ওয়ার্ল্ড কাপ ফুটবল ২০১৪ : ঝুঁকি ছাড়া দেখার ১০টি উপায়, ঝুঁকি নিয়ে দেখার ১টি উপায়

World cupশফিক রেহমান
ওয়ার্ল্ড কাপ ২০১৪ ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হবে ব্রাজিলিয়ান দিন ও টাইম, যথাক্রমে বিকেল পাঁচটায় শুক্রবার ১২ জুন। সাও পাওলো শহরে। সেইন্ট পল থেকে সাও
পাওলো শব্দটি এসেছে। ব্রাজিলের বৃহত্তম এই শহরটি জনসংখ্যার দিক থেকে পৃথিবীর সপ্তম বৃহৎ। ২০১০ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী এর জনসংখ্যা ছিল সোয়া কোটির কিছু কম। ওয়ার্ল্ড কাপ কিক অফের বর্ণাঢ্য সাম্বা নাচ ও গান মুখরিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য যখন গোটা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীদের ফোকাস সাও পাওলোর দিকে, ঠিক সেই সময়ে, সেখান থেকে প্রায় দশ হাজার মাইল দূরে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বে মাত্র সাতাশ লক্ষ (২০১১-র আদমশুমারি অনুযায়ী) অধিবাসীর শহর যশোর হয়েছে দ্বিতীয় ফোকাস। ওয়ার্ল্ড কাপ ২০১৪-র সঙ্গে যশোরের নাম চিরকালের জন্য জড়িয়ে পড়েছে।
এই কৃতিত্ব কার?
এই প্রশ্নের উত্তর জানার আগে যশোর, যেটি আগে যশোহর নামে পরিচিত ছিল, ইতিহাসে তার অগ্রণী ভূমিকাটি জেনে নিতে পারেন। মধ্য যুগে রাজা প্রতাপাদিত্য যশোর জেলা থেকে শাসন পরিচালনা করতেন। বৃটিশ আমলে ২৫ জানুয়ারি ১৮২৪-এ যশোরে সাগরদাড়ি গ্রামে জন্ম হয়েছিল নাট্যকার ও কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত-র, যিনি বাংলা কবিতায় আধুনিকতা এনেছিলেন। ২৯ মার্চ ১৯৭১-এ যশোর ক্যান্টনমেন্টে অবস্থানকারী বাঙালি সৈন্যরা পাকিস্তানি আর্মির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। তাদের নেতৃত্ব দেন ক্যাপ্টেন হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, যিনি এক সময়ে পাকিস্তান জাতীয় ফুটবল টিমের ক্যাপ্টেন ছিলেন এবং লেফটেনান্ট আনোয়ার। ৩০ মার্চে আট ঘণ্টা ব্যাপী যুদ্ধে লেফটেনান্ট আনোয়ার মারা যান। ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১-এ পাকিস্তানি আর্মি থেকে বাংলাদেশের প্রথম যে জেলাটি মুক্ত হয় তা ছিল যশোর। ক্যাপ্টেন হাফিজ পরবর্তীকালে বিএনপিতে যোগ দিয়ে মন্ত্রী হন।
কিন্তু কিং প্রতাপাদিত্য, কিংবা মি. এম এম দত্ত কিংবা ক্যাপ্টেন হাফিজ তাদের সময়ে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি এমনটা আকর্ষণ করতে পারেননি।
যেমনটা পেরেছেন যশোরের বর্তমান জেলা প্রশাসক বা ডিসি মি. মোস্তাফিজুর রহমান।
দৈনিক মানবজমিন-এ ১০ জুন ২০১৪-তে ‘বিশ্বকাপ আনন্দ মিইয়ে গেল যশোরে’ শিরোনামে প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত একটি খবরের পর ওয়ার্ল্ড কাপ ফুটবলের দ্বিতীয় ফোকাস হয়েছে যশোর। মানবজমিনে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, গত ৮ জুন পতাকা বিষয়ে যশোর ডিসি অফিসের শিক্ষা ও কল্যাণ শাখা থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সর্বসাধারণকে অবহিত করা যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ পতাকা বিধিমালা ১৯৭২ এর বিধি ৯(৪) এ ‘দেশের অভ্যন্তরে কোন ভবনে বা যানবাহনে কোন বিদেশি রাষ্ট্রের পতাকা উত্তোলন করা যাবে না’ মর্মে উল্লেখ আছে। বিশ্বকাপ ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে যশোর জেলার বিভিন্ন ভবনে বিদেশি রাষ্ট্রের পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে, যা বাংলাদেশ পতাকা বিধিমালা ১৯৭২-এর উক্ত বিধির পরিপন্থী। বিশ্ব কাপ ফুটবল খেলায় কোনো দলকে সমর্থনের জন্য সে দেশের পতাকা ছাড়া প্ল্যাকার্ড বা অন্য কোনো কিছু ব্যবহার করাসহ দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজ দেশের জাতীয় পতাকাকে সম্মান প্রদর্শন করে সকল বিদেশি রাষ্ট্রের পতাকা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে নেয়ার জন্য যশোরবাসীকে অনুরোধ জানানো হলো।
