সরকারের ওপর চাপ বৃদ্ধি

ব্রিটেনের লাখ লাখ অনিরাপদ বাড়িঘর শনাক্তের দাবি

কভিড-১৯ মহামারির দরুণ ৯মাস বন্ধ থাকার পর ব্রিটেনে গ্রেনফেল টাওয়ার ইনকোয়ারি আবার শুরু হয়েছে। গত সোমবার সাক্ষীদের ডাকা হয়েছে। এ অবস্থায় লাখ লাখ সম্ভাব্য অনিরাপদ বাড়িঘর নির্ধারনের জন্য সরকারের ওপর চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। দাবি ওঠেছে ১ কোটি ১০ লাখ মানুষের ওপর বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টিকারী ব্রিটেনের বিল্ডিং সেইফটি সংকট সুরাহার জন্য।

পশ্চিম লন্ডনের একটি টাওয়ার ব্লকে অগ্নিকান্ডে ৭২ ব্যক্তির মর্মান্তিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া তদন্তে একটি কর্পোরেট কেলেংকারী প্রকাশিত হয়, যার ফলে সারা দেশে লোকজন বাড়িঘর বিক্রি করতে পারছেন না। এসব বাড়িঘরের অনেকগুলো বিপদজনক, বহুতল ‘টিন্ডার বক্স’ বা বিস্ফোরণন্মুখ বাক্স হয়ে আছে।
স্ট্যান্ডার্ড রেগুলেশন, লেক্স এনফোর্সমেন্ট ও ত্রুটিপূর্ণ ভবন কার্যের দরুণ সৃষ্ট একটি বিশৃংখল অবস্থা দূরীকরনের জন্য বিল্ডিং মালিকদের প্রত্যেককে ১ লাখ ৬০ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত বিল প্রদান করা হয়। ক্যাম্পেইন গ্রুপসমূহ মহামারি ও ব্রেক্সিট কর্তৃক বাধা বিঘ্ন সত্বেও এই কেলেংকারীকে দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক আলোচ্য বিষয়ে পরিণত করতে সহায়তা করে।
রক্ষণশীল দলের এমপিরা গত সপ্তাহে লেবার পার্টির এমপিদের সাথে সুর মিলিয়ে বলেছেন, বন্দোবস্তগ্রহীতাদের এক পাই পয়সাও ব্যয় করা উচিত নয় ভবনসমূহের দাহ্য ক্ল্যাডিং অর্থাৎ আবরণ অপসারনের জন্য।
গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের সর্ববৃহৎ গৃহস্থালী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ‘ব্যারেট’ পুনঃমধ্যস্থতা কার্যের জন্য ইন্ডাষ্ট্রিকে একটি লেডী প্রদানের দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে ভবনগুলো থেকে বিপজ্জনক সামগ্রী অপসারণের জন্য সরকার ৫বিলিয়ন পাউন্ড বরাদ্দের বিষয়টি বিবেচনা করছেন বলে জানা গেছে। গ্রেনফেল ট্র্যাজিডির ৪ বছর পর বহুতল ফ্লাটগুলোতে এখনো বিপজ্জনক ক্ল্যাডিং কীভাবে রয়েছে, এমন প্রশ্ন এখন অনেকের। তদন্তে দেখা গেছে, উচুঁ ভবনগুলোতে দাহ্য এলুমিনিয়াম যৌগের আবরণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে আছে। আরো দেখা গেছে, অন্যান্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত সামগ্রীও আরেকটি বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে। বিভিন্ন ধরনের ক্ল্যাডিং ও ইনস্যুলেশনের পাশাপাশি অগ্নিনিরোধক ছাড়াই বাড়িঘর নির্মাণ পরিস্থিতিকে গুরুতর করে তুলেছে। এছাড়া লাখো নীচু ভবনও অগ্নিকান্ডের ঝুঁকিতে রয়েছে। এ অবস্থায় হাউজিং মার্কেটের শংকা, একটি নিরাপত্তা সনদ ছাড়া ঋণদাতারা ফ্লাটের মর্গেজ দেবে না, যদিও এমন সনদ দেয়ার যোগ্যতা সম্পন্ন সার্ভেয়ারের সংখ্যা নগন্য।
গত ২০ বছরের মধ্যে নির্মিত ফ্লাট ব্লকগুলোর অধিকাংশই ক্ষতিগ্রস্ত, যেগুলোতে প্রায় ১কোটি ১০লাখ লোকের বসবাস।
ক্যাম্পেইন গ্রুপ ‘এন্ড আওয়ার ক্ল্যাডিং স্ফান্ডাল’-এর পল আফসার বলেন, সরকার এখনো উটপাখির মতো বালিতে মুখ গুঁজে আছে। তারা এখনো নির্দিষ্ট করতে পারেনি কতোগুলো ভবন অনিরাপদ।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button