নেশা কেটেছে ঐশীর, দিন কাটে অনুশোচনায়

পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও স্বপ্না রহমানের কন্যা ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ুয়া ঐশী ডিজে পার্টিসহ ইয়াবা-গাঁজার মতো নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছিল। এসবই হয়ে উঠেছিল তার নিত্যসঙ্গী। ক্রমাগত নেশা তাকে মানসিক ভারসাম্যহীন করে তুলেছিল। নেশার ঘোরে নিজের মা-বাবাকে খুন করার পরদিন নিজ থেকে পুলিশে ধরা দেয় ঐশী। ২০১৫ সালে সেই মামলার রায়ে ফাঁসির আদেশ হয় তার।

২০১৭ সালে আপিল বিভাগ ঐশীর ফাঁসির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন দেয়। তবে জেলজীবন বদলে দিয়েছে সেই ঐশীকে। মামলার রায়ের পর থেকে কাশিমপুরের মহিলা কারাগারে রয়েছে ঐশী। কয়েদি ওয়ার্ডে খেয়ে, ঘুমিয়ে আর গল্পগুজব করে কিছু সময় কাটলেও অধিকাংশ সময় কাটে অনুশোচনায়।

কাশিমপুর মহিলা কারাগারের জেলার উম্মে সালমা বলেন, ‘ঐশী এখন সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। তার নেশা কেটে গেছে শতভাগ। জেলে অন্য সাধারণ কয়েদিদের সঙ্গে স্বাভাবিক নিয়মে জীবন কাটছে তার।’ এদিকে কারাগারে থাকা ঐশীকে দেখতে যান কেবল তার চাচা।

এ ছাড়া নিকট কিংবা দূরবর্তী স্বজন-পরিজনদের আর কেউ তার খোঁজ নেয় না। এক চাচা প্রতি মাসে নিয়ম করে কাশিমপুর মহিলা কারাগারে যান। তার জন্য জামা-কাপড়, খাবার ও পিসির (প্রিজনারস ক্যান্টিন) জন্য টাকা দিয়ে যান। দীর্ঘদিন চাচাকে না দেখলে অস্থির হয়ে পড়ে ঐশী। জেল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন চাচাকে আসতে বলার জন্য।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button