বাংলাদেশ পতাকা বিধিমালা ১৯৭২ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বিধি ৯(৪) অনুযায়ী এ আদেশ দেয়ার একমাত্র ক্ষমতা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের। তাই কোনো ডিসি এ ধরনের আদেশ দিতে পারেন না। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ দেয়ার কথা।
বিধির অপব্যাখ্যা করে যশোরবাসীকে আদেশটি দেয়া হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ডিসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমি অপব্যাখ্যা করে কিছু করিনি। পতাকা বিধিমালার উদ্ধৃতি দিয়ে অনুরোধ করেছি মাত্র। এর বেশি কিছু নয়।
ডিসি মোস্তাফিজুর রহমানের আদেশের ফলে যশোর শহর পতাকা ফাকা হয়ে গেছে। শহরের বড় বড় দালানের ছাদ থেকে নেমে গেছে সব দলের পতাকা। হতাশায় ডুবেছে ওয়ার্ল্ড কাপ ফুটবলের দামিদামি দলের কর্মী-সমর্থকেরা। যারা অনেক টাকা খরচ করে এসব পতাকা বানিয়েছিল তাদের মধ্যে বিরাজ করছে ক্ষোভ। তবে নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবে কেউ কিছু বলতে পারছে না। যশোরের বিভিন্ন স্থানে টাঙানো বিদেশি পতাকা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে নেয়ার জন্য অনুরোধের পর অনেক স্থানের পতাকা নামিয়ে ফেলা হয়েছে।
পতাকা সরানোর জন্য শহরজুড়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিংও করা হয়। একই সাথে পুলিশের একটি বিশেষ বাহিনী রাস্তায় নেমে বিভিন্ন বাসাবাড়ির ছাদে ও রাস্তার পাশে টাঙানো বিশ্বের দামিদামি সব ফুটবল দলের জাতীয় পতাকা নামিয়ে ফেলে। প্রথম পর্যায়ে কেউ কেউ এ পতাকা নামানোর বিরোধিতা করলেও এক পর্যায়ে পুলিশ প্রশাসনের অ্যাকশনের ভয়ে কেউ টু শব্দটি পর্যন্ত করেনি। অনেকে স্বেচ্ছায় এবং অনেক স্থানে পুলিশ নিজেই উৎসাহী হয়ে এসব পতাকা নামিয়ে ফেলে। শহরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, যেসব স্থানে আর্জেনটিনা, ব্রাজিলসহ বিভিন্ন দেশের বড় বড় পতাকা ঝুলছিল, সেগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
অনেকে বিষয়টিকে সহজভাবে মেনে নিতে পারছেন না। আর্জেনটিনার সমর্থক শহরের ঘোপ এলাকার শামীম হাসান জানান, তিনি বাড়ির সামনে আর্জেনটিনার একটি পতাকা টাঙিয়েছিলেন। কিন্তু প্রশাসন থেকে এ পতাকা সরিয়ে ফেলার নির্দেশনা দেয়ায় তিনি তা খুলে ফেলেছেন।
বারান্দী মোল্যাপাড়ার তরিকুল ইসলাম বলেন, তিনি দীর্ঘ দিন ধরে ব্রাজিল দলের সমর্থক। প্রতিবারই তিনি ওয়ার্ল্ড কাপ ফুটবল খেলার সময় ব্রাজিল দলের পতাকা ওড়ান। এবারো তিনি ৩০ গজ কাপড়ের একটি বিশাল পতাকা তৈরি করে বাড়ির সামনের রাস্তায় ঝুলিয়ে দেন। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের লোকেরা এসে তার পতাকাটি খুলে নিয়ে গেছে।
শহরের গাড়িখানা রোডে ক্যালট্যাক্সে জার্মানি দলের একটি বিশাল পতাকা ওড়ান মনা নামের এক সাইকেল মিস্ত্রি। কিন্তু গতকাল পুলিশ এসে জোর করে তার পতাকাটি নামিয়ে দিয়েছে। এ কারণে তিনি দারুণ ুব্ধ বলে জানান। অন্য দেশের পতাকা টাঙানোর ব্যাপারে আইনে নিষেধাজ্ঞা আছে এটি তিনি জানতেন না বলেও উল্লেখ করেন।
খড়কি এলাকার ফুটবলপ্রেমী রাকিবুল ইসলাম জানান, তিনি ব্রাজিলের পতাকা উড়িয়েছিলেন। প্রশাসন নামিয়ে ফেলতে বলেছে শুনে তিনি পতাকা নামিয়ে ফেলেছেন। তবে এ আইন বা নির্দেশ আরো আগে দিলে তিনি টাকা খরচ করে পতাকা বানাতেন না বলেও উল্লেখ করেন।
যশোরের এই ধরনের নেতৃত্বদানের পর বাংলাদেশের বাদবাকি সব এলাকা বিদেশি পতাকামুক্ত হবে কি না সেটা নিশ্চিতভাবে এখন বলা যাচ্ছে না। ওয়ার্ল্ড কাপ টুর্নামেন্ট চলাকালে বাংলাদেশ রাজনৈতিক আন্দোলনমুক্ত থাকলেও নির্বিঘেœ, নির্ঝঞ্ঝাটে, নিরুপদ্রবে ৬৪টি ম্যাচ দেখা যাবে কি না সে বিষয়ে জনমনে এখন গভীর সন্দেহ হচ্ছে।
সেক্ষেত্রে কোনো ঝুকি ছাড়া ওয়ার্ল্ড কাপ ফুটবল দেখতে আপনি ১০টি উপায় অবলম্বন করতে পারেন এবং ঝুকি নিয়ে দেখতে ১টি উপায় অবলম্বন করতে পারেন।

