শরণার্থীর বিরুদ্ধে উপর্যুপরি মিথ্যা অভিযোগ
উগ্র ডানপন্থী ব্রিটিশ নেতার দেড় বছর কারাদণ্ড
৮০হাজার ৩৫১ পাউন্ড জরিমানা
যুক্তরাজ্যের উগ্র ডানপন্থী নেতা টমি রবিনসনকে দেড় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত। এছাড়াও তাকে ৮০হাজার ৩৫১ পাউন্ড জরিমানা করা হয়েছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞ অমান্য করে জনৈক শরণার্থীর বিরুদ্ধে উপর্যুপরি মিথ্যা অভিযোগ করায় তাকে এই শাস্তি দেয়া হয়েছে। একজন বিচারক যিনি টমি রবিনসনকে বলেন, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়, তিনি বলেন, আইনের লঙ্ঘনটি ছিল স্পষ্ট এবং এটা একটি সূক্ষ্ম কৌশলে করা হয়েছে যেন মিথ্যা দাবিসমূহ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে যায়, তা নিশ্চিত হয়।
রবিনসনের প্রকৃত নাম স্টিফেন ইয়াক্সলি- লেনন। অপরাধ করা সত্ত্বেও তার মাঝে কোন ধরনের অনুশোচনাবোধ লক্ষ্য করা যায়নি। বিচারক জনসন বলেন, তার সকল কর্মকান্ড থেকে প্রতীয়মান হয় যে, তিনি আইনের উর্ধ্বে। অবশ্য বিচারক বলেন, রবিনসনের শাস্তির মেয়াদ চার মাস কমানো হবে যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে তার মিথ্যা সম্বলিত পোস্টটি অপসারণ করেন। কিন্তু এ কথা শুনে কাঠগড়ায় দাঁড়ানো রবিনসন তার সমর্থকদের দিকে তাকান এবং বলেন ‘না’ ।
একটি কুৎসা রটানোর মামলায় হেরে গেলে রবিনসনকে এই দন্ড দেন আদালত। জামাল হিজাজী নামক সিরীয় স্কুল শিক্ষার্থী তার বিরুদ্ধে এই মানহানির মামলা দায়ের করে । টমি রবিনসন এই মর্মে মিথ্যা অভিযোগ করেন যে, জামাল হিজাজী ওয়েস্ট ইয়র্ক শায়ারের একটি স্কুলে ব্রিটিশ তরুণীদের উপর সহিংস হামলা চালান। এর আগে জামাল হিজাজী তার স্কুলে হামলার শিকার হলে তার ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রকাশিত হয়। কিন্তু টমি রবিনসন ফেইসবুকের ভিডিওতে মিথ্যাভাবে দাবি করেন যে, হিজাজী নির্দোষ নয়, সে তার স্কুলের ব্রিটিশ তরুণী ,শিক্ষার্থীদের উপর মারাত্মক আক্রমণ করেন।
চলতি বছরের প্রথম দিকে সলিসিটর জেনারেল রবিনসনের বিরুদ্ধে দুটি আদালত অবমাননা দাবি ইস্যু করেন। তিনি দাবি করেন, কুৎসা রটনার মধ্যিখানে তার মিথ্যা দাবি উপস্থাপন করে তিনি জেনেশুনে আদালতের একটি আদেশ লংঘন করেছেন।