বিশ্বকাপে আফগানিস্তান

২০১১ বিশ্বকাপের খুব কাছ থেকে ফিরতে হয়েছিল আফগানিস্তানকে। কিন্তু এবার আর পেছনে ফিরে তাকাতে হল না এ বছরের শুরুতে আইসিসির সহযোগী সদস্যপদ পাওয়া দলকে। আইসিসি ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট লীগে দু’বছরেরও বেশি সময় লড়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ক্রিকেটে নিজেদের নাম লিখে ইতিহাস গড়ল আফগানরা। শুক্রবার শারজায় লীগের শেষ ম্যাচে কেনিয়ার বিপক্ষে সাত উইকেটে জিতেছে আফগানিস্তান। ১৯ পয়েন্ট নিয়ে আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে বাছাইপর্বের দ্বিতীয় দল হয়ে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে বিশ্বসেরাদের সঙ্গে লড়বে তারা।
গত ম্যাচে এই কেনিয়াকে ৮৯ রানে গুটিয়ে দিয়ে আট উইকেটে জিতেছিল আফগানিস্তান। শেষ ম্যাচটি জিতলেই ইতিহাস গড়ার সুযোগ ছিল তাদের সামনে। তিন দিনের মধ্যে দ্বিতীয় ম্যাচে একই প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিয়ে বাকি কাজ সারল তারা। বিশ্বকাপে গ্র“প এ-তে জায়গা করে নিল আফগানরা। এই গ্র“পে তাদের সঙ্গী অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলংকা ও বাছাইপর্বের আরেক দল।
আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তান বিশ্বকাপ নিশ্চিত করায় বাকি দুটি জায়গা নিশ্চিত করতে আগামী বছর নিউজিল্যান্ডে আরেকটি টুর্নামেন্ট খেলবে নেদারল্যান্ডস, সংযুক্ত আরব আমিরাত, স্কটল্যান্ড, কেনিয়া, নামিবিয়া, কানাডা, উগান্ডা, হংকং, নেপাল ও পাপুয়া নিউ গিনি।
লীগের শেষ ম্যাচেও কেনিয়ার ব্যাটসম্যানরা দাঁড়াতে পারেননি আফগান বোলারদের সামনে। মাত্র দু’জন ব্যাট হাতে দুই অংকের ঘরে পৌঁছান। সেরা ইনিংস এসেছে মরিসা ওমার ব্যাট থেকে। ৬০ বলে ৩৯ রান করেন তিনি। প্যাটেল করেন ১৮ রান। আফগানিস্তানের হয়ে হামজা হোতাক তিনটি উইকেট পান। দুটি করে উইকেট নেন হামিদ হাসান, করিম সাদিক ও মোহাম্মদ নবী।
বিশ্বকাপে জায়গা পেতে ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩৪ রানের মধ্যে তিন উইকেট হারালেও জয় পেতে অসুবিধা হয়নি আফগানদের। ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগে মোহামেডানের তারকা ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নবীর অধিনায়কোচিত ইনিংসে ২৯ ওভার এক বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে তারা। ৪২ বলে তিন চার ও দুই ছয়ে ৪৬ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন নবী। এই স্মরণীয় জয়ে অপর প্রান্তে তার সঙ্গী ছিলেন হাসমতউল্লাহ সাইদি (১৯)।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button