প্রথম বারের মতো ইরান-যুক্তরাষ্ট্র উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত

US Iranগত এক প্রজন্মের মধ্যে প্রথম বারের মতো ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ১৯৮০ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত এটাই সবচেয়ে আন্তরিকতাপূর্ণ বৈঠক বলে মনে করা হচ্ছে। ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লব হয়। এর পর থেকেই দেশ দুটির মধ্যে কূটনৈতিক অচলাবস্থা চলে আসছে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভার প্রাক্কালে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ও মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ বৈঠকে বসেন। অন্যান্য দেশের কূটনৈতিক নেতৃবৃন্দ আলোচনার পরিবেশ ইতিবাচক বলেই মন্তব্য করেছেন। বৈঠকের পর কেরি সাংবাদিকদের বলেন, তাদের মধ্যে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম নিয়ে যে প্রশ্ন রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র তার স্বচ্ছ জবাব প্রত্যাশা করছে ইরানের কাছে। পশ্চিমা দেশগুলো সন্দেহ করে আসছে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে পক্ষান্তরে ইরানের দাবি তাদের পারমাণবিক কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে শান্তিপূর্ণ। ওয়াশিংটন পোস্টকে দেয়া সাক্ষাৎকারে হাসান রুহানি বলেন, ইরান তাদের পারমাণবিক কার্যক্রমের বিষয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে রাজি আছে যেন আন্তর্জাতিক সমপ্রদায় আশ্বস্ত হতে পারে ইরান কোন বোমা তৈরি করার চেষ্টা করছে না। পশ্চিমা দেশগুলো যদি ইরানের আইনি অধিকারকে স্বীকৃতি দেয় তাহলে পারমাণবিক কার্যক্রমের বিষয়ে পূর্ণ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কোন বাধা নেই বলে মন্তব্য করেন হাসান রুহানি। উল্লেখ্য, ১৯৮০ সালে তেহরানে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস অবরোধের ঘটনার পর থেকে দেশ দু’টির মধ্যে যাবতীয় কূটনৈতিক সম্পর্কের অবসান ঘটায় ওয়াশিংটন। রুহানি বলেন, বারাক ওবামার সঙ্গে বৈঠক হলে তারা উভয়ই ভবিষ্যতের অগ্রগতি ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করবেন। উভয় নেতার মধ্যে আদান-প্রদানকৃত চিঠিপত্রে সে সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতেরই ঈঙ্গিত রয়েছে বলে তিনি জানান।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button