এক্সেলসিয়র সিলেট পর্যটন চাহিদা পুরণের পাশাপাশি কর্মসংস্থানও সৃষ্টি করছে

Excelsiorপর্যটন শিল্প জাতির ভাবমূর্তি যেমন উজ্জল করে তেমনি দেশকে বিশ্বব্যাপী পরিচিত করে। একটি সমৃদ্ধ পর্যটন কেন্দ্র একটি দেশের সমৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এক্সেলসিয়র এ অঞ্চলের পর্যটন চাহিদা পুরনের পাশাপাশি ব্যাপক কর্মসংস্থানও সৃষ্টি করছে। ১৭ ফেব্রুয়ারী এক্সেলসিয়র সিলেট হোটেল এন্ড রিসোর্টের বার্ষিক সাধারণ সভায় এ অভিমত ব্যক্ত করা হয়।
কোম্পানীর চেয়ারম্যান শাহ জামালের সভাপতিত্বে ও ম্যানেজিং ডাইরেক্টর সাঈদ চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম, মার্কেটিং ডাইরেক্টর আহমদ আলী, জেনারেল ম্যানেজার হুমায়ুন কবির এবং আহমদ যাকের এন্ড কোম্পানীর ডেপুটি ম্যানেজার (অডিট) প্রদীপ কুমার শাহা। সভায় অলিম্পিক খ্যাত আর্কিটেক্ট সায়মান মিয়া এক্সেলসিয়রকে বিশ্বমানের হোটেল এন্ড রিসোর্টে পরিনত করার লক্ষ্যে তৈরী নতুন স্থাপনা সমূহের ডিজাইন উপস্থাপন করেন। সাথে ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার কামরুল ইসলাম হিরা ও ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান ইমরান।
সভায় বলা হয়, ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কাউন্সিল (ডব্লিউটিটিসি) অনুসারে প্রায় ১৫ লাখ প্রত্যক্ষভাবে এবং ২৩ লাখ লোক পরোক্ষভাবে বাংলাদেশের পর্যটন ও আতিথেয়তা শিল্পের সাথে জড়িত। পর্যটন ও আতিথেয়তা শিল্প ক্রমশ বাংলাদেশের রাজস্ব আয়ের একটি বড় উৎসে পরিনত হচ্ছে। এক্ষেত্রে সিলেট অঞ্চলের পর্যটন কেন্দ্রগুলো পালন করতে পারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। সিলেটে অনেক সমৃদ্ধ ও দৃষ্টিনন্দন টুরিস্ট ডেষ্টিনেশন বা পর্যটন স্পট রয়েছে। এর মধ্যে এক্সেলসিওর সিলেট হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট এখন ভ্রমনপ্রিয় মানুষের প্রথম পছন্দ। এখানে এমন কিছু রয়েছে যা এই অঞ্চলের অন্য কোন রিসোর্টে নেই। এমনকি বিশ্বের অনেক নামি-দামী রিসোর্ট বা পর্যটন কেন্দ্রেও তা নেই। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এক কথায় অনন্য। শুধু বিলাসবহুল বিল্ডিং ও স্থাপনা নয়, বরং এক্সেলসিয়র সিলেটে মনোরম টিলা, রকমারি গাছপালা ও নান্দনিক লেকসহ নৈসর্গিক সৌন্দর্যের যে অপূর্ব সমাবেশ, তা দেশ-বিদেশের খুব কম পর্যটন কেন্দ্রেই রয়েছে।
সভায় উপস্থিত বিনিয়োগকারিদের মধ্যে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন মাসুম আহমদ, আব্দুল বাসিত খান, মোহাম্মদ জিলু মিয়া, মতিন রশিদ খান, হাসিনা মমতাজ, হারুন আল ফারুক, হামিদুর রহমান তোফায়েল, সিরাজ খান, ফাহাদ আহমদ প্রমুখ।
সভায় অডিট ফার্ম কর্তৃক এক্সেলসিয়রের বার্ষিক আয়-ব্যয় উপস্থাপন ও অনুমোদন সহ সামগ্রিক কার্যক্রম পর্যালোচনা হয়। এতে বলা হয়, এক্সেলসিয়র সিলেট হচ্ছে একটি ইকোপার্ক ব্রেইজড হোটেল এন্ড রিসোর্ট যা এর পর্যটক, দর্শনার্থী ও অতিথিদের খাদ্য, পানিয়, আবাসন, খেলাধুলা, বিনোদন, শপিং, ইত্যাদি সুযোগ সুবিধা প্রদান করছে। এই হোটেলের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষসমূহ যেমন সুসজ্জিত তেমনি আরামদায়ক।নয়টি হরিণসহ বহু জাতের পাখির কলকাকলিতে মুখরিত ছায়াঘেরা পরিবেশে এক্সেলসিওর সিলেটে থাকার মজাই আলাদা। শিশুদের আনন্দটাও হয় সীমাহীন। রাইড চড়ে কিংবা পেডেল বুটে আনন্দে মেতে উঠে তারা। এখানে রয়েছে শিশু পার্ক, অডিটোরিয়াম, মিনি চিড়িয়াখানা সহ খেলাধুলা, শরীর চর্চা ও বিনোদনের চমৎকার পরিবেশ এবং বিয়ে, জন্মদিনসহ সামাজিক অনুষ্ঠানের অনন্য সুযোগ। এক্সেলসিওর সিলেটের আভিজাত রেস্টুরেন্টে আছে বাংলাদেশী, চায়নিজ, থাই সহ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলের মজাদার খাবার। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button