ঝুঁকি ছাড়া ওয়ার্ল্ড কাপ ফুটবল দেখার ১০টি উপায় :

আপনার বাড়ি, ফ্যাট, দোকান ও ব্যবসাস্থলে অর্থাৎ যেখানে থেকে আপনি টিভিতে ম্যাচগুলো দেখবেন, সেখানে কোনো বিদেশি পতাকা ওড়াবেন না। ব্রাজিল, আর্জেনটিনা, স্পেন, জার্মানি, ইটালি প্রভৃতি ফেভারিট দেশগুলোর ফ্যাগ যদি ইতিমধ্যেই কিনে থাকেন অথবা টাঙিয়ে থাকেন, তাহলে এক মিনিট দেরি না করে এখনই সেসব নামিয়ে ফেলুন, ছিড়ে ফেলুন অথবা পুড়িয়ে ফেলুন। (২৬ মার্চ ১৯৭১-এ পাকিস্তানি আর্মির নির্দেশে বাংলাদেশের সর্বত্র ওড়ানো বাংলাদেশের পতাকা এভাবেই অদৃশ্য করেছিল বাঙালিরা)। এর পরিবর্তে একটি বাংলাদেশের পতাকা এবং তার নিচে একটি আওয়ামী লীগের পতাকা ওড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করুন।

