নেপালে ভূমিকম্প আসন্ন জানতেন ভূ-বিজ্ঞানীরা !

নেপালে ভূমিকম্প শীঘ্রই হতে পারে, জানতে পেরেছিলেন ভূ-বিশেষজ্ঞরা ! ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত নেপালে এমনই জল্পনা উঠে আসছে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, প্রায় এক সপ্তাহ আগে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৫০ জন ভূতত্ত্ববিদ ও সামাজিক বিজ্ঞানী নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে এসেছিলেন শহরের ঘিঞ্জি, অনুন্নত এলাকাগুলোর পরিকল্পনায় বদল আনতে। তাদের সংস্থা ‘আর্থকোয়েক উইদাউট ফ্রন্টিয়ার্স’-এর লক্ষ্য একটাই ছিল। তা হলো ভবিষ্যতে সম্ভাব্য ভূকম্পনের সময় আগে থেকেই তা মোকাবিলার জন্য যাতে তৈরি থাকতে পারেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিশেষজ্ঞরা জানতেন, তাদের হাতে সময় বেশি নেই। খুব শীঘ্রই সেখানে ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে। তবে, কবে সেটা বলতে পারেননি।
ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান তথা ভূমিকম্প-বিশেষজ্ঞ জেমস জ্যাকসন জানান, একটা দুঃস্বপ্ন যা হওয়ার অপেক্ষায় ছিল। তিনি বলেন, ‘ভূতাত্ত্বিকভাবে ও বাস্তবিকভাবে- এই ধরনের ধ্বংসলীলারই আশঙ্কা করেছিলাম।’ তবে যোগ করেন, এত তাড়াতাড়ি তা ঘটবে ভাবতে পারেননি। জ্যাকসন জানান, তারা যখন কাঠমান্ডুতে ছিলেন, তখনই বুঝতে পেরেছিলেন, ওই অঞ্চলটি গভীর সমস্যায় পড়তে চলেছে। কিন্তু সমস্যাটা এত বড় ছিল, তার মোকাবিলা করাটা কোথা থেকে বা কেমনভাবে শুরু করা হবে, তা বোঝা যায়নি।
উল্লেখ্য, শনিবার পোখরার কাছে ৭.৯ তীব্রতার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে গোটা নেপাল। এখনও পর্যন্ত ২ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে জ্যাকসন জানান, একটি ভূকম্পনের কারণ প্রাকৃতিক হলেও, তার বিধ্বংসের পরিমাণের জন্য মানুষ দায়ী। কারণ, ভূমিকম্পে মাটি ধসে মারা যাওয়ার চেয়ে বেশি মানুষ মারা যান বাড়ি চাপা পড়ে। জ্যাকসনের সহ-গবেষক ডেভিড ওয়ার্ল্ড জানান, এই তীব্রতার ভূকম্পন ক্যালিফোর্নিয়াতে হলে সম্ভবত প্রতি ১০ লাখে  ১০-৩০ জনের মৃত্যু হতো। নেপালের ভৌগলিক অবস্থান ও জনঘনত্বের জন্য সেই সংখ্যাটা প্রতি ১০ লাখে ১ হাজার হবে। আবার সেটাই ভারত, পাকিস্তান, ইরান ও চীনে ১০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। ঢাকাতে এটা হতে পারে অন্তত ১২ হাজার।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button