থাইল্যান্ডে বিরোধী দলের বাধার মুখে ভোট গ্রহণ

Thailandনানা শঙ্কা, বিরোধীদলের বর্জন, নির্বাচন প্রতিরোধের মধ্যে দিয়ে ২ ফেব্রুয়ারি থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হলো নির্বাচন। বিরোধীদলের বর্জনের মুখে এটি একতরফা নির্বাচনে পরিণত হয়েছে নিঃসন্দেহে একথা বলা যায়। নির্র্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও ফল প্রকাশে সময় লাগবে আরও কয়েক সপ্তাহ।
থাইল্যান্ডের নির্বাচন কমিশনের পক্ষে জানানো হয়েছে, বিরোধীদলের নির্বাচন প্রতিহতের কারণে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ সম্ভব হয়নি। এছাড়া দেশটির মোট নয়টি প্রদেশে ভোট গ্রহণ করা যায়নি। এজন্য নির্বাচনের ফল প্রকাশ করতে আরও কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে। অবশিষ্ট্য সকল কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শেষেই চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
এদিকে ইংলাক সিনাওয়াত্রা রবিবার সকালেই বাড়ির কাছে একটি কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন। রবিবার স্থানীয় সময় বিকাল ৩টায় ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে।
ভোট শেষে এক প্রতিক্রিয়ায় ইংলাক বলেন, ‘বিরোধীদের বাধা সত্ত্বেও জনগণ স্বতঃস্ফূতভাবে ভোট দিয়েছে। জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে বিরোধীদের প্রতিরোধের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিয়েছেন।’
মোট ৮৯ শতাংশ কেন্দ্রে স্বাভাবিকভাবে ভোট গ্রহণ সম্ভব হয়েছে বলে দাবি দেশটির নির্বাচন কমিশনের। তবে ২৩ ফেব্রুয়ারির আগে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা সম্ভব হবে না।
এদিকে ভোটের আগের দিন থাইল্যান্ডের রাস্তায় সহিংসতার ঘটনা ঘটলেও, ভোটের দিনের চিত্র ছিলো একেবারেই অন্যরকম।
সরকার বিরোধীরা আগেই ঘোষণা করেছিলো নির্বাচন বর্জন করলেও, ভোট দিতে আসা কোনো নাগরিককে বাধা দেয়া হবে না। সেই অনুযায়ী বিরোধীরা ভোট কেন্দ্রে আসা জনগণকে বাধা দেয়নি বটে তবে সড়কগুলোতে মেতেছিলো অন্যরকম আনন্দ উৎসবে।
রাজনৈতিক এমন টালমাটাল পরিস্থিতিতে সত্যিই অবিশ্বাস্য কা- ঘটিয়ে দেখালো থাইল্যান্ড। কোনো রক্তপাত নয়, নয় হানাহানি। সড়কে নির্বাচন বিরোধীরা বসিয়েছিলো বনভোজন। ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে নির্বাচন বিরোধীরা রান্না-বান্নায় মেতে উঠে।
বিরোধী এক নেতার দাবি, ভোট কেন্দ্রের তুলনায় বেশি জনগণ বনভোজনে অংশ নিয়েছিলো।
এছাড়া ভোট কেন্দ্রেগুলোতে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে। একই চিত্র দেখা গেছে কেন্দ্রের বাইরে থাকা নিরাপত্তাকর্মীদের মধ্যেও।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button