মে মাসের মাঝামাঝি ব্রিটেনে লকডাউন শিথিলের সম্ভাবনা

মে মাসের ১৫ তারিখ থেকে করোনাভাইরাসে চলমান লকডাউন শিথিলের চিন্তাভাবনা করছে ব্রিটিশ সরকার। ইতিমধ্যে ব্যবসায়ীদের সাথে নীরবে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন সংশ্লিস্ট মন্ত্রীরা। করোনাভাইরাসকে সাথে নিয়েই কিভাবে ব্যবসা বাণিজ্য-পরিচালনা করা যায় সে ব্যাপারে পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে তার দায়িত্বপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেছেন, দেশের স্বার্থে কিভাবে স্কুল, ব্যায়ামাগার এবং ব্যবসায়প্রতিষ্ঠান খোলা যায় তার জন্য নানা উপায়ের কথা ভাবছে সরকার। আর বিরোধী লেবার পার্টির শ্যাডো অফিস মিনিস্টার রাসেল রিভস বলেছেন, সরকারের বোঝা উচিত ব্রিটিশ জনগণ করোনায় দীর্ঘদিন বাসায় থেকে এখন এ বিষয়ে অভিজ্ঞ হয়েছে। কিভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হয় তা তারা এত দিনে জেনে গেছে। তাই অফিস আদালত আবারো কিভাবে খোলা যায় তার উপায় শিগগিরই বের করা দরকার।

ব্রিটিশ স্ট্রিল, নির্মাণ সংস্থা পার্সিমন ও ম্যাকডোনাল্ডস মে মাস থেকে সীমিত আকারে খোলার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। সরকারের প্রধান বিজ্ঞানী প্রফেসর ক্রিস উইট্টি বলেছেন, ভাইরাসের প্রজনন হার এখন একের নিচে। কিভাবে নিরাপদ উপায়ে তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্রের দোকান চালু করা যায় তা নিয়ে কাজ করছেন চ্যান্সেলর রিষি সুনাক।
হাউজিং সেক্রেটারি রবার্ট জেন্রিক বলেছেন, আবাসন ও নির্মাণপ্রতিষ্ঠান পার্সিমনের সাইটগুলো আবারো খোলার সিদ্ধান্ত একটি বড় প্রদক্ষেপ। গাড়ি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান নিসান, অ্যাস্টন মার্টিন এবং জাগুয়ার ল্যান্ড রোভারও বলেছে, তারা সরকারের সাথে আলোচনা করে কঠোর সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে তাদের কারখানাগুলো আবার চালু করবে।
সরকার চাচ্ছে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো যেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখে এবং পর্যাপ্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজিং পণ্য সরবরাহ করতে বাধ্য থাকে। আর কর্মীদের মধ্যে করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিলেই যেন তাদের বাড়িতে যেতে বলা হয়।
ব্রিটেনের সাবেক চ্যান্সেলর ফিলিপ হ্যামন্ড বলেছেন, ব্রিটেনকে কাজে ফিরিয়ে আনতে মন্ত্রীদের লকডাউন থেকে বের হয়ে আসার কৌশল নির্ধারণ করা উচিত। তিনি বলেছেন করোনাভাইরাসের টিকা পাওয়ার অপেক্ষা করলে অর্থনীতি টিকবে না। বাস্তবতা হলো আমাদের অর্থনীতি পুনরায় চালু করতে হবে। আমাদেরকে কভিড ১৯ নিয়েই চলতে হবে। তিনি বিবিসি রেডিও ৪-এর এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সবকিছু বন্ধ করে রাখা সহজ। কিন্তু কিভাবে পদ্ধতিগতভাবে স্বাস্থ্য ও চাকরি উভয়কেই রক্ষা করা যায় তা খতিয়ে দেখতে হবে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button