ক্যাবলবিহীন বিদ্যুৎ চালু করছে ইমরোদ কোম্পানী

একটি এনার্জি কোম্পানী ‘ইমরোদ’ নিউজিল্যান্ডে তারবিহীন বিদ্যুৎ নিয়ে আসার ঘোষনা দিয়েছে। এর এক শতাব্দিরও বেশী আগে নিকোলা টেসলা প্রথম দেখিয়েছিলো, তারবিহীন বিদ্যুৎ সম্ভব। উত্তম কার্যকর সেটেলাইট ইন্টারনেট সংযোগের ন্যায়, ইমরোদ-এর লিংক বা সংযোগের জন্য একটি স্পষ্ট লাইন অব সাইট আবশ্যক।

ইমরোদ-এর প্রতিষ্ঠাতা গ্রেগ কুশনির বলেন, তিনি নিউজিল্যান্ডের বিশেষ দক্ষতাপূর্ণ ‘অ্য লা লিয়াম নীসন ইন টেইকেন’-এর দ্বারা উদ্বুদ্ধ। তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে যথেষ্ট পরিমাণ পরিষ্কার পানি, সোলার ও বায়ূ জ্বালানী রয়েছে কিন্তু প্রচলিত পদ্ধতিতে সরবরাহের বিষয়টি ব্যয় বহুল চ্যালেঞ্জপূর্ণ। উদাহরণ স্বরূপ, উপকূলের বায়ূ ফার্ম কিংবা কুক স্ট্রেইট-এর জন্য পানির তলদেশে ক্যাবল বা তার স্থাপন আবশ্যক, যার স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়বহুল।
ইমরোদ বলেছে, প্রচলিত তামার তারের দীর্ঘ লাইন দূর করে তারা অধিকতর জটিল উপত্যকা ও স্থানগুলোতে বিদ্যুৎ নিয়ে আসতে সক্ষম, যা বাহ্যিক অবকাঠামোতে একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে সাধ্যের মধ্যে নয়। এক্ষেত্রে পরিবেশগত বাধা বিঘ্ন রয়েছে, যেহেতু অনেক স্থান রয়েছে যেখানে ডিজেল জেনারেটরের সুযোগ নেই।
ইমরোদ একটি মোটামুটি দূরত্বে অর্থাৎ প্রায় ১৩০ ফুট দূরে যা কিছ ওয়াট বিদ্যুৎ আনা নেয়া করে পরীক্ষা করে দেখেছে। দৃষ্টির লাইন গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই প্রযুক্তি একটি স্পষ্ট বা স্বচ্ছ পরিবেশের ওপর নির্ভরশীল, যা এক পয়েন্ট থেকে আরেকটি পয়েন্টে বীম বা রশ্মি ধারণ করে তাদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, তাদের এনার্জি বা জ্বালানী ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গের মাধ্যমে দূরবর্তী স্থানে সঞ্চালিত হয়। এক্ষেত্রে ইমরোদের প্রোপ্রাইটরী বীম শেইপিং, মেটাম্যাটেরিয়াল ও রেকটেন্না প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।
যদি কখনো বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে, তবে ইমরোদ একটি ট্রাকে বহন করা রেকটেন্না চালিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল করতে পারবে। তাদের বিলে বা সঞ্চালন প্রযুক্তি বীম বা রশ্মি বিষয়ক, এতে কোন বিদ্যুৎ ব্যবহার করেনা এবং এতে কোন ক্ষয়ক্ষতি নেই।
কুশনির আরো বলেন, আমরা বেশ ভালোভাবেই সকল যন্ত্রাংশের কার্যকারিতার উন্নয়ন ঘটিয়েছি, বলা যায় শতভাগ। প্রকল্পটিকে সহায়তা করছে নিউজিল্যান্ডের ইলেক্ট্রিক ইউটিলিটিজ এবং সরকার।
প্রোটোটাইপটি নমুনা বেশ কিছু সরকারী অর্থায়ন লাভ করেছে এবং ‘কালাঘান ইনোভেশন’ সহযোগিতায় রাজধানী অকল্যান্ডে এটা ডিজাইনকৃত ও নির্মিত হয়। নমুনাটি ইতোমধ্যে রয়াল সোসাইটি অ্যাওয়ার্ড নমিনেশন এবং নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদ্যুৎ সঞ্চালন কোম্পানী ‘পাওয়ারকো ইমরোদ প্রযক্তির প্রথম পরীক্ষাকারী হবে।
কুশনির আরো জানান, প্রথমাবস্থায় দূরত্ব ও বিদ্যুতের পরিমাণ স্বল্প হবে। কয়েক কিলোওয়াট বিদ্যুৎ স্বল্প দূরত্বে প্রেরিত হবে। পরে বড়ো রেটেন্না তৈরীর মাধ্যমে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিদ্যুৎ দূরবর্তী স্থানে সঞ্চালন করা যাবে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button