আপনার টিভি থেকে কখনোই যেন ওয়ার্ল্ড কাপ ফুটবলের অফিশিয়াল থিম সংটি শোনা না যায়। ওয়ার্ল্ড কাপ টুর্নামেন্টে প্রতিযোগী দেশগুলোর জাতীয় সঙ্গীত যখন বাজবে, তখন সেসব যেন শোনা না যায়। তার বদলে রবীন্দ্রসঙ্গীত ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ গানটি যেন বাইরেও শোনা যায়, সেই ব্যবস্থা করুন।

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ভালো কালার ফটো বাধাই করে সকলের নজরে পড়ে এমন জায়গায় টানিয়ে রাখুন। আওয়ামী লীগের অনেকেই তাদের নেতার নামটি শুদ্ধ করে লিখতে পারেন না। মনে রাখবেন ওই ফটোর নিচে শুদ্ধ করে তার নাম লিখবেন। মুজিবর নয়- মুজিবুর। তার নামের আগে সব বিশেষণগুলো অবশ্যই লিখবেন।

পাশাপাশি তারেক রহমানের যথাসম্ভব খারাপ একটি ফটো বাঁধাই করে রাখবেন। তবে ‘তারুণ্যের অহংকার’ অথবা ‘তোমার প্রতীক্ষায় আছে বাংলাদেশ’ এসব কিছু লিখবেন না। বরং লিখবেন ‘জাতির পিতাকে অসম্মানকারী, মূর্খ, আহাম্মক, বেয়াদব তারেকের ফাসি চাই।’

শেখ হাসিনার আওয়ামী সরকার ক্ষমতা দখলের পর থেকে কুইক রেন্টালের কল্যাণে প্রায় চারগুণ দামে বিদ্যুৎ কিনলেও প্রায়ই বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। কিন্তু কুইক রেন্টালের কোনো সমালোচনা করবেন না। বরং আওয়ামী সুবিধাভোগী এইসব কম্পানিগুলোকে টুর্নামেন্টের সময়ে তোয়াজ করুন। বাড়ির বাইরে আই লাভ কুইক রেন্টাল (I Love Quick Rental) প্ল্যাকার্ড টানিয়ে রাখুন।

কেবল অপারেটরদের নিয়মিত টাকা পরিশোধ করলেও টুর্নামেন্টের সময়ে তারা লোভী হয়ে উঠতে পারে। টিভি স্কৃন হঠাৎ ঝিরঝির করতে পারে। দুষ্ট কেবল অপারেটরদের বশে রাখার জন্য বাড়ির বাইরে নারায়ণগঞ্জের কৃতী আওয়ামী নেতা মি. শামীম ওসমানের একটা বড় ফটো বাড়ির বাইরে টাঙিয়ে রাখুন। নিচে লিখে রাখুন, ‘শামীম ওসমান আমার পাশেই আছেন, আর শামীম ওসমানের পাশে আছেন দেশের (অবৈ:) প্রধানমন্ত্রী। সুতরাং, সাবধান!’

ম্যাচ দেখার সার্বিক নিশ্চয়তার জন্য অবশ্যই মিসেস শেখ হাসিনা মিঞা ও তার পুত্র মি. সজীব ওয়াজেদ জয়-এর একটি সুন্দর ফটো বাইরে টাঙিয়ে রাখুন। নিচে লিখে রাখুন, ‘আর কোনো নির্বাচন মানুষ চায় না। একদলীয় শাসনই মানুষ চায়। উই লাভ আওয়ামী লীগ।’

