খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের শুভ বড়দিন

সারা বিশ্বের খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন (ক্রিসমাস) পালিত হচ্ছে আজ শনিবার। বছর ঘুরে আবার সবচেয়ে খুশির সেই দিনটি ফিরে এসছে। নিজস্ব ধর্মীয় রীতিতে গির্জায় গির্জায় আজ হবে প্রার্থনা। মানবতার কল্যাণে যিশুর শান্তির বাণী ছড়িয়ে যাবে মানুষে মানুষে। আলোকসজ্জা, ক্রিসমাস ট্রি আর সান্তাক্লজের উপহারে মেতে উঠবে শিশুরা।
কোভিড-১৯ প্রেক্ষাপটে করোনার বিধিনিষেধ মেনে এবারের বড়দিন উৎসব উদযাপনের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি বলেন, আমাদের দেশ ও জাতি তথা বিশ্ববাসী এ মহামারি থেকে যেন মুক্তি পায়-এ প্রার্থনা করি।
বড়দিন উপলক্ষে গির্জাগুলো সাজানো হয়েছে রঙিন বাতিতে। সকালে সেখানে বিশেষ প্রার্থনা দিয়ে দিনের শুরু হবে আজ। গির্জায় ধর্মীয় গান হবে। এছাড়া নানা আয়োজন করেছেন যিশুভক্তরা। ঘরে ঘরে জ্বালানো হয়েছে রঙিন আলো। সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি। খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, যিশু গোয়ালঘরে জন্মেছিলেন বলে তার অনুসারীরা ঘরে ঘরে প্রতীকী গোশালা তৈরি করেছেন। পারিবারিক, সামাজিক ও ধর্মীয় মেলবন্ধনের এদিনে অনেকে বেড়াতে যাবেন আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে।
বড়দিনের উৎসব ঘিরে আনন্দমুখর আয়োজনে পিছিয়ে নেই বড় বড় শহরের অভিজাত হোটেলগুলো। রঙিন বাতি, ফুল আর প্রতীকী ক্রিসমাস ট্রিতে সাজানো হয়েছে বড়দিন। দিবসটি উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটির দিন। সরকারি-বেসরকারি টিভি ও রেডিওতে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হচ্ছে। সংবাদপত্রগুলো দিনটিতে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button