লণ্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের মতবিনিময় সভা

সিলেট নগরকে বদলে দেয়ার কৃতিত্ব নগরবাসীর, আমার নয়: মেয়র আরিফ

সিলেট নগরীর উন্নয়ন প্রসঙ্গে সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, আমাদের আহবানে সাড়া দিয়ে প্রবাসীসহ সিলেটের বহু নাগরিক তাঁদের বাসা-বাড়ি, দোকানপাট, ব্যবসা-বাণিজ্য কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণ দাবী ছাড়াই ছেড়ে দিয়েছেন। সিলেটের উন্নয়নের স্বার্থে যারা সম্পদ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন সেই নাগরিকদের কাছে আমরা চিরঋণী। যদি তারা সহযোগিতা না করতেন তাহলে সরকার থেকে ১৫-১৬ হাজার কোটি টাকা নিয়ে ক্ষতিপূরণ দিতে হতো। কারণ আমরা অনেকের মূল্যবান জায়গা নিয়েছি। পাশাপাশি অনেকের ঘর-বাড়ী ভাঙ্গা পড়েছে। কারো কারো দোকানপাট ভাঙ্গতে হয়েছে। অনেক ব্যবসা-বাণিজ্য পনেরো দিন থেকে একমাস পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হয়েছে। এই সহযোগিতা বাংলাদেশে বিরল। এ ক্ষেত্রে নগরবাসী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সিলেট নগরকে বদলে দেয়ার এই কৃতিত্ব নগরবাসীর, আমার নয়। নগরবাসী বুঝতে পেরেছেন এই সময়ের জন্য এটা করা উচিত। তাই তারা করেছেন।
তিনি গত ১৩ মে শুক্রবার সন্ধ্যায় লণ্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত ‘পরিকল্পিত নগরায়নে প্রতিবন্ধকতা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। প্রেস ক্লাব সভাপতি ও সাপ্তাহিক পত্রিকা সম্পাদক মোহাম্মদ এমদাদুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভা পরিচালনা করেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাপ্তাহিক দেশ সম্পাদক তাইসির মাহমুদ। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ব্যারিস্টার তারেক চৌধুরী ও শেষ পর্বে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন ক্লাবের ট্রেজারার সালেহ আহমদ। প্রশ্নোত্তর পর্বে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
মেয়র তাঁর দীর্ঘ বক্তৃতায় আরো বলেন, ২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে ২৬ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের অবস্থান। এই সিটিতে আমি ২০১৩ সালে মেয়র নির্বাচিত হই। আমরা নির্বাচনী ইশতেহারে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। কিন্তু নির্বাচনের পর তিনটি বছর আমাকে সরকারের হেফাজতে থাকতে হয়। তাই কাজ থেকে বঞ্চিত ছিলাম। পরবর্তীতে যখন দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হই তখন বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি শুরু হয়ে যায়। এই মহামারির কারণে প্রায় আড়াই বছর আমরা উন্নয়ন কাজসহ অনেক কিছুই করতে পারিনি। তবে তার মধ্যে আমরা একেবারে বসে থাকিনি। আমি নির্বাচিত হওয়ার পর অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা এই শহরকে শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসতে বাংলাদেশের প্রখ্যাত প্রকৌশলী জাতীয় অধ্যাপক প্রয়াত জামিলুর রেজা চৌধুরীকে প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ করি। তিনি জীবতাবস্থায় আমাদেরকে অনেক দিকনির্দেশনা দেন। প্রথমত তিনি জলাবদ্ধতা নিরসনে কী করতে হবে তার একটি গাইডলাইন দেন। এরপর ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচতে আমাদের করনীয় কী তা বাতলে দেন।
তিনি বলেন, সামান্য বৃষ্টিতে সিলেট শহরে জলাবদ্ধবতা লেগে যাওয়া একটি বড় সমস্যা ছিলো। কিন্তু আমরা নালা, নর্দমা, খাল ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে এই জলাবদ্ধতা প্রায় আশি ভাগ কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। এই কাজে সরকার আমাদেরকে ২৩৪ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করেছিলো। আমরা এই টাকায় গৃহীত প্রকল্পগুলো যথাসময়ে সম্পন্ন করতে পারায় বাংলাদেশের ১২টি সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে সিলেট সিটি কর্পোরেশন গত তিন বছর ধরে উন্নয়নের দিক থেকে প্রথম স্থান অর্জন করে আসছে। তাছাড়া বাংলাদেশের সকল ডিপার্টমেন্টের মধ্যে সিলেট সিটি কর্পোরেশন উন্নয়ন ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থানের অধিকারী হয়েছে। এই কৃতিত্বের দাবীদার আমার নগরবাসী। নগরবাসী আমাদেরকে তাদের মূল্যবান সম্পদ ছেড়ে দিয়ে সহযোগিতা না করলে এটা সম্ভব হতো না।
মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী আরো বলেন, সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়নের স্বার্থে আমরা যখন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করি তখন অনেকেই মনে করেছিলেন এটা কি আদৌ সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে সম্ভব হবে? কিন্তু আমরা যখন বড় বড় ভবনগুলো অপসারণ করে উন্নয়ন কাজ শুরু করি তখন সাধারণ জনগন আমাদেরকে সমর্থন করতে শুরু করে। আমাদের কাজের প্রশংসা করে। গুটিকয়েক মানুষ তাদের স্বার্থে আঘাতের কারণে আমাদের বিরোধীতা করে এবং আদালতের শরনাপন্ন হয়। কিন্তু আদালত এ ব্যাপারে আমাদেরকে পূর্ণ সহযোগিতা করেন।
সিলেট শহরের ৬৫ শতাংশ বাসা-বাড়ির মালিক যুক্তরাজ্য প্রবাসী- উল্লেখ করে মেয়র বলেন, প্রবাসীদের যেকোনো সমস্যায় আমরা পাশে রয়েছি। প্রবাসীদের সুবিধা-অসুবিধা দেখাশুনার জন্য একটি সেল গঠন করতে চাই। লণ্ডনে এই কাজটি টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল কিংবা লণ্ডন বাংলা প্রেস ক্লাব করতে পারে । আপনারা যদি এখানে একটি সেল গঠন করে প্রবাসীদের সমস্যাগুলো ভালোভাবে বুঝে নিয়ে আমাদের অফিসে নির্ধারিত বিভাগে ইমেইল করেন তাহলে ওখান থেকে তারা উত্তর দেবে। তখন আপনারা বলতে পারবেন, আমরা ইমেইল পাঠিয়েছিলাম- আপনারা কী করছেন। তখন আমরাও জবাব দেবো। আমি বলতে পারবো আমরা এতটুকু করতে পেরেছি। আপনারা চিন্তা করবেন এই কাজ কীভাবে করা সম্ভব হয়। তবে আমার মনে হয়, এটি টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল দায়িত্ব নিলে ভালো হবে। তিনি বক্তৃতার ফাঁকে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের নব-নির্বাচিত মেয়র লুৎফুর রহমানকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আমার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়েছে। আমি তাঁকে সিলেটে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। দেশে ফিরে গিয়ে তাঁকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণপত্র পাঠাবো।
তিনি বলেন, প্রবাসীরা সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বিনিয়োগ করতে গেলে আমি সরধরনের সহযোগিতা করবো। কোনো কোনো ব্যবসার লাইসেন্স জেলা প্রশাসন থেকে আনতে হয়। কোনো সময় অন্য বিভাগ থেকে। আমাদের কর্পোরেশন থেকে হলে আমরা সেটা দেবো। অন্য বিভাগ থেকে আনতে হলে সেখান থেকেও এনে দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
তিনি বলেন, লণ্ডনে উচ্চশিক্ষিত কয়েকজন তরুণ সিলেটে গিয়ে ‘মিটআপ’ নামে একটি রেস্টুরেন্ট খুলেছেন। তাঁরা এখন কাস্টমারের ভীড় সামলাতে পারছেন না। এই রেস্টুরেন্টে খেতে হলে তিন আগে বুক দিয়েও সীট পাওয়া যায় না। তাঁদের ব্যবসা এতো ভালো হচ্ছে যে, তারা ইতোমধ্যে তিনটি শাখা খুলেছেন। লণ্ডন থেকে সিলেট গিয়ে ব্যবসা খুলতে তাঁদের তো কোনো অসুবিধা হয়নি। আমরা তাদেরকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়েছি।
তিনি বলেন, প্রবাসীদের বিনিয়োগের অর্থের নিরাপত্তার জন্য আমরা সিকিউরিটি বণ্ড চালু করার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাথে আমাদের আলাপ চলছে। সরকার যদি সিকিরিটি বণ্ডের সার্টিফিকেট প্রদান করে তাহলে একজন প্রবাসীর টাকার নিরাপত্তা থাকবে। আমরা বিনিয়োগের ৬০ শতাংশ টাকা দেবো। আর প্রবাসীরা ৪০ শতাংশ দেবেন।
মেয়র বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সিলেটে এক ব্যক্তি আমার একটি ছবি ভাইরাল করেছেন। এতে দেখানো হয়েছে, আমি একজন ব্যবসায়ীকে লাঠি দিয়ে শাসন করেছি। তিনি বলেন, আমি শহরের ভাসমান ব্যবসায়ীদের শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে দায়িত্ব দেইনি, ম্যাজেস্ট্রেটও দেইনি। কারণ ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দিলে তারা ব্যবসায়ীদের জরিমানা করে ফেলে। জরিমানার টাকা দিতে না পারলে জেলে পাঠিয়ে দেয়। তাই আমি ভাবলাম মেয়র হিসেবে আমাকে জনগণের সাথেই থাকতে হবে। ভাসমান আদালতের সেই কাজ আমিই করবো। আমিই তাদেরকে শাসন করবো। নতুবা ঈদের সময় পুলিশ অনেককে ধরে নিয়ে যাবে। এরপর তাঁর পরিবার আমার কাছে আসবে ছাড়িয়ে আনার জন্য। তাই এজন্য আমি সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শহরে ঘুরে বেড়াই। শাসন করি। অবৈধভাবে রাস্তায় দোকান নিয়ে বসলে ধমক দিয়ে সরিয়ে দিই। তিনি বলেন, লাঠি দিয়ে শাসনের দৃশ্য যিনি ভাইরাল করেছেন তিনি একজন ভাসমান ব্যবসায়ী। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে এসেছেন। তিনি এখানে ভ্যান গাড়ি দিয়ে ব্যবসা করেন। তাঁর ট্রেড লাইসেন্স নেই। রাস্তা থেকে সরিয়ে দিলে কিছুক্ষণ পরেই আবার এসে বসে পড়েন। তিনি মোবাইল দিয়ে এটা রেকর্ড করে ভাইরাল করেছেন। আপনারা সেখানকার স্থানীয় ব্যবসায়ীদেরকে জিজ্ঞেস করেন। চেম্বার অব কমার্সের ব্যবসায়ীদেরকে জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন।
তিনি বলেন অনেকেই প্রশ্ন তুলেন, আমার হাতে লাঠি কেন। আমি বিভিন্ন সময় এর ব্যাখ্যা দিয়েছি। অনেকেই জানেন, ১৯৯৯ সালে আমি মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলাম। তখন বিভিন্ন পত্রিকায় রিপোর্ট ছাপা হয়েছিলো ‘রাখে আল্লাহ মারে কে’ শিরোনামে। আমি মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে এসেছিলাম। ডাক্তার আমাকে বলেছেন, যদি আমি কখনো দাঁড়ানো থেকে পড়ে যাই তাহলে প্যারালাইজড হয়ে যাবো। তাই আমাকে সবসময় সঙ্গে লাঠি রাখতে হয়। কিন্তু কেন সঙ্গে লাঠি রাখি এ নিয়ে বারবার প্রশ্নের মুখোমুখি হই।
তিনি যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষিত ব্রিটিশ-বাঙালি তরুণদেরকে বাংলাদেশে পাঠানোর আহবান জানিয়ে বলেন, তারা যদি কোনো ভালো আইডিয়া দেয় তাহলে সিটি কর্পোরেশন লুফে নিয়ে কাজে লাগাবে।
তিনি বলেন, আমি শতভাগ যথাযথভাবে কাজ করছি এটা দাবী করিনা। আমিও মানুষ। আমারও ভুল হতে পারে। আমার ভুল হলে আপনারা ধরিয়ে দেবেন। আমি নিজেকে শোধরানোর চেষ্টা করবো। আমি সকলকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চাই। সকলের দোয়া চাই।
প্রেস ক্লাব সভাপতি মোহাম্মদ এমদাদুল হক চৌধুরী ব্যস্ততার মধ্যেও মতবিনিময় সভায় সময় দেয়ার জন্য মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে সিলেট নগরীর উন্নয়ন কাজ অব্যাহত থাকবে এবং সিলেট একটি পরিকল্পিত ও পরিচ্ছন্ন শহর হিশেবে প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, বিভিন্ন সময়ে লণ্ডন থেকে যাওয়া ব্রিটিশ এমপিদের প্রতিনিধিদলকে সিলেটে সুরমা নদীর তীরে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করে মিডিয়ায় ছবি ভাইরাল করতে দেখা যায়। লণ্ডন থেকে সিলেটে গিয়ে যারা আবর্জনা পরিষ্কার করেন তাদের জন্য হয়তো এটি একটি ভালো প্রমোশন। তারা বিশ্বকে দেখাতে পারেন যে তারা পরিচ্ছন্নতা কাজের জন্য লণ্ডন থেকে সূদুর সিলেট পর্যন্ত চলে গেছেন। কিন্তু সিলেটবাসীর জন্য এটি অপমানজনক, লজ্জাকর। এতে মনে হতে পারে, সিলেটবাসী ময়লা আবর্জনার মধ্যেই বসবাস করেন। তারা নিজেরা নিজেদের পরিচ্ছন্ন রাখতে চান না কিংবা এতে সক্ষম নন। এটি সিলেটবাসীর জন্য নেতিবাচক প্রচারণা। তাই যথাযথ এবং কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে এই ধরনের প্রচারণার সুযোগ বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরী। জবাবে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানান, সিলেট শহরে এখন আর আগের মতো আবর্জনা নেই। আবর্জনাগুলো ‘রিসাইকেল’ করার জন্য সিটি কর্পোরেশন ২০ লাখ টাকার একটি প্রকল্প চালু করেছে। এখন প্রতিদিন স্বল্প-আয়ের মানুষজন বোতলসহ বিভিন্ন ধরনের আবর্জনা কুড়িয়ে এনে সিটি কর্পোরেশনের কাছে বিক্রি করেন। এটি তাদের জন্য একটি আয়ের পথ খুলে দিয়েছে। সিটি কর্পোরেশন সেগুলো তাদের কাছ থেকে কিনে নিয়ে রিসাইকেল করে থাকে।
প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তাইসির মাহমুদ বলেন, ভালো কাজের জন্য যে একজন মানুষের ইচ্ছাই যথেষ্ট- এর উজ্জল দৃষ্টান্ত হলেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি এতো প্রতিবন্ধকতা ও ঝুঁকি নিয়ে সিলেটের উন্নয়নে আত্মনিয়োগ না করে চেয়ারে বসে-বসে দায়িত্ব পালন করতে পারতেন। কিন্তু তাঁর ইচ্ছা আছে বলেই তিনি ভালো কাজের ঝুঁকি নিয়েছেন। ভালো কাজের ইচ্ছা আছে- এমন মানুষদেরই হাতে আমাদের দায়িত্ব অর্পণ করা উচিত।
প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণ করেন সাংবাদিক সৈয়দ নাহাস পাশা, মোহাম্মদ বেলাল আহমদ, নজরুল ইসলাম বাসন, মিছবাহ জামাল, বদরুজ্জামান বাবুল, মহিউদ্দিন আফজাল, আব্দুল মুনিম জাহেদী ক্যারল, কবি আব্দুল কাইয়ুম, জাকির হোসেন কয়েস, মারুফ আহমদ ও মুহাম্মদ রহিম।
সভার শেষ পর্বে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ সালেহ আহমদ। তিনি ক্লাবের নির্বাহী কমিটির দায়িত্বশীলদের পরিচয় করিয়ে দেন। তিনি অনুষ্ঠান আয়োজনে সহযোগিতার জন্য প্রেসক্লাবের নির্বাহী কমিটির সকলকে ধন্যবাদ জানান। -সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button