সিলেট সীমান্তে আরেক বাংলাদেশী খুন

সিলেট জেলার সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় খাসিয়াদের নৃশংসতা চলছেই। তারা বিভিন্ন সীমান্তে বাংলাদেশীদের ধরে নিয়ে ধারাল অস্ত্রের আঘাতে নির্মমভাবে খুন কিংবা গুলি করে হত্যা চালিয়ে যাচ্ছে গত কয়েক বছর থেকে। জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ, মাঠে গরু চরানো, জমিতে হালচাষ কিংবা ধান কাটতে গিয়ে হত্যাকান্ডের শিকার হচ্ছেন বাংলাদেশীরা। সর্বশেষ গত শুক্রবার ভারতীয় খাসিয়ারা জৈন্তাপুর সীমান্তে বাংলাদেশী  যুবক কুদরত আলীকে (৩০) ধরে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে লাশ নিয়ে যায়। কুদরত জৈন্তাপুর উপজেলার গুয়াবাড়ি আদর্শ গ্রামের আছদ আলীর পুত্র। এ নিয়ে চলতি বছর তিনজনসহ গত সাড়ে তিন বছরে ১৪ জন বাংলাদেশী নিহত হয়েছেন।
সংবাদদাতা ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, জৈন্তাপুর উপজেলার গুয়াবাড়ী সীমান্তে গত শুক্রবার ভারতীয় খাসিয়ার গুলিতে কুদরত (৩০) নামের এক বাংলাদেশী দিনমজুর নিহত হন। কুদরত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে সীমান্ত এলাকায় কাঠ আনতে যান। ভারতের হেওয়াই বস্তি এলাকার জনৈক খাসিয়া কুদরতকে ল্য করে গুলি করে। এ সময় ঘটনাস্থলেই কুদরত মারা যান। ভারতীয়রা তার লাশ নিয়ে যায়। লাশ ফেরত পেতে বিজিবি ও বিএসএফ’র মধ্যে শনিবার পতাকা বৈঠক হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টায় সীমান্তের ১২৯২ মেইন পিলারের কাছে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে গুলি করে নিরীহ লোক হত্যার ঘটনায় বিজিবির প থেকে কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে লাশ ফেরত চাওয়া হয়। বিএসএফ লাশ খুঁজে বের করে ফেরত দিতে সম্মত হয়েছে। বিজিবির পে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন কোম্পানী কমান্ডার আবদুর রশীদ। ভারতের পে নেতৃত্ব দেন বিএসএফ ১৯ ব্যাটেলিয়নের এসপি টিলার ক্যাম্প কমান্ডার এম. আলী।
গত ২ নভেম্বর বিকেলে সিলেটের  কানাইঘাট উপজেলার সোনার খেওড় সীমান্তে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ভারতীয় অস্ত্রধারী খাসিয়ারা গুলি করে আব্দুল খালিককে (২০) হত্যা করে লাশ ভারতীয় সীমান্তে নিয়ে ফেলে রেখে যায়। এ ঘটনার দু’দিন পর বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে পতাকা বৈঠকের পর বিএসএফ আব্দুল খালিকের লাশ  হস্তান্তর  করে। আব্দুল খালিক সোনারখেওড় গ্রামের আতাউর রহমান আতাইর ছেলে। এর আগে জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দি সীমান্তে গত ৮ এপ্রিল দুপুরে ভারতীয় খাসিয়ার গুলিতে দেলোয়ার হোসেন (১৬) নামের এক বাংলাদেশী কিশোর নিহত হয়। ওই সীমান্তের ১২৬২ নম্বর মেইন পিলারের পেন্টা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। জ্বালানী কাঠ সংগ্রহকালে এক ভারতীয় খাসিয়া তাকে লক্ষ করে গুলি ছোঁড়ে। এতে দেলোয়ার গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। দেলোয়ার গোয়াইনঘাট উপজেলার বগাইয়া মুসলিম পাড়া গ্রামের ডাঃ শাহ আলমের ছেলে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button