১৯৬১ সালের ঋনের পরিমানকেও ছাড়িয়ে গেছে

যুক্তরাজ্যের সরকারী ঋন জিডিপি’কে ছাড়ালো

যুক্তরাজ্যের সরকারী ঋন এই প্রথমবারের মতো ১৯৬১ সালের ঋনের পরিমানকেও ছাড়িয়ে গেছে। ছাড়িয়ে গেছে দেশটির জিডিপি’কেও। সরকারী খাতের মোট ঋনের পরিমান গত মে মাসে ২০ বিলিয়ন পাউন্ডে উন্নীত হয়। অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্স (ওএনএস) এর একটি পরিসংখ্যানে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষনীয় যে, গত জুনে সরকারী ঋনের পরিমান ১৮.৫ বিলিয়ন পাউন্ডে নেমে আসে। এভাবে দেশের মোট সরকারী ঋন দাঁড়িয়েছে ২.৬ ট্রিলিয়ন পাউন্ডের সমান্য নীচে।
‘প্যান্থিয়ন ম্যাক্রোইকোনমিক্স’ কর্তৃক প্রদত্ত জরীপ অনুসারে এই ঋনের পরিমান বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাসকৃত পরিমানের চেয়ে ২২ বিলিয়ন পাউন্ড কম। গত জুনে গৃহীত সরকারী ঋন, যা এখনো ১৯৯৩ সালের পর গৃহীত তৃতীয় বৃহত্তম ঋন। ওএনএস বলেছে, গত জুনে ঋন জিডিপি’র ১০০.৮ শতাংশে উন্নীত হয়। সরকার কর্তৃক পরিশোধিত ঋনের সুদ জুনে ১২.৫ বিলিয়ন পাউন্ডে পৌঁছে, যা এখনো যে কোন মাসে পরিশোধিত সুদের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ।
কেপিএমজিইউকে এর সিনিয়র অর্থনীতিবিদ মাইকেল স্টেলম্যাক বলেন, সহযোগী দেশগুলোর তুলনায় যুক্তরাজ্যের অভ্যন্তরীন অরক্ষিত অবস্থা তার অর্থনৈতিক দুর্গতির অন্যতম কারন। এর নেপথ্যে রয়েছে জ্বালানীর সহায়তা স্কীম ও বেনিফিট পরিশোধের ন্যায় সুদবিহীন ব্যয়। এর সাথে সবশেষে যুক্ত হয়েছে জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহে অক্ষমদের জন্য সহায়তা, যার পরিমান ছিলো গত জুনে প্রায় ৭৪০ মিলিয়ন পাউন্ড। তিনি আরো বলেন, জাতীয় নির্বাচন এগিয়ে আসছে। এ অবস্থায় সরকারের মাঝে শংকা জাগছে, উপর্যুপরি আর্থিক নীতিমালা সত্বেও সরকারী খাতের ঋন গত ২ দশকের তিনগুন হয়ে দাঁড়াতে পারে। যদিও যুক্তরাজ্যে এমনটি অভূতপূর্ব কিছু নয়, তবুও অভ্যন্তরীন অরক্ষিত পরিস্থিতি সহযোগী দেশের তুলনায় যুক্তরাজ্যকে অধিকতর দুর্ভোগপূর্ব সংবেদনশীল অবস্থায় ফেলে দিতে পারে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button