রিজার্ভে পাকিস্তানকে টপকালো বাংলাদেশ

রিজার্ভে পাকিস্তানকে টপকালো বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বিজয়ের ৪৯তম বার্ষিকীর ঠিক আগে বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভের নতুন উচ্চতায় ওঠার খবর দেয়। মঙ্গলবার দিন শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ অবস্থান করছিল ৪ হাজার ২০৯ কোটি (৪২ দশমিক ০৯ বিলিয়ন) ডলারে, যা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি।
স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের তথ্যে দেখা যায়, ৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানের রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার। এ হিসাবে বাংলাদেশের রিজার্ভ এখন পাকিস্তানের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে বাংলাদেশের রিজার্ভ বেড়েছে ১ হাজার কোটি ডলারের বেশি।
বিশ্লেষকদের মতে, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে উল্লম্ফন ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি আমদানিতে ধীরগতি ও বিদেশি ঋণ বৃদ্ধির কারণে রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের অক্টোবরে রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। ওই বছরের ১৫ ডিসেম্বর রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার। চলতি বছরের ২৯ অক্টোবর তা প্রথমবারের মতো ৪১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। ৫ নভেম্বর এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসের আমদানি বাবদ ১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করায় রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে।
তিন সপ্তাহের ব্যবধানে ২৭ নভেম্বর তা আবার ৪১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। বর্তমানের রিজার্ভ দিয়ে প্রতি মাসে চার বিলিয়ন ডলার হিসাবে প্রায় সাড়ে ১০ মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ-এ ৯টি দেশ বর্তমানে আকুর সদস্য। এ দেশগুলো থেকে বাংলাদেশ যেসব পণ্য আমদানি করে তার বিল দুই মাস পর পর আকুর মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুত থাকতে হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেন, আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে আকুর নভেম্বর-ডিসেম্বরের বিল পরিশোধ করতে হবে। তার আগ পর্যন্ত রিজার্ভ ৪২ বিলিয়ন ডলারের ওপরই অবস্থান করবে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button