আগামীতে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ যাবে : প্রধানমন্ত্রী

PMআগামীতে আওয়ামী লীগ আবারও সরকার গঠন করলে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “বিদ্যুৎ উৎপাদন ১০ হাজার মেগাওয়াটে পৌঁছালে দেশে উৎসব পালন করা হবে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৭ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার কথা বলা হলেও এরই মধ্যে এটা ৯ হাজার ৭১৩ মেগাওয়াটে পৌঁছেছে। আগামী মাসেই বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১০ হাজার মেগাওয়াটে পৌঁছাবে বলে তিনি আশা করেন।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে বাপেক্স ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী বাপেক্স ভবন উদ্বোধন এবং আগারগাঁওয়ে জিটিসিএল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। জিটিসিএল ভবনটি নির্মিত হবে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে।
গ্যাস বিক্রি করতে না চাওয়ায় ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারেনি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা লতিফুর রহমানের বাসায় একটি বৈঠক হয়। সেখানে আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আমাদের পক্ষ থেকে আমি আর আমাদের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান এবং বিএনপির তরফ থেকে খালেদা জিয়া ও তৎকালীন মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন। সেখানে লাঞ্চ হয়। আলোচনায় গ্যাস বিক্রির কথাও উঠে আসে। আমি ৫০ বছরের মজুদ রেখে গ্যাস বিক্রিতে মত দেই। তখনই বুঝতে পারি যে, এ জন্য আর ক্ষমতায় আসতে পারব না। তবে তখনই আমি বলেছিলাম, আপনারা যাকেই ক্ষমতায় বসান না কেন, আপনারা গ্যাস পাবেন না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্যাস রফতানির বিষয়ে মুচলেকা দেইনি বলে সেবার ক্ষমতায় আসতে পারিনি। কিন্তু চারদলীয় জোট ক্ষমতায় এলেও তারা রফতানি করার মতো গ্যাস পায়নি। কিন্তু এবার আমরা ক্ষমতায় এসে এ খাতে ঠিকই সাফল্য পেয়েছি। আসলে আল্লাহ জন বুঝেই ধন দেন।
কারওয়ানবাজারে ১৮ কাঠা জমির ওপর নবনির্মিত বাপেক্স ভবনটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০০৯ সালের ৮ মার্চ। এক লাখ ৪৩ হাজার ৫৫০ বর্গফুট আয়তনের ভবনটিতে দুটি বেজমেন্ট ছাড়াও ১৩টি ফ্লোর (তলা) রয়েছে। ভবনটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৭০ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এর পুরোটাই বাপেক্স অর্থায়ন করেছে। ভবনটিতে ১২৫০ কেভিএ ক্ষমতার বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র ছাড়াও ২০ কিলোওয়াট ক্ষমতার সোলার প্যানেল বসানো হয়েছে। আধুনিক স্থাপত্যশৈলীর ভবনটিতে পাঁচ হাজার লিটার ক্ষমতার কেন্দ্রীয় পানি শোধনাগার প্ল্যান্টও রয়েছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button