মায়ানমারে গণহত্যা হয়েছে

রোহিঙ্গাদের ফিলিপাইনে আশ্রয় দিবো: দুয়ার্তে

philippineফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুয়ার্তে বলেছেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে। এ গণহত্যা থেকে বাঁচতে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে তার দেশ প্রস্তুত। তবে এক্ষেত্রে ইউরোপেরও দায়িত্ব রয়েছে। তাদেরও রোহিঙ্গাদের সাহায্য করা উচিত।
বৃহস্পতিবার ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে দেশটির কৃষক ও কৃষি দফতরের কর্মকর্তাদের এক অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
রদ্রিগো দুয়ার্তে বলেন, সেখানকার মানুষদের নিয়ে আমি আসলেই সমব্যথী। আমি শরণার্থীদের গ্রহণ করতে চাই। রোহিঙ্গাদের জন্য হ্যাঁ। আমি সাহায্য করবো। কিন্তু আমাদের উচিত তাদের ইউরোপের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেওয়া।
রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যর্থতার কথাও উল্লেখ করেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, তারা এমনকি রোহিঙ্গা সংকটেরও সমাধান করতে পারে না।
মিয়ানমারের পক্ষ থেকে দেশটিতে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর ব্যাপারে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্টের বক্তব্য নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জ হতে বলেছেন, দুয়ার্তের মন্তব্যে ঘটনার প্রকৃত চিত্র উঠে আসেনি। মিয়ানমার সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না।
এর আগে গত মার্চে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে আসিয়ান সম্মেলনে রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের কঠোর সমালোচনা করেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। তিনি বলেন, রাখাইনের অস্থিরতাকে এখন আর কেবলই একটি অভ্যন্তরীণ সংকট হিসেবে দেখার সুযোগ নেই।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নতুন করে জাতিগত নিধনযজ্ঞ শুরু হলে জীবন ও সম্ভ্রম বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে এ জনগোষ্ঠীর প্রায় ৭ লাখ মানুষ। জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন এ ঘটনাকে ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞের পাঠ্যপুস্তকীয় দৃষ্টান্ত’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। জাতিসংঘ মহাসচিব প্রশ্ন তুলেছেন, দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ দেশ ছাড়তে বাধ্য হলে তাকে ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞ’ ছাড়া আর কী নামে ডাকা হবে। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ন ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণকে রোহিঙ্গা তাড়ানোর অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগও এনেছে জাতিসংঘ। সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button