৯৯.৮ শতাংশ নিখুঁত, ৩৫ মিনিটে ফল
করোনা অ্যান্টিবডি পরীক্ষায় নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন যুক্তরাজ্যে
যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা একটি নতুন করোনাভাইরাস অ্যান্টিবডি পরীক্ষা পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন। তাদের দাবি, এর মাধ্যমে ৩৫ মিনিটের মধ্যে ফলাফল জানা যাবে এবং এটি হবে ৯৯ দশমিক ৮ শতাংশ নিখুঁত। এডিনবার্গের ব্লাড-স্ক্রিনিং সংস্থা কোয়েটিয়েন্টের গবেষকরা একটি টেস্ট কিট তৈরি করেছেন যার মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর এন্টিবডি আছে কি না তা জানা যাবে। এর ফলে জানা যাবে কারও শরীরে করোনাভাইরাস প্রতিরোধের সক্ষমতা সম্পর্কে জানা যাবে। তাদের প্রতিটি সেরোলজিকাল স্ক্রিনিং মেশিন দিয়ে দিনে প্রায় ৩ হাজার টি পর্যন্ত টেস্ট করা যাবে।
তবে আশঙ্কা রয়েছে যে, ইউরোপের আগ্রহের কারণে ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থা (এনএইচএস) এই সুবিধা হাতছাড়া করতে পারে। প্রতিষ্ঠানটির মাত্র ১২ টি স্ক্রিনিং মেশিন প্রস্তুত রয়েছে, আরও ২০ টি চলতি বছরের শেষ দিকে প্রস্তুত হওয়ার প্রত্যাশা রয়েছে তবে ইতিমধ্যে মহাদেশ জুড়ে আগ্রহী দেশগুলো তাদের সাথে আলোচনা শুরু করেছে।
কোয়েটিয়েন্টের সদর দফতর সুইজারল্যান্ডে। তাদের বিজ্ঞানীরা নতুন উদ্ভাবিত পরীক্ষাটি নিয়ে ব্রিটিশ এবং স্কটিশ সরকারকে আলোচনা শুরু করার আহ্বান জানিয়েছে যাতে এনএইচএস উপকার পেতে পারে। যদিও ব্রিটিশ সরকার বলছে যে, তাদের করোনভাইরাস প্রতিরোধ ক্ষমতা পরীক্ষা করার জন্য পরীক্ষাগার সক্ষমতা রয়েছে। তবে তাদের ঠিক কতগুলো পরীক্ষাগার আছে তা জানা না গেলেও তার বেশিরভাগই জরিপের জন্য বিদ্যমান রক্তের নমুনা পরীক্ষায় ব্যবহৃত হচ্ছে।
শুক্রবার, কোয়েটিয়েন্ট তাদের ১০০ শতাংশ সংবেদনশীলতা এবং ৯৯ দশমিক ৮ শতাংশ নিখুঁত মোসাইকিউ সেরোলজিকাল স্ক্রিনিং মেশিনটির জন্য ইউরোপীয় রেগুলেটরির অনুমোদন পেয়েছে। এ বিষয়ে কোয়েটিয়েন্টের চিফ এক্সিকিউটিভ ফ্রানজ ওয়াল্ট, যিনি ২০০৩ সালে সার্সের জন্য প্রথম ডায়াগনস্টিক টেস্ট তৈরি করেছিল যে পরীক্ষাগার, সেটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন, তিনি বলেন, ‘আমরা এই জাতীয় একটি দ্রুত এবং নির্ভুল পরীক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করতে পেরে সত্যিই গর্বিত।’ তিনি বলেন, ‘আমরা এখন নিশ্চিত করতে চাই যে আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অনেক বেশি লোককে সহায়তা করতে পারছি।’
এই কিটের বিষয়ে স্কটিশ সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘নতুন অ্যান্টিবডি পরীক্ষা উপলভ্য হলে সেটি যাতে সবাই পায় তা নিশ্চিত করতে স্কটিশ সরকার যুক্তরাজ্য সরকারের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করছে।’