শামীম ওসমান এবং শেখ হাসিনাকে উপেক্ষা করে অথবা তাদের অজান্তে পুলিশ ও র‌্যাব বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। যেমন- নারায়ণগঞ্জের র‌্যাব অভিযুক্ত হয়েছে খুনের। যশোরে পুলিশ নামিয়ে নিয়েছে আর্জেনটিনা-ব্রাজিলের ফ্যাগ। সুতরাং, একটি প্ল্যাকার্ডে লিখুন, আই লাভ র‌্যাব, আই লাভ পুলিশ। ভুল করে র‌্যাবের বদলে র‌্যাট (অর্থাৎ ইদুর) এবং পুলিশের বদলে গোপালিশ কখনোই লিখবেন না।

আওয়ামী সরকার যেন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ওয়ার্ল্ড কাপে বাংলাদেশ টিম বিজয়ী হয় সেই ব্যবস্থা নিতে আপনার স্থানীয় আওয়ামী নেতাদের মাধ্যমে (অবৈ:) প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করুন। এটা তিনি সহজেই করতে পারবেন। টুর্নামেন্টে প্রতিযোগী ৩২টি দেশের প্রতিটি ফুটবলারকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব এখনই দিতে হবে। তারপর ফাইনালে যে টিমই জিতুক না কেন, (অবৈ:) প্রধানমন্ত্রী দাবি করতে পারবেন বাংলাদেশই ওয়ার্ল্ড কাপ ফুটবল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এই ধরনের চমকপদ দাবি তিনি ইতিমধ্যেই করেছেন। ইনডিয়ান ইলেকশনের পর নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানানোর সময়ে তিনি বলেছেন, আপনি (মোদি) আমারই মতো জনগণের ম্যান্ডেট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। বাংলাদেশকে তিনি দ্বিতীয় বাড়ি বলে ভাবতে বলেছিলেন। অর্থাৎ সে সময় তিনি হয়তো তাকে বাংলাদেশে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথাও ভেবেছিলেন।
১০
আওয়ামী সরকার আর্শীবাদপুষ্ট হতে চাইলে আরো এক ধাপ এগিয়ে আপনি রিওতে ফাইনালে বাংলাদেশ টিম কতো গোলের ব্যবধানে বিজয়ী হবে সে বিষয়ে ফোরকাস্ট করতে পারেন এবং সেটা স্থানীয় আওয়ামী নেতাদের মাধ্যমে (অবৈ:) প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে রাখতে পারেন। অক্টোপাস অথবা কচ্ছপের মাধ্যমে নয়- একটি মুরগির মাধ্যমে এ কাজটি করতে পারেন। দশটি টোস্ট বিস্কিটের ওপর ১ থেকে ১০ পর্যন্ত সংখ্যাগুলো লিখে আপনার গৃহ, ফ্যাট অথবা রুমপালিত মুরগির সামনে রেখে দিন। ওই মুরগি প্রথম যে বিস্কিটে ঠোকর দেবে সেই সংখ্যক গোলের ব্যবধানেই জিতবে ব্রাজিলে আপনার প্রিয় বাংলাদেশি টিম।
ঝুঁকি নিয়ে ওয়ার্ল্ড কাপ ফুটবল দেখার ১টি উপায় অবলম্বন করতে পারেন :

যথাসম্ভব গোপন স্থানে থেকে যথাসম্ভব লো ভলিউমে ম্যাচগুলো দেখুন। বিদ্যুৎ নিশ্চিত করার জন্য ব্যাটারিচালিত টিভি অথবা রহিমআফরোজের আইপিএস সরঞ্জাম ফিট করুন। এটি হবে ব্যয়সাপেক্ষ। মনের ঝাল মেটানোর জন্য ইংরেজ পণ্ডিত স্যামুয়েল জনসন-এর আপ্তবাক্যটি স্মরণ করুন ‘প্যাটৃয়টিজম ইজ দি লাস্ট রিসর্ট অফ এ স্কাউনড্রেল (Patriotism is the last resort of a scoundrel, দেশপ্রেম প্রচার করাই দুর্বৃত্তের শেষ ভরসা)।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button