কাবা ঘরে পরানো হলো স্বর্ণখচিত নতুন গিলাফ

নতুন এই গিলাফে ৬৭০ কেজি খাঁটি রেশম, ১২০ কেজি খাঁটি স্বর্ণ এবং ১০০ কেজি রূপার সুতা

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এ বছর অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পবিত্র কাবার গিলাফ পরিবর্তনের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ জিলহজ, সৌদির তারিখ) ফজরের নামাজের পর হজযাত্রীরা আরাফাতের ময়দানে চলে গেলে গিলাফ পরিবর্তনের কথা থাকলেও রীতি ভেঙে গত বুধবার রাতেই পুরোনো গিলাফ বদলে নতুন গিলাফ পরানোর কাজ শুরু হয়। সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম সাবাক নিউজ এক প্রতিবেদনে জানায়, নতুন গিলাফ পরানোর কাজ শুরু করার কিছুক্ষণ পরই বৃষ্টি শুরু হয়। তবুও কাজ বন্ধ করা হয়নি। অব্যাহত প্রচেষ্টায় টানা পাঁচ ঘণ্টা সময় ধরে হারামাইন শরিফাইনের সভাপতির তত্ত্বাবধানে গিলাফ পরিবর্তনের প্রক্রিয়া শেষ করা হয়।
সৌদি আরবের বার্তা সংস্থা এসপিএ জানিয়েছে, গিলাফ পরিবর্তনের কাজে অংশ নিয়েছে সৌদির প্রভাবশালী অনেক প্রতিষ্ঠান। এর আগে কাবার নতুন গিলাফ বাদশা আবদুল আজিজ কিসওয়া কমপ্লেক্স থেকে অত্যন্ত আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহৃত একটি বিশেষ ট্রাকে করে সুসজ্জিত বহরের মাধ্যমে মাসজিদুল হারাম পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা ও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে যাবতীয় সতর্কতা ও সাবধানতা অবলম্বন করা হয়। কাবা শরিফের নতুন এই গিলাফে ৬৭০ কেজি খাঁটি রেশম, ১২০ কেজি খাঁটি স্বর্ণ এবং ১০০ কেজি রূপার সুতা ব্যবহার করা হয়েছে।
স্বর্ণের সুতা দিয়ে গিলাফের বিভিন্ন অংশে কোরআনের আয়াত লেখা হয়েছে। জানা যায়, গিলাফে ব্যবহৃত খাঁটি রেশম আনা হয়েছে ইতালি থেকে। স্বর্ণ এসেছে জার্মানি থেকে। অনুমান করা হচ্ছে, কাবার নতুন গিলাফের কাজ সম্পন্ন করতে প্রায় ২২ মিলিয়ন সৌদি রিয়াল খরচ হয়েছে। দুই শতাধিক শ্রমিক সারা বছর কাবার গিলাফ তৈরির কাজে নিয়োজিত থাকেন। গিলাফটি খুব টেকসই ও মানসম্মত উপায়ে তৈরি করা হয়। যেন রোদ-বৃষ্টিতে নষ্ট না হয়। বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে দেশ-বিদেশের এক হাজার হজযাত্রী নিয়ে এবারের হজের আয়োজন করেছে সৌদি সরকার। ভাইরাসের সংক্রমণ ও বিস্তাররোধে নজিরবিহীন স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে হজ পালনের জায়গাগুলোতে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button