টি। সেগুলো হলোঃ- ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ, আরবি, রাশিয়ান, চায়নিজ এবং স্পানিশ। বাংলাকেও অন্যতম দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বাংলার পাশাপাশি ইসপারেন্টো, হিন্দি, পর্তুগিজ এবং তুর্কি ভাষাসমূহকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বাংলাকে জাতিসংঘের অন্যতম দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতির জন্য কিছুটা ক্যামপেইন করা হয়েছে যদিও তা অত্যন্ত সীমিত আকারে। জাতিসংঘ এখন পর্যন্ত দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে বাংলাকে কোন স্বীকৃতি দেয়নি।
জাতিসংঘের স্বীকৃতি শুধু শুধু ইচ্ছা বা আকাঙ্খা অথবা সীমিত আকারে ক্যাম্পেইন করলেই ইতিবাচক ফল নিয়ে আসবে না। জাতিসংঘ কর্তৃক বাংলাকে দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতির জন্য, জাতি ও দেশ হিসেবে আমাদের মর্যাদা ও গুরুত্ব আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাড়াতে হবে। গোটা বিশ্বব্যাপী আমাদের ভাবমূর্তি ইতিবাচক হতে হবে। দেশে প্রকৃত গণতন্ত্রের উপস্থিতি, আইনের শাসন ও মানবাধিকার রক্ষার ট্রাক রেকর্ড, বহির্বিশ্বে জাতি হিসেবে সভ্য ও বেশ আকাঙ্খিত, বিদেশি ঋণের প্রতি অনির্ভরতা বা নিদেন্পক্ক্যে কম নির্ভরতা, বড় ও শক্তিশালী দেশগুলোর সাথে চমৎকার ও সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক এবং দক্ষ কুটনীতি – এইগুলু হলো জাতিসংঘের মত সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে কোন দাবীর স্বীকৃতি আদায়ের গুরুত্বপূর্ণ উপাদানসমূহ। কেউ যদি এই উপাদানসমূহের ব্যারোমিটার দিয়ে আমাদের দেশকে তুলনা যাচাই-বাচাই করে তাহলে সে দেখতে পাবে আমাদের দেশের অবস্থান কোথায়! শুন্যবুলী, আবেগী কথাবার্তা এবং কোন সাপোর্ট বেইস ছাড়া দাবী করা এক কথা – আর লাগ্শই এবং স্বীকৃত রেকর্ড এবং যথাযথ প্রমাণাদী সহকারে কোন সলিড দাবী নিয়ে অগ্রসর হওয়া সম্পূর্ণ আরেক কথা। ঠিক শেষেরটাই খুব জরুরী যা আমাদের দেশের জন্য খুবই দরকার। যত তাড়াতাড়ি আমাদের দেশের হতাকর্তারা এটি অনুধাবন করবেন, ততই আমাদের দেশের জন্য মঙ্গল।
পরিশেষে, একজন গর্বিত বাঙালি ও বাংলাদেশী হিসেবে আমি সেই সব ব্যক্তিদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করছি যারা বাংলাভাষাকে স্বীকৃতির জন্য তাদের জীবন অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছেন। আমার চিন্তা ও প্রার্থনা সেই সব শহীদদের জন্য। মহান মা’বুদের দরকারে দোয়া করছি তিনি যেন তাদের আত্মত্যাগকে কবুল করে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান তথা জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেন। তার সাথে সাথে স্বরণ করছি ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি সেই সব ব্যক্তিবর্গের প্রতি যারা ১৯৪৮ সাল থেকে বাংলাভাষাকে স্বীকৃতির জন্য ভাষা আন্দোলনের দীর্ঘ ঐতিহাসিক চ্যাপ্টারের বিভিন্ন দিক ও বিভাগে নিজেরা নিগৃহীত, নিপিড়িত, জেল-জুলুম ও মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হয়েছে।
ব্যারিষ্টার নাজির আহমদঃ ব্রিটেন প্রবাসী বিশিষ্ট আইনজীবি, লেখক ও বিশ্লেষক